বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এবং ভালো একটি প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনিও ইনকাম করতে পারেন তবে প্রথমে জেনে নিতে হবে ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম। ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম কী? ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং গুলো, ইউটিউব চ্যানেল কাস্টোমাইজেশন, ইউটিউব চ্যানেলের লোগো, ইউটিউব ব্যানার সহ ইউটিউব ভিডিও প্লাটফর্ম প্রাসঙ্গিক আরো অনেক কিছু একজন সফল ইউটিউবারের।
ইউটিউব হলো এমন একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট, যেখানে একজন ব্যক্তি তার কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা, প্রাঙ্ক, গল্প, শিক্ষামূলক ভিডিও, নাটক, সিনেমা, বিশ্বের নানা রকম খবর বা তথ্য ভিডিও আকারে উপস্থাপন করতে পারে। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ইউটিউবের উদ্ভোধন হয় এবং ২০০৬ সালের অক্টোবরে গুগল ইউটিউব সাইটকে ক্রয় করে নেয় ১.৬৫ বিলিয়িন ডলারের বিনিময়ে।
বর্তমানে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের সময় ক্রমে এটি আরো ব্যস্তময় একটি সাইটে পরিণতে হয়েছে। বর্তমান ইউটিউবের নথি অনুযায়ী বিশ্বে প্রতি মাসে ইউটিউবের ট্রাফিক/ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ২+বিলিয়নের উপর এবং একই সাথে দৈনিক অ্যাক্টিব ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ১২২+ মিলিয়ন। আর এই ১২২+ মিলিয়ন মানুষ দৈনিক গড়ে ১৮ মিনিট করে ইউটিউবে টাইম ব্যয় করে। মোট ১ বিলিয়ন ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয় দৈনিক। পাশাপাশি প্রতি ঘন্টায় ৫০০+ ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউবে। ২০২০ সালের সার্ভে অনুযায়ী ইউটিউব ২০২০ সালে সর্বমোট ১৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ইউএস ডলার আয় করে।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ভবিষ্যৎ এ ইউটিউব কতটা সম্ভবনাময় একটি যুক্তিক প্লাটফর্ম। সে প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের অনেক ভাই-বোনেরা ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে চায় তাদের দক্ষতা কিংবা তাদের তৈরিকৃত ভিডিওগুলো ইউটিউবে আপলোড করার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাদের অধিকাংশই জানে না যে কীভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়। তাদের বৃহৎ জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করেই আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। চলুন জানা যাক, কীভাবে আমরা খুব সহজেই স্টেপ বাই স্টেপ একটি ইউটিউব চ্যানেল সঠিক উপায়ে খুলতে পারি। ( ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় জানতে এবং চ্যানেল ভেরিফাই করতে চাইলে এটি পড়ুন )
ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে
সবার জ্ঞার্তে বলা রাখি, একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি জিনিস লাগে যা ছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা সম্ভব নয়। ইউটিউব খুলতে যা যা লাগে-
- একটি অ্যাক্টিব ই-মেইল অ্যাকাউন্ট
- মোবাইল নাম্বার
- স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটার
- ইন্টারনেট কানেকশান
মূলত একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে এইগুলোই দরকার হয়। এখানে ইউটিউব যেহেতু বর্তমানে গুগলের একটি পার্ট, তাই ইউটিউব খুলতে একটি অ্যাক্টিব ই-মেইল অবশ্যই থাকতে হবে।
সাধারণত দুই ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলা যায়। একটি হলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলা আর অন্যটি হলো পিসি বা কম্পিউটার/ল্যাপটপের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলা।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২১
আলোচনার সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আমরা দুই ভাবেই ইউটিউব চ্যানেল খুলা শিখবো। কেননা আমাদের অনেকের কাছে পিসি বা কম্পিউটার নেই আবার অনেকের কাছে একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে। তাই দুই উপায়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায় বর্ণনা করা হবে।
- প্রথমে শিখবো কীভাবে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
- তারপর শিখবো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি কীভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলতে পারি। প্রথমে মেইক-সিউর করেন ইউটিউব চ্যানেল খোলতে যা যা দরকার তা আপনার কাছে রয়েছে। এবার চলুন জানা যাক।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
স্টেপ বাই স্টেপ দেখানো হলো যে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম-
- প্রথমে জেমেইল দিয়ে আপনার গুগল একাউন্টে সাইন ইন করে ফেলুন।
- এবার গুগল ক্রোমের সার্চ বক্সে লিখুন YouTube.com এবং তা দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিন। অবশ্যই ডেস্কটপ মোডে থাকতে হবে।
- এখন দেখুন অনেকগুলো লিংক এসেছে কিন্তু এখান থেকে আপনাকে প্রথম লিংকে অর্থাৎ ইউটিউবের অফিসিয়াল সাইটে ঢুকতে হবে।
- এবার ইউটিউবেও সেই একই জি-মেইল দিয়ে সাইন ইন করুন।
- এখন দেখুন ডান-দিকের উপরে কর্ণারে আপনার প্রোফাইল দেখাচ্ছে। এই আইকনে ক্লিক করুন। এই আইকনটি সাধারণত YouTube Profile Icon নামে পরিচিত।
- এবার দেখুন এখানে অনেকগুলো অপশান আপনার সামনে এসেছে। এখান থেকে My Channel নামক অপশানে ক্লিক করুন।
- যখনই ঐ আইকনে ক্লিক করবেন, ইউটিউব তখন আপনাকে নতুন একটি ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দেখুন লেখা আছে Use YouTube as এবং তার নিচে দুইটা খালি ঘর আছে। এই খালি ঘরগুলাতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিতে হবে। এখানে যা দিবেন, সে নামেই আপনার YouTube Channel এর নাম হবে।
- ধরুণ, এখানে আপনি দিলেন Best Way. অর্থাৎ উপরের খালি ঘরে দিলেন Best এবং নিম্নের ঘরে দিলেন Way.
- সবকিছু ঠিকভাবে দিয়ে এবার দেখুন নিচের দিকে লেখা আছে CREATE CHANNEL নামে একটি অপশান। এটায় ক্লিক করে প্রাথমিকভাবে ইউটিউব চ্যানেলটা তৈরি করে ফেলুন।
- এখন দেখুন ইউটিউব আপনাকে Congratulation নামে একটি মেসেজ দিয়েছে। এই মেসেজটি যদি পেয়ে থাকেন, তাহলে Create Channel এ ক্লিক করার পর আপনাকে নতুন একটি ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে। সেখানে লেখা থাকবে Creator Studio এবং Customize Channel নামে দুইটি অপশান।
- আপাতত এখানেই আপনার চ্যানেল খোলার প্রাথমিক ধাপ শেষ।
”আলোচনার সুবিধার্থে Creator Studio এবং Customize Channel নামক এই দুই অপশানগুলো সকল ধরনের সেটিং নিম্নে বর্ণনা করা হয়েছে। এখন পিসি বা কম্পিউটারের মাধ্যমে কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়, তার প্রাথমিক স্টেপগুলো জানবো। মূলত Creator Studio এবং Customize Channel নামক এই দুই অপশানগুলোর সেটিংস এবং কনফিগারেশন একই পদ্ধতিতে করতে হয়। যেহেতু এই দুই অপশানের সেটিং এবং কনফিগারেশন করার নিয়ম এক, তাই একটি বর্ণানা করলে আশা করি সবাই বুছে যাবেন। মোবাইল এবং পিসির জন্য আলাদা ভাবে বর্ণানা করার দরকার নেই।”
পিসি বা কম্পিউটার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
- একই ভাবে প্রথমে পিসি বা কম্পিউটারে একটি জি-মেইল দিয়ে প্রথমে লগ-ইন করুন।
- এর আগের মতো Youtube.com এ চলে যান এবং প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে লগইন করে ফেলুন।
- পুনরায় My channel থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিয়ে ক্রিয়েট চ্যানেলে ক্লিক করুন। এবং দেখুন মোবাইলের পর্বের ন্যায় Create Studio এবং Customize Channel নামে দুইটি অপশান চলে আসছে।
এখন আপনাকে এই দুই অপশানের কাজ করতে হবে যদি আপনি চান একটি আকর্ষণীয় লোক থাকুক চ্যানেলে এবং তা যেন মনে হয় কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্ধারা উক্ত চ্যানেলটি তৈরি হয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল এর গুরুত্বপূর্ণ সেটিং
ইউটিউব চ্যানেলের সকল গুরুত্বপূর্ণ সেটিং গুলো YouTube Studio তে থাকে। তাই আমরা প্রথমে YouTube Studio তে যেতে হবে। এরজন্য প্রথমে আমাদের গুগল ক্রোমে ঢুকে Desktop মোডে যেতে হবে। এবার আমাদের চ্যনেলের আইকনে ক্লিক করলেই আমরা YouTube Studio নামক একটি অপশান পেয়ে যাবো। এখানে ক্লিক করতে হবে। আর এখান থেকেই ইউটিউব চ্যানেলের সব রকম সেটিং এর কাজ করতে হবে। যেমন ইউটিউব চ্যানেল এর গুরুত্বপূর্ণ সেটিং হলো-
- Customize Channel
- YouTube Settings
- General
- Channel
- Upload defaults
- Permissions
- Community
- Agreements সহ ইত্যাদি শিখার চেষ্টা করবো।
Customize Channel
যখনই আপনি চ্যানেল কাস্টোমাইজেশনে আসবেন, তখন আপনার নিকট একটি সম্পূর্ণ নতুন ইন্টারফেস আসবে। সেখানে দেখবেন ৩টি সেটিংস আছে। এর এই তিনটি সেটিং হলো-
- Layout
- Branding
- Basic Info
ইউটিউবের এই তিনটি সেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যানেলকে সুন্দর ও আকর্ষর্ণীয় করার ক্ষেত্রে । চলুন, পর্যায়ক্রমে Customize Channel এর অন্তর্ভূক্ত এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিং সম্পর্কে জেনে নিই।
Layout
Layout নামে সেটিং এর এখানে আপনি Upcoming Live এর নোটিশ দিয়ে রাখতে পারবেন পাশাপাশি আপনার এই চ্যানেলের Trailer Video সেট করতে পারবেন। আপনি চাইলে এখানে Featured Video সেট করে রাখতে পারেন। এগুলো করতে সেখানের Add অপশানটিতে ক্লিক করে অ্যাড করে দিতে হবে।
Branding
মূলত এখানে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে হবে। Branding এর এখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লোগো এবং ইউটিউব ব্যানার সেট করতে হবে পাশাপাশি Video Watermarking এর দিকে নজর দিতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেলের লোগো
ইউটিউব চ্যানেলের লোগো কে খুবই সুন্দরভাবে ইডিট করতে হবে। আর ইউটিউব চ্যানেলের পারপেক্ট লোগো সাইজ হচ্ছে 800*800 Px. এই মাপে ফটোশপ কিংবা অন্য কোনো ইডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় লোগো তৈরি করতে হবে। এতে করে দর্শকদের মাঝে আপনার চ্যানেলের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়বে। তাই সঠিক এবং আকর্ষণীয়ভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লগু তৈরি করুন।
ইউটিউব ব্যানার
লগুর ন্যায় ইউটিউব ব্যানার ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আপডেট অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেলের সঠিক ইউটিউব ব্যানার সাইজ হলো 2560*1140 Px. এই সাইজের মধ্যে ভালো একটি কভার বা ব্যানার তৈরি করতে হবে। দেখে নিতে হবে, ইউটিউব ব্যানারটি যেন প্রোফাইলের সাথে খাপ খায় এবং ইউনিক একটি ডিজাইন রাখতে হবে। ইউটিউব ব্যানারের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেমন টিভি মোডে সম্পূর্ণ ব্যানারটি দেখায় কিন্তু মোবাই ল মোডে তা কিছুটা ক্রোপ হয়ে যায়। তাই ইউটিউব ব্যানার তৈরির সময় এই বিষয়টা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
Video Watermarking ভিডিও ওয়াটার মার্কিং
এটা অর্থাৎ Video Watermarking হলো আমরা যখন ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করি তখন সবগুলো ভিডিওতে অটোমেটিক নিম্নের ডান কর্ণারে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের লগুর একটি ওয়াটার মার্ক থাকবে। তবে তা ভিডিও কোনো রকম কোয়ালিটি নষ্ট করবে না। Video Watermarking এর সঠিক পরিমাপ হচ্ছে 150*150 Px. এই সাইজের মধ্যে ভিডিও ওয়াটার মার্কিং এর লগুটি ডিজাইন করতে হবে।
Basic Info
Basic info তে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি থাকে এবং এখানে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সহযোগী সামাজিক যোগযোগ ফ্লাটফর্মের লিংকগুলো অ্যাড করতে পারবেন। এতে করে এই ফ্লাটফর্মের আইকনটি আপনার ইউটিউব ব্যানারে শো করবে। এখানে আপনি আরো অ্যাড করতে পারেন আপনার কন্টাক ইনপু। অর্থাৎ আপনার সাথে যদি কেউ যোগাযোগ করতে চায় সে কীভাবে যোগাযোগ করবে তার একটি মাধ্যম। আপনি এখানে ই-মেইল/জিমেইল অথবা যেকোনো একটি Contact Info অ্যাড করতে পারেন। এখানে মূলত এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ সেটিং। তবে আপনি চাইলে আপনার চ্যানেলের লিংকটি বিভিন্ন রকম সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার চ্যানেলের ব্যান্ড ভ্যালু বাড়বে।
YouTube Setting
ইউটিউব সেটিং এ বেশি একটা কাজ নেই । কিন্তু তারপরও সেগুলোর বর্ণনা দিচ্ছি। YouTube Setting এর অপশানগুলা হলো-
- General
- Channel
- Upload defaults
- Permissions
- Community
- Agreements
মূলত এই অপশানগুলার কাস্টমাইজেশন করলেই ইউটিউব চ্যানেল খোলা শেষ হয়ে যাবে। চলুন উল্লেখিত অপশানগুলোর কাস্টমাইজেশন করা যাক।
General
এখানে কোনো রকম চেঞ্জ করার দরকার নেই। যা আছে তাই থাকুক। USD- US Dollar দেওয়া আছে তাই থাকুক। কোনো রকম চেঞ্জ করার দরকার নেই।
Channel
Channel এর মধ্যে ৩টি অপশান আছে। এগুলোতে কিছু চেঞ্জ করতে হবে। ৩টি অপশন হলো-
- Basic Info
- Advanced Settings
- Feature eligibility
Basic Info
Basic Info অপশানে আপনি আপনার দেশ সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর দেখুন নিচের অপশানটা। এখানে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নামের সাথে মিল রেখে, ভিডিওর সাথে মিল রেখে এবং চ্যানেল ক্যাটাগরির উপর মিল রেখে ৩-৫ টা ট্যাগ বা কিওয়ার্ড এড করে দিবেন।
Advanced Settings
এই সেটিংস এ আপনি আপনার চ্যানেলের ধরণটি পরিবর্তন করে দিবেন। কারা এই চ্যানেল দেখতে পারবে এবং এডাল্ট কোনো কন্টেন্ট পাবলিশ করা হবে কিনা তা সিলেক্ট করে দিবেন।
Feature eligibility
এই সেটিং টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি আপনার চ্যানেলটি ভেরিফাই করবেন। যেমনি ফেজবুক ফেরিফাই করে থাকে ঠিক একই ভাবে এখানে মোবাইর নাম্বার দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি খুব সহজেই এসএমএস কোডের মাধ্যমে ভেরিফাই করতে পারেন।
Upload defaults
Upload defaults অপশনটিতে আপনি আপনার প্রত্যেকটি ভিডিওতে যদি একটি নির্দিষ্ট টাইটেল এবং ডেসক্রিপসন রাখতে চান, তাহলে সেটা এখানে টাইটেল অপশানে এবং ডেসক্রিপসন অপশানে সেট করে দিতে পারেন। এতে করে প্রতিদিন যখন ভিডিও আপলোড দিবেন, তখন বার বার আপনাকে সে একই টাইটেল এবং ডিসক্রেপসন লিখতে কিংবা অ্যাড করতে হবে না। অটোমেটিক এমনিতেই অ্যাড হয়ে যাবে।
Permissions
এই অপশনটি মূলত যদি আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কাউকে অ্যাক্সেস দিতে চান বা অ্যাড করতে চান, যে আপনার অনুপস্থিতে চ্যানেলকে হ্যান্ডেল করবে অথবা চ্যানেলের অন্য কাজগুলো সে করবে। সেই জন্যই এই অপশনটি । এখান থেকে আপনি টার্গেটিড ব্যক্তিকে ইনবাইট করতে পারেন পাশাপাশি অ্যাড করতে পারেন।
Community
এখান থেকে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যাকে ইচ্ছা তাকে আপনার চ্যানেলের ভিডিও অ্যাক্সেস দিতে পারেন। এবং এখান থেকে কাউকে মডারেটর বানাতে পারেন।
Agreements
এখানে মূলত এই মূহর্তে কোনো কাজ নেই। তাই এই সেটিংটি ইগনোর করা যেতে পারে।
এই ছিল আজকের আমাদের ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম এর ২০২১ এর আপডেট পোস্ট। আশা করি উপরের সমস্ত লেখাটা পড়ে একজন অনভিজ্ঞ লোকও খুব সহজেই তার হাতের মোবাইল ফোন অথবা পিসি বা কম্পিউটার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলতে পারবে।
ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম
ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর একটি নাম আগে থেকেই চয়েজ করে রাখতে হবে। বলে রাখা ভালো যে আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা একটি ইউটিউবের নাম একবার দেখার পর সে নামটি মনে রাখতে পারে। আবার অনেক ইউটিউবের নাম আছে যা অনেক আকর্ষণীয়। আমাদেরও উচিত, এমন একটি নাম সিলেক্ট করা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য, যা দর্শক দেখে আকর্ষিত হবে এবং একবার দেখলেই যেন সবার মনে থাকে। যেমন ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর একটি নাম হলো Best Way. এভাবেই মূলত অনেক রিচার্স করে একটি সুন্দর নাম বের করতে হবে।
ইউটিউবের নামের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত। সেটা হলো ট্রেন্ডিং। বর্তমানে যেসকল ট্রেন্ডিং চলছে সেটার সাথে তাল মিলিয়েও নাম রাখা যায়। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন, আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের নামটি ইউটিনক হয় এবং অন্য চ্যানেলের সাথে যাতে কোনো ভাবেই না মিলে। তাহলে সেই নামটি হবে পারফেক্ট একটি ইউটিউব চ্যানেলের সুন্দর নাম।