অনলাইনে ইনকাম করুণ লাখ টাকা | মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

অনলাইনে ইনকাম

বর্তমান বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ বা ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে ইনকাম করছে এবং লাখ লাখ বেকার যুবক অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজছে। তবে আশার বাণী হচ্ছে, অনলাইনে আয় করতে কোনো রকম ব্যয় বা ইনভেস্ট করতে হয় না এবং হাই ব্র্যান্ডের কম্পিউটার বা পিসির দরকার হয় না। ইচ্ছা-শক্তি থাকলে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করাও সম্ভব।

২০০৪ সাল বা তার পরেও মানুষগণের কাছে অনলাইনের ইনকাম শব্দটি ছিল অপরিচিত এবং অর্থহীন। তখন যথেষ্ট ইন্টারনেট এবং ভালো গ্যাজেটের অভাবও ছিল আরেকটি কারণ। কিন্তু সময়ের পালা-বদলে আমাদের সোনার মাতৃভূমি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে। বর্তমানে ইন্টারনেটের গতি এবং সহজলভ্য গ্যাজেট সবই পাওয়া যায় হাতের নিকট। মাত্র কয়েক বছরের সংকীর্ণতায় আমরা পেয়েছি এসব সুযোগ-সুবিধা।তবে ‍এসব সুযোগ-সুবিধা যদি আমরা কাজে না লাগাতে পারি, তাহলে সরকারের সম্পূর্ণ প্রজেক্টই ব্যর্থ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। তাই ইন্টারনেট, মোবাইল, পিসি বা ল্যাপটপ যেহেতু এখন পূর্বের চেয়ে অনেকটা সহজলভ্য এবং আমাদের ধারণায় আছে পূর্বে থেকেই, তাই সরকারের দেওয়া উক্ত সুযোগ অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

ব্লগ সাইট তৈরির মাধ্যমে লাখ টাকা ইনকাম

অনলাইনে ইনকাম বা আয় করার বিষয়টি অনেকে অনেক কঠিন চিন্তা করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তা মোটেও কঠিন কিংবা জটিল বিষয় না। এখানে আপনার মেধাকে খাঁটিয়ে আপনিও সফলতা পেতে পারেন। তবে একটি বিষয় না বললেই নয়, অনলাইন বা ইন্টারনেট জনগতে আপনাকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আপনার ধৈর্য্য নামক মহামূল্যবান গুণটি থাকতেই হবে। রাতারাতি কোনো কিছুতেই স্থায়ী সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়।

ধৈর্য্য ও সঠিক শ্রমের মাধ্যমে এই ফিল্ডে সার্ভাইভ করা সম্ভব। অহেতুক শ্রম কোনো ভাবেই সফলতা বয়ে আনে না। তাই আজকের আর্টিকেলে এমন ৮টি উপায় সম্পর্কে জানাবো, যেগুলো অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে আপনিও কাজ শিখে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন এবং তা মোবাইলের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।

আলোচনার সুবিধার্থে আগ থেকেই বলে রাখা ভালো যে, আজকের উক্ত আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করবো তা মোবাইলের মাধ্যমেও সফলতা পাওয়া সম্ভব এবং কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা আরো সহজ হবে। তবে এমন কিছু উল্লেখ করবো না, যা মোবাইল দিয়ে সম্পাদান করা অসম্ভব। সুতারাং চলুন জানা যাক অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলো বিস্তারিত জানা যাক।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার ৮টি উপায়-

অনলাইনে আয় করার উপায়
  • ব্লগিং ( Blogging ) করে টাকা আয়
  • ইউটিউবিং বা ফেইজবুকিং ( Youtube or Facebook page ) করে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing ) করে আয়
  • অনলাইন সার্ভে ( Online Survey ) করে ইনকাম
  • ফটো  ইডিট/ছবি বিক্রি ( Photo edit/Sell photos Online ) করে আয়
  • ব্যাকলিংক ( Backlink ) করে আয়
  • গ্রুপ বাই টুলস সেল ( Group by tools sell ) করে আয়
  • ভিডিও ইডিটিং ( Video Editing) ) করে আয়

উপরোক্ত এই ৮টি উপায় ছাড়াও আরো অনেক রকমের উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনিও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন এবং তা আপনার কাছে থাকা ছোট্ট মোবাইল ফোনটি দিয়ে। এখন চলুন জানা যাক উল্লেখিত এই ৮টি বিষয়ের ব্যাখ্যা ও আয় করার উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে।

বিশেষ দ্রষ্ট্রব্য: আজকের দেখানো ৮টি উপায়ের যেকোনো একটিকে আপনি ফ্যাশন হিসেবে নিবেন। সবগুলোকে একসাথে নিলে কোনোটাতেই সাফল্য পাবেন না। এক সাথে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা কখনোই সম্ভব নয়। তাই উল্লেখিত ৮টি উপায়ের যেকোনো একটি কে আকড়িয়ে ধরে রাখুন এবং সে টপিকে জিনিয়াস হয়ে যান। তবে সবগুলো বিষয়ে ব্যাসিক জ্ঞান রাখা মোটেও খারাপ নয়।

ব্লগিং করে টাকা আয় – Make money by Blogging

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করা বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ একটি মাধ্যম। আমরা অনেকে আছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর অথবা বিভিন্ন টপিকের উপর অভ্যস্ত এবং পারদর্শী। এই ক্ষেত্রে এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজে ব্রগসাইট তৈরি করতে পারি। হতে পারে সেটা ইংলিশ ব্লগ সাইট অথবা বাংলা। আপনি যদি ইংরেজিতে বেশি পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ইংলিশ ব্লগ সাইট ওপেন করবেন। অন্যথায়, যদি ইংরেজিতে ভালো পারদর্শী না হয়ে থাকেন, তাহলে নিজের মাতৃভূমির ভাষাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করা ‍শুরু করতে পারেন।

যদি সাইটের ভাষাটা সিলেক্ট করে ফেলতে পারেন, তাহলে দ্ধিতীয় স্টেজ হলো একটা নিশ সিলেক্ট করা। নিশ হলো কোনো একটা নির্দিষ্ট টপিক বা বিষয়। ধরুণ আপনার নিশ হলো ফিশিং। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগে মাছ ধরার বিভিন্ন কৌশল, উপকরণ, কীভাবে মাছ ধরে, কোথায় মাছ ধরলে ভালো মাছ পাওয়া সম্ভব, কোন কোন সময় মাছ ধরলে বেশি মাছ পাওয়া যায় ইত্যাদি। এরকম টাইপের একটা যেকোনো নিশ সিলেক্ট করতে পারেন। তবে বাংলাদেশে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় নিশ হচ্ছে হেলথ বা স্বাস্থ্য সম্পর্তি নিশ, টেকনোলজি, অনলাইন, ব্যাংকিং ইত্যাদি। একটু রিসার্চ করলেই এরকম শত নিশের খোঁজ পাবেন।

Read More  Computer tips in Bangla | কম্পিউটার দ্রুত করুণ

নিশ সিলেকশানের পর এবার কীওয়ার্ড রিচার্স করুণ। ভালো ভালো এবং লো-কম্পিটিশনের কি-ওয়ার্ড খুঁজে বের করে এবার আর্টিকেল লেখা শুরু করুণ। ব্যাস, এভাবে আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত সঠিকভাবে এসইও ফেন্ড্রলি আর্টিকেল দিতে থাকেন। আস্তে আস্তে সাইটে ভিজিটর আসতে থাকবে এবং অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকাও ইনকাম হবে। মূলত এভাবেই মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম বা আয় করা সম্ভব। তবে সুযোগ থাকলে ব্লগিং করা সাইট দিয়েই অ্যাফিলিয়েট করাও সম্ভব। তখন বাড়তি একটা ইনকামের বা আয়ের পথ খুলে যাবে। আর এই ব্লগিং করা মোবাইল দিয়ে সম্ভব। সুতরাং আজ থেকেই কাজে লেগে পড়ুন।

ইউটিউবিং বা ফেইজবুকিং (Make money from YouTube or Facebook Page) করে আয়

ইউটিউবিং বা ফেইজবুকিং হলো ভিডিও কটেন্টের একটি ফিল্ড। এখানে সাধারণত ভিডিও এর মাধ্যমে মূল ইনকাম বা আয়টা হয়ে থাকে। সুতরাং এটিও হতে পারে অনলাইনে আয় করার একটি ক্ষেত্র। তবে অবশ্যই আমাদের ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে।

SEO শিখুন

এই ক্ষেত্রেও সেইম কন্ডিশান। অর্থাৎ একটি নিশের উপর ভিডিও ক্রিয়েট করতে হবে এবং সে ভিডিও প্রতিনিয়ত তৈরি করে আপলোড করতে হবে। তবে বর্তমানে ফেইজবুক কিংবা ইউটিউবে ট্রেন্ডি ভিডিওগুলো সবচেয়ে বেশি ভিজুয়্যাল। তাই অল্পতে বা কম সময়ে সফলতা পেতে চলমান ট্রেন্ড্রি ভিডিওগুলো তে মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব এবং ফেইজবুকে  সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে প্রাঙ্ক ভিডিও। এর কোনো কম্পিটিটর নেই বর্তমান মার্কেটে। সবচেয়ে ভিও বেশি হয়।

এইভাবে আপনাকে যেকোনো একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে। নিশ চয়েজ করার পর এবার আপনাকে কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কোনো ভাবেই কপিরাইট মূলত কনটেন্ট দেওয়া যাবে না। এবং কি কনটেন্টের ব্যাকগ্রাউন্ডের সাউন্ডটিও  কপিরাইট ফ্রি হতে হবে।

কীভাবে ইউটিউবিং কিংবা ফেইজবুকিং করে তা জানতে ইন্টারনেটে বা ইউটিউবে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলে পেয়ে যাবেন এরকম শ’খানেক ভিডিও। সুতরাং অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে ইউটিউবিং কিংবা ফেইজবুকিং কেও ফ্যাশন হিসেবে নিতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing ) করে আয়

শুধু মাত্র আমাদের বাংলাদেশে নয়, প্রায় বৈশ্বিকভাবে বর্তমানে অনলানে ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – Affiliate marketing. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মূলত অন্য কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি নিশের প্রোডাক্ট নিজ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেল হওয়াতে সাহায্য করা। আর প্রতিটি সেলে নির্দিষ্ট একটা পারসেন্টেজ ওয়েবসাইটের মালিককে কমিশন দেওয়া। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

সবচেয়ে ভালো খবর হলো এই ক্ষেত্রেও মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব যদিও তা একটু কঠিন হয়ে যাবে এবং কিছু কিছু কাজ করা সম্ভব হবে না। যেমন বিভিন্ন রকম টুলসের সহায়তা নেয় কী-ওয়ার্ড রিচার্স করা ইত্যাদি। তবে সংখ্যাঘরিষ্ঠ কাজ মোবাইল দিয়েই সম্ভব।

প্রথমেই আপনাকে একটি নিশ চয়েজ করতে হবে। নিশ অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ কী-ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে কী-ওয়ার্ড অনুযায়ী আর্টিকেল লেখা শুরু করতে হবে। যদি আপনি নিজেই আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাহলে আপনার অনেক অংশেই খরচ কমে আসবে। আর যদি নিজে লিখতে না পারে তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ইউটিউব সার্চ দিয়ে কিছু অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কিত ভিডিও দেখুন। তাহলে আশা করা যায়, অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কে A to Z জানতে পারবেন।

অনলাইন সার্ভে ( Online Survey ) করে ইনকাম

Survey  একটি ইংরেজি শব্দ এবং এর বাংলা হলো জরিপ করা। এখানে কীসের জরিপ হবে বা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া সম্ভব না হলেও মূল থিমটা বুঝানো অবশ্যই যাবে। তার – আগে বলে নেই এই সার্ভে নামক অনলাইনের কাজটি কিন্তু কারো ক্যারিয়ার বা ফ্যাশন হতে পারে না। কলেজ বা ভার্সিটি পড়ুয়াদের জন্য সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে সার্ভে। কেননা সার্ভে কোনো রকম স্থায়ী কাজ নয় ।

বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। এদের প্রায় সবাই চায় জনগনের কাছ থেকে মতামত নিতে। যেমন একটা আইসক্রিম কোম্পানি সাধারণভাবে চাইবে তার গ্রাহকদের স্বাস্থ্যগত দিকটি। এখন ধরুণ ঐ আইসক্রিম কোম্পানি তো আর প্রত্যেক ক্রেতার নিকট গিয়ে বলতে পারবে না যে আইসক্রিমটি তাদের নিকট কেমন লাগছে বা এর কোন দিকটি থাকলে আরো ভালো হতো বা না থাকলে ভালো হতো। এছাড়া খাওয়ার সময় তারা কোনো রকম অস্বাভাবিকতা অনুভব করে কি-না? ইত্যাদি। এমতোবস্থায়, কোম্পানি একটি প্রতিনিধি টিম গঠন করে তাদের প্রোডাক্টের সার্ভে করার জন্য। আর তখনই সে অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছ থেকে একটি সার্ভে নিয়ে তাদের প্রোডাক্টের আপডেট নিয়ে আসে। এখানে এই যে আপনি তাদের সার্ভে অংশগ্রহণ করে ভোট দিয়ে তাদের অস্থায়ী একটা দিকনিন্দেশনা দিলেন, এর জন্য আপনাকে এরা সামান্য একটা পারসেন্টেজ অর্থ দিয়ে দিবে। আর এভাবেই মূলত সার্ভে হয়ে থাকে।

Read More  প্লে স্টোর অ্যাপস ডাউনলোড কিভাবে করবো

এখন এখানে আইসক্রিমের বদলে A to Z কোম্পানি হতে পারে। আর বাংলাদেশে তে এমন সার্ভে দেখি নাই বললেই হয়। তাহলে কী আমরা সার্ভে তে অংশগ্রহণ করতে পারবো না? হ্যাঁ, অবশ্যই পারবো। এর জন্য আমাদের প্রিমিয়াম VPN or VPS ব্যবহার করতে হবে। এবং মোবাইল কিংবা পিসির আইপি IP Number পরিবর্তন করতে হবে। এগুলো কিছু টাকা দিয়ে পরিবর্তন করে সার্ভে কাজ করতে হয়। মূলত উপরোক্ত ভাবে কাজ করলে অবশ্যই মোবাইল বা পিসি দিয়ে সার্ভে করে টাকা আয় করা সম্ভব।

ফটো  ইডিট/ছবি বিক্রি ( Photo edit/Sell photos Online ) করে আয়

ধীরে ধীরে ফটো ইডিট বিষয়টি খুবই পরিচিত হয়ে উঠছে লোকজনদের কাছে। বর্তমানে ফটো বা ছবি এডিট শুধু পিসি তেই সীমাবদ্ধ নয়, এখন আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি দিয়েও মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব।

মোবাইলের বিভিন্ন রকম ফটো এডিটের বা ইডিটের সফটওয়্যার আছে। যেমন-

ছবি ইডিটের মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারেন। কীভাবে? ওকে, তা ব্যাখ্যা করছি। আমরা যখন একটি সুন্দর পিকচার তুলি এবং তা ইডিট করে সম্পূর্ণ একটি নতুন পিকচার করি, তখন অনেকে আমাদের থেকে পিকটি কিনে নিতে চায়, তখন হিইজ একটা দামে বা অর্থায়ানে তা বিক্রে করে দিতে পারে।

ইডিটের ছবি বিক্রির জন্য অনেকগুলো সফটওয়্যার বা সাইট রয়েছে। যেমন – সাটারস্টক, পিক্সেল, পিক্সাবে ইত্যাদি মাধ্যমে আপনি আপনার অর্জিত যে ইডিটের ছবি গুলো বিক্রি করে দিতে পারবেন। সুতরাং ছবি ইডিট ও এটি অনলাইনের কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।

ব্যাকলিংক ( Backlink ) করে আয়

অনলাইনে আয় করার আরেকটি উপায় হলো ব্যাকলিংক Backlink করা। ব্যাকলিংক জিনিসটা কী? আসেন জানা যাক ব্যাকলিংক কী তা জানি। ব্যাকলিংক হলো মূলত কাউকে রেফার করা বা প্রমোসন করা।

ধরুণ একটি সাইট আছে। এখন আমাদের কাজ হলো ঐ সাইটের মালিকের কাছ থেকে ব্যাকলিংকের কাজটি নেওয়া। কাজ নেওয়ার পর তার সাইট রিলেটেড বিভিন্ন সাইটে/অন্য সাইটে আমার ক্লাইন্টের সাইটের টার্গেটেট লিংক কমেন্ট করা বা রেফার করা।

ব্যাকলিংক করা সবচেয়ে বেশি সহজ। আর কাজটি আপনি আপনার হাতের মোবাইলটি দ্ধারাই সম্পাদন করতে পারবেন। এখন কথা হলো কোথায় থেকে উক্ত কাজটি আমরা পাবো অর্থাৎ আমাদের কে এই কাজটি দিবে কে করার জন্য? ওয়েল, ইন্টারনেটে এমন অনেক সাইট আছে, যেগুলোর মিডেলম্যান হিসেবে কাজ করে। এই সাইটগুলো কাজ পেতে সহায়তা করে। যেমন- Freelancer, Fiver, Upwork, PeoplePerHour, Toptal, Linkedin ইত্যাদি সাইট। এ সাইটগুলোতে একাউন্ট খোলার পর আপনার গিগ পাবলিশ করবেন। তারপর, অন্য ক্লাইন্টরা এই গিগটি কিনে নিবে। তখন আপনি উপরোক্ত কাজটি করবেন। আর এভাবেই ব্যাকলিংক করে মোবাইল দিয়েই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

গ্রুপ বাই টুলস সেল ( Group by tools sell ) করে ইনকাম

উক্ত জিনিসটি বা কাজটির সাথে ইনভেস্টমেন্টের একটি ব্যাপার আছে। তবে আপনি যদি ইনভেস্টমেন্টে আগ্রহী না হোন, তাহল এই পার্টটি স্কিপ করতে পারেন। কেননা অযথা টাইম লস করে কী লাভ?

ইন্টারনেট আয়ের জগতে মানুষগণ বিভিন্ন রকম টুলস ব্যবহার করে থাকে। উদাহরণসরূপ, অনেকে কিওয়ার্ড রিচার্সে  ব্যবহার করে থাকে নিম্নক্ত টুলসগুলো-

  • Ahrefs
  • Smrush
  • Keywordreveler
  • Moz
  • Alexa
  • Keyword Finder ইত্যাদি রকমের টুলস ব্যবহার করে থাকে।

তো তারা যদি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এ টুলসগুলো কিনতে চায়, তাহলে তাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়ে কিন্তু পরক্ষণে যদি কয়েকজন মিলে বা গ্রুপ বাই কোনো একটা কোম্পানি টাইপের কারো কাছ থেকে ক্রয় করে,তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার অতিরিক্ত খরচ কমে আসে।

Read More  Google Play Store ডাউনলোড: সম্পূর্ণ গাইড

সেই দৃষ্টিতে আপনি এরকম টাইপসের টুলসগুলো ক্রয় করে গ্রুপ বাই তাদের কাছে সেল করতে পারেন। এতে করে অতিরিক্ত একটা ইনকাম আসবে এর থেকে। আর এভাবেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

ভিডিও ইডিটিং ( Video Editing) ) করে আয়

বর্তমানে মার্কেট জগতে ভিডিও ক্রিয়েটরদের ভ্যালু মোটমোটি ভালোই আছে এবং দিন যত যাচ্ছে তার ভ্যালু ততই বাড়ছে। তবে আগ থেকে বলে দেওয়া যায় যে, ভবিষ্যৎ-এ ভিডিও ইডিটিং এর চাহিদা ব্যাপক হবে।

এ ক্ষেত্রেও আপনি ইচ্ছা করলে তা মোবাইল দিয়েই আয়ত্ত করা সম্ভব। তবে ভিডিও ইডিটিং এর ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো পিসি বা কম্পিউটার। তবে যাদের সামর্থ্য নেই তাদের কোনো চিন্তা বা ট্যানশনের কারণ নেই। কেননা বর্তমানে ইন্টারনেটে পাওয়ারফুল অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ভিডিও ইডিটং করা কিছু জনপ্রিয় অ্যাপস

  • KineMaster
  • Adobe Premiere Pro
  • PowerDirector
  • FilmoraGo
  • FoPro Quik
  • Magisto
  • VivaVideo
  • Funimate
  • Video Editor ইত্যাদি জাতীয় ভিডিও ইডিটিং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস রয়েছে।

এগুলোর মাধ্যমে যেকেউ মোবাইল দিয়েই ভিডিও ইডিটিং করা সম্ভব এবং অনলাইনে তা ক্লাইন্টদের কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

অনেকে চিন্তা করে আসলেই কী মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা সম্ভব আবার অনেকে ট্যানশন করে এখানে কোনো রকম ফ্রট টাইপের ব্যাপার-স্যাপার আছে কি-না ইত্যাদি। সে জন্য এখন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামের বিষয়টি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব?

উপরোক্ত উল্লেখ করা সকল বিষয়গুলোই মোবাইল দিয়ে সম্পাদন করা সম্ভব। সুতরাং যেহেতু মোবাইল দিয়ে কাজগুলো করা সম্ভব, তাই মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করাও সম্ভব। তবে কাজের স্মুথনেস বিচার করতে গেলে অবশ্যই কম্পিউটার এগিয়ে থাকবে।তবে মোবাইল দিয়েও অনলাইনের কাজগুলো করা সম্ভব।
আপনি যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে মোবাইল বা কম্পিউটার, সকল ডিভাইসেই কাজ করতে পারবেন। আর যদি কোনো কাজ না পারেন, তাহলে আপনাকে যদি একটি সুপার পাওয়ার কম্পিউটারের সামনেও বসানো হয়, তাও কাজ করতে পারবেন না। সুতরাং অনলাইনে কাজ আপনি মোবাইলে নাকি কম্পিউটারে করছেন সেটা বড় কথা নয়, বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে আপনি কোন কাজে বেশি দক্ষ। তাই যদি কোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা সম্ভব।

অনলাইনে কিভাবে আয় করা সম্ভব?

উপরোক্ত দেখানো  ৮টি পদ্ধতিতেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব। তবে আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে। সেই উপায়গুলো আলোচনার সুবিধার্থে করা হয় নি। উপরোক্ত উপায়গুলোর যেকোনো একটি বেঁচে নিয়ে কাজ শিখে লেগে থাকলে অবশ্যই অনলাইনে ইনকাম করাতে সাফল্য পাবেনেই। তবে শর্ত একটাই যেকোনো একটা টপিক চয়েজ করা এবং নিয়ম অনুযায়ী কাজে লেগে থাকা।

অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে সহজেই কি সফলতা পাওয়া সম্ভব?

আসলে পৃথিবীতে স্থায়ী কিছু পেতে হলে বলতে হয় কোনো কিছু সহজে পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণ চেষ্টা করতে হয়, ব্যর্থতার পরও বার বার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। সঠিকভাবে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া সম্ভব। তবে যদি টাইম বা সময়ে হিসেব করি, তাহলে সব ঠিক থাকলে ৮-১২ মাসের ভিতর নির্দিষ্ট একটি কাজ শিখে ফেলা সম্ভব।

অনলাইনে ইনকামের জন্য কোনো রকম কোর্সের প্রয়োজন আছে?

প্রশ্নটির উত্তর হ্যাঁ বা না তে দেওয়া সম্ভব নয়। আপনি যদি অলস না হোন এবং কঠোর পরিশ্রমি হয়ে থাকেন, তাহলে ইউটিউব থেকে আপনি আপনার টার্গেটেট টপিকের সব কিছুই শিখতে পারবেন। দরকার সঠিক গাইডলাইন এবং পরিশ্রম।

অনলাইনে কত টাকা ইনকাম বা আয় করা সম্ভব?

এটি মূলত আপনার কাজের ধরণ এবং আপনার পরিশ্রমের মাত্রার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। অনেকগুলো অনলাইনের কাজ আছে, যেগুলো অনেক কষ্টসাধ্য কিন্তু পরিশ্রমের তুলনায় সে রকম ডিমান্ডপূর্ণ নয়। আবার অনেক কাজ আছে যেগুলার মার্কেট ভ্যালু অনেক।
সুতরাং আশা করছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম এর ব্যাপারটি সম্পর্কে সংক্ষেপে একটি ধারণা দিতে পেরেছি। উপরোক্ত উপায়গুলোর যেকোনো একটি অপ্লাইয়ের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে জানতে দেখুন-

Leave a Comment