সফল একজন ইউটিউবারের গুণ হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম জানার তাৎপর্য অনেক। কেউ যখন ইউটিউব চ্যানেল খোলার সঠিক নিয়ম অ্যাপ্লাই করে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করে থাকে, তখন তার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করা। বর্তমানে ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে ইউটিউবিং করা ট্রেন্ডিং-এ পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আছে ইউটিউব প্লাটফর্মে সম্পূর্ণ নতুন আবার কেউ বা অনেক আগ থেকেই ইউটিউবিং করছে। ইউটিউবের সমস্ত আপডেট ফিচারগুলো ( YouTube Update Feature ) পেতে হলে অবশ্যই একজন ইউটিউবারকে তাঁর ইউটিউব চ্যানলটিকে ভেরিফাই করে নিতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করে – How to verify YouTube channel? ভেরিফাই করার নিয়ম কি What is the way of YouTube Verify? এই সমস্ত সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর সম্মলিত আজকের আর্টিকেলটি।
ফেজবুক আইডি ভেরিফাই করার নিয়ম এর ন্যায় প্রায় হুবহু ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম। তবে পরোক্ষভাবে ইউটিউব ভেরিফাই করার মাধ্যমে ভিডিও তে ভিউ বাড়ানো যায়। এটা কিভাবে? যখন আমরা ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব প্লাটফর্মে একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করি, তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দিয়ে যেতে পারি কিন্তু সেই ভিডিও এর থাম্বেইল আমরা ইউজ করতে পারি না। কেননা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আমাদের কে সেই পারমিশন এখনো দেয় নি। শুধু মাত্র ভেরিফাইড প্রোফাইলগুলোই প্রতিটি ভিডিওতে থাম্বেইল ব্যবহার করতে পারবে। জেনে রাখুন, প্রায় ৯৭%+ মানুষ শুধু থাম্বেইল দেখেই সেই ভিডিওতে ক্লিক করে থাকে। সুতরাং এখন বোঝা গেল যে, একটি ভিডিও তে বেশি ভিউ আনার জন্য কেনো আকর্ষণীয় একটি থাম্বেইল প্রয়োজন। এবং থাম্বেইল ব্যবহার করার জন্য যে ইউটিউব ভেরিফাই করা প্রয়োজন তাও বোঝা গেল। সুতরাং আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে চলুন তাহলে জানা যাক ইউটিউব ভেরিফাই করার নিয়ম এবং স্টেপ বাই স্টেপ ধাপগুলো।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার প্রয়োজনীয় ডিটেইলস
অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ দুটি উপায় হচ্ছে ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকাম এবং ফেজবুক মাধ্যমে ইনকাম। মূলত এই দুই পদ্ধতিতে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপকারিতা পেতে হলে আমাদের কে পূর্ব থেকে সব রকমের ডেটেইলস অনলাইনে সেট করতে হবে। ঠিক একই ভাবে ইউটিউব যখন আমাদের চ্যানেলকে ভেরিফাই করবে, তখন তাঁর দেওয়া কন্ডিশানগুলো ফিল-আপ করে সাবমিটে ক্লিক করতে হবে। অন্যথায় ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই হবে না। আজকের আর্টিকেলটি যেহেতু ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম নিয়েই, তাই চলুন জানা যাক কিভাবে আমরা একটি ইউটিউব চ্যানেলকে খুব সহজেই ভেরিফাই করতে পারি। এর জন্য প্রয়োজনীয় ডিটেইলসগুলো হলো-
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার ( Active Mobile Number ).
- একটি জি-মেইল ( A Gmail ).
- একটি ইউটিউব চ্যানেল ( YouTube Channel ).
মূলত এই তিনটি জিনিস থাকলেই একজন ইউটিউবার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটিকে খুব সহজেই ভেরিফাই করে নিতে পারে।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সহজ নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল কয়েকভাবে ভেরিফাই করার নিয়ম রয়েছে। এখন আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আমরা সাধারণত ২ ভাবেই দেখবো ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সহজ নিয়ম। সেগুলো হলো মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম এবং অন্যটি হলো পিসি বা কম্পিউটার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সহজ নিয়ম। তাই চলুন বিলম্বিত না করে খুব দ্রুত সংক্ষেপে জানা যাক ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সহজ দুটি নিয়ম।
কম্পিউটার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম
কম্পিউটার দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাই করতে চাইলে তাহলে নিম্নক্তো নিয়ম বা স্টেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। আশা করি স্পেপগুলো ফলো/অনুসরণ করলে আপনি নিজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাই করতে পারবেন। এখন ধরে নিলাম আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এবং আপনার চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করতে চান। তাহলে চলুন স্পেপ বাই স্পেপ জানা যাক ভেরিফাই করার নিয়মটা।
- প্রথমে আপনি আপনার পিসিটি অন PC ON করে গুগল ক্রোম বাউজারে ক্লিক Click google chrome browser করুন।
- গগুল ক্রোম বাউজারে প্রবেশের পর https://youtube.com/ এ চলে যান।
- এবার Youtube আসার পর উপরের ডানদিকে দেখুন এখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে লগুর YouTube channel logo আইকন অথবা জিমেইল এর প্রোভাইল বা আইকন gmail icon টা দেখা যাচ্ছে। এখানে একটি মাউচ দিয়ে ক্লিক করুন।
- এবার দেখুন একটি লম্বা লিস্ট আকৃতির কতগুলো অপশান এসেছে। সেখান থেকে ইউটিউব স্টুডিওতে YouTube Studio তে ক্লিক করুন।
- এখন আপনি ইউটিউবের ব্যাকেন্ডে চলে আসছেন।
- এখন আপনি নিচের দিকে একটু তাকান, দেখুন এখানে সেটিংস Settings নামের একটি অপশান রয়েছে। আপনি এখানে ক্লিক করুন।
- ইউটিউব সেটিংস YouTube Settings এ ক্লিক করার পর সেটিংস এর ইন্টারফেসটি ওপেন হলো।
- এবার এখান থেকে চ্যানেল Channel এ ক্লিক করুন।
- চ্যানের Channel ক্লিক করার পর দেখুন তিনটি রো আকারে অপশান এসেছে।
- ৩টি অপশান হলো Basic Info, Advanced Settings, Feature eligibility নামক। এখানে থেকে Feature eligibility নামক অপশানে ক্লিক করুন।
- এখন দেখুন আবার দুটি অপশান যুক্ত ঘর চলে আসছে । এখান থেকে দ্বিতীয়টা অর্থাৎ Features that require phone verification bfm অপশানে ক্লিক করুন।
- এখানে ক্লিক করার পর আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার চাইবে। এখানে আপনি আপনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি দিন।
- এবার সাবমিট অথবা ভেরিফাই তে ক্লিক করুন।
- ব্যাস, আশা করি কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আপনাকে একটি কোড পাঠাবে।
- এখন সেই সেন্ডকৃত কোডটিকে বসিয়ে দিন।
- কোডটি বসালেই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাইড করে দিবে।
মূলত এভাবেই আমরা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিকে খুব সহজেই কম্পিউটার বা পিসি অথবা ল্যাপটপের মাধ্যমে ভেরিফাই করে নিতে পারি।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম
মূলত মোবাইল আর কম্পিউটার দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম প্রায়ই সেইম। এই ক্ষেত্রে একটু সমস্যা ফেস করতে হয়। যদি ভারী সফটওয়্যার ইনস্টল করার কেপাসেটি না থাকে মোবাইলে তাহলে প্রথমে মোবাইল কে দ্রুত করার উপায় অপ্লাই করতে হবে। চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক, যে কিভাবে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেলকে ভেরিফাই করতে পারবো। নিয়মটি হলো-
- প্রথমে আপনি আপনার ইউটিউব অ্যাপসসে লগ ইন করা অবস্থায় থাকবেন।
- এবার আপনি ইচ্চা করলে কোনো রকম সফটওয়্যার ছাড়াই দেখাবো ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম।
- এখন আপনাকে আমি দেখাবো ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে পারি। এর জন্য আপনাকে প্রথমে মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে যেতে হবে।
- তারপর সুন্দর করে ডানদিকের থ্রি-ডট মেনুতে ক্লিক করে Desktop Mood করে নিতে হবে।
- গগুল ক্রোম বাউজারে প্রবেশের পর https://youtube.com/ এ চলে যান।
- এবার Youtube আসার পর উপরের ডানদিকে দেখুন এখানে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে লগুর YouTube channel logo আইকন অথবা জিমেইল এর প্রোভাইল বা আইকন gmail icon টা দেখা যাচ্ছে। এখানে একটি মাউচ দিয়ে ক্লিক করুন।
- এবার দেখুন একটি লম্বা লিস্ট আকৃতির কতগুলো অপশান এসেছে। সেখান থেকে ইউটিউব স্টুডিওতে YouTube Studio তে ক্লিক করুন।
- এখন আপনি ইউটিউবের ব্যাকেন্ডে চলে আসছেন।
- এখন আপনি নিচের দিকে একটু তাকান, দেখুন এখানে সেটিংস Settings নামের একটি অপশান রয়েছে। আপনি এখানে ক্লিক করুন।
- ইউটিউব সেটিংস YouTube Settings এ ক্লিক করার পর সেটিংস এর ইন্টারফেসটি ওপেন হলো।
- এবার এখান থেকে চ্যানেল Channel এ ক্লিক করুন।
- চ্যানের Channel ক্লিক করার পর দেখুন তিনটি রো আকারে অপশান এসেছে।
- ৩টি অপশান হলো Basic Info, Advanced Settings, Feature eligibility নামক। এখানে থেকে Feature eligibility নামক অপশানে ক্লিক করুন।
- এখন দেখুন আবার দুটি অপশান যুক্ত ঘর চলে আসছে । এখান থেকে দ্বিতীয়টা অর্থাৎ Features that require phone verification bfm অপশানে ক্লিক করুন।
- এখানে ক্লিক করার পর আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার চাইবে। এখানে আপনি আপনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি দিন।
- এবার সাবমিট অথবা ভেরিফাই তে ক্লিক করুন।
- ব্যাস, আশা করি কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আপনাকে একটি কোড পাঠাবে।
- এখন সেই সেন্ডকৃত কোডটিকে বসিয়ে দিন।
- কোডটি বসালেই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাইড করে দিবে।
কম্পিউটার এবং মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করা খুবই সহজ। কিন্তু সুষ্ঠভাবে যদি আপনি সুন্দর করে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে চান, তাহলে আমাদেরকে কোনো একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভেরিফাই করতে হবে। উপরোক্ত সমস্ত কিছু ছিল মূলত ইউটিউব চ্যানেলকে ভেরিফাই করার নিয়ম সম্পর্কে।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধা
সব কিছুকেই পরিপক্বতা দিতে হয়া। ঠিক তেমনি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে পরিপূর্ণতা দিতে চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করতে হয়। আর ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধাও অনেক। যদিও সুবিধাগুলো সংখ্যা অল্প হলেও কিন্তু ভেনিফিটের দিক দিয়ে প্রচুর। উপরের আলোচনায় ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। মোবাইল ও কম্পিউটার উভয় পদ্ধতিতে কিভাবে চ্যানেল ভেরিফাই করতে পারবেন, তার স্টেপগুলো দেওয়া হয়েছে। এখন আপনাদের অনেকের মনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধা কী? কোনো কি সুবিধা রয়েছে ভেরিফাই করার মাধ্যমে? এরকম টাইপের প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আজকের আর্টিকেলটি। তাহলে চলুন জানা যাক ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধাগুলো-
- ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে বিশ্বস্ত করে নেয়। অন্যথায় চ্যানেলটি ফেক Fake Channel হিসেবে গণ্য করে। তাই ইউটিউব কর্তৃপক্ষ দ্ধারা বিশ্বস্তা অর্জন করতে চ্যানেলটিকে অবশ্যই ভেরিফাই করে নিবেন।
- লম্বা ভিডিও Lonh Video আপলোড করা জন্য চ্যানেল ভেরিফাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় একটি নন-ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেলকে শুধুমাত্র ১৫ মিনিট দীর্ঘ ভিডিও আপলোড দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু যখনই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করবেন, তখন থেকে আপনার ইচ্ছানুযায়ী দীর্ঘ দীর্ঘ ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন।
- আপনার ভিডিও যদি থার্ট পার্টি কেউ আপনাকে ক্রেডিট বা কোনো রকম না জানিয়ে অনুমতি না নিয়েই তাঁর চ্যানেলে আপলোড দিয়ে দেয়, তাহলে আপনি কপি রাইট ক্লেইম Copy right claim করতে পারবেন। অন্যথায় আপনি কপি রাইট ক্লেইম করতে পারবেন না।
- প্রায় সময় আমাদের ইউটিউবের মাধ্যমে লাইভ/সরাসরি YouTube Live করতে হয়। কিন্তু এই ফিচারটি YouTube Feature শুধু মাত্র একটি ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল উপভোগ করতে পারে।
- এখন আসি মূল একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা নিয়ে। আমরা মূলত ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্যই চ্যানেলটি তৈরি করি এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে যাই। কিন্তু কি হবে, যদি আমরা সকল কিছু ফিল-আপ করে চ্যানেল দ্ধারা টাকা ইনকাম করতে না পারি! এই জিনিসটা ঘটে তখন যখন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিকে মনিটাইজ YouTube Channel Monetization করা না থাকবে। তাই অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটিকে মনিটাইজ করে নিতে হবে। কিন্তু যদি আমরা ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাইড না করে রাখি পূর্ব থেকেই, তাহলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ চ্যানেলটিকে মনিটাই করতে দিবে না। সুতরাং চ্যানেল মনিটাইজ করে টাকা আয় করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের কে চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করে নিতে হবে। ( ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় জানতে এবং ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে খোলার নিয়ম সম্পর্কে পড়ুন )
- ইউটিউবের একটি অত্যাধুনিক ফিচার হলো Fan Funding Feature যা মূলত যেসব ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাইড, সেগুলোই উপভোগ করতে পারে। অন্যথায় একটি নন-ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল Fan Funding Feature উপভোগ করতে পারে না।
মূলত এগুলোই ছিল ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধা গুলো। উপরোক্ত সুবিধাগুলো দ্ধারা একজন ইউটিউবার কেমন উপকৃত হবে তা বোঝার আর অপেক্ষা রাখে না। অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল স্বয়ং-সম্পূর্ণ হতে হলে সেই চ্যানেলটিকে প্রোপার ওয়েতে ভেরিফাই করা উচিত। এখানে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার ৬টি সুবিধার দিক উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার আরো অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। যেমন অন্যতম একটি হলো ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তেমনি এরকম আরো অনেকগুলো সুবিধার দিক রয়েছে। যেগুলো একজন ইউটিউবার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করার মাধ্যমে পেতে পারে। সুতরাং উপরোক্ত ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার সুবিধাগুলো পেতে খুব দ্রুত আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করুন।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
সামাজিক নানা প্লাটফর্মে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম জানতে চেয়ে নানা রকম প্রশ্ন হয়ে থাকে। সেখানে ভেরিফাই করার পর কী সুবিধা সহ অসুবিধায় পড়তে হয় তা নিয়েও আলোচনা হয়। অর্থাৎ একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রতি সমস্ত জ্ঞান নেওয়ার জন্য অথবা অনেকে পরিস্থিতে পড়ে এসব প্রশ্ন করে থাকে। তাই এখানে আমরা ৩টি কমন প্রশ্ন রেখেছি, যেগুলো প্রায় সব ইউটিউবাররা তাদের চ্যানেলটিকে ভেরফাই করার সময় করে থাকে। চলুন তাহলে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তরগুলো জেনে নিই-
উত্তর হলো হ্যাঁ। আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করতে যাবেন, তখন অবশ্যই যখন নাম্বার দিবেন, তখন কান্ট্রি কোড সহ দিবেন। যেমন বাংলাদেশী নাম্বার দিয়ে ইউটিউব ভেরিফাই করতে চাইলে +880180000000 এভাবে ব্যবহার করতে হবে।
হ্যাঁ, মোবাইল দ্ধারা সম্ভব। এই আর্টিকেলে দেখানো হয়েছে কিভাবে আপনি ইউটিউব চ্যানেল মোবাইল দ্ধারা ভেরিফাই করবেন।
অবশ্যই সমস্যা হবে। তাই আমার দিক-নির্দেশনা থাকবে ফেইক কোনো কিছু ব্যবহার করবেন না যখন আপনি ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করবেন।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই সম্পর্কে শেষ কথা
কেউ যখন একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলে তখন কিন্তু সে পূর্ণ একটি মনোভাব নিয়েই ইউটিউব চ্যানেলটি খোলে। আবার অনেকে ইউটিউব চ্যানেলকে তাঁর জীবনের ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করলে যেহেতু ইউটিউব চ্যানেলটিকে টাকা ইনকামের একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে চান, তাই প্রোপার উপায়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করে ফেলুন। এতে করে এই আর্টিকেলে উল্লেখিত আপডেট ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন আপনার ভিডিও গুলোতে। উক্ত ফিচারগুলো আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোর মান আরো উন্নত করে। তাই আমাদের দিক-নির্দেশনা থাকবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর পরই খুব দ্রুত চ্যানেলটিকে ভেরিফাই করুণ এবং ফিচারসহ সব রকম সুবিধা উপভোগ করুন।