খুশকির ইংরেজি নাম হলো ড্যানড্রপ যার ভোক্তভুগি মোটামোটি আমরা সবাই। আর খুশকি দূর করার উপায় হিসেবে বাজারজাত নানা রকম ওয়েলসহ শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে কেউ খুশকি দূর করার তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে উপকার পায় আবার কারো ক্ষেত্রে ঘটে সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা। ডাক্তারগণ একে স্যাবোরিক ডার্মাটাইটিসও বলে থাকে। খুশকির কারণে মাথার চুল পড়া শুরু হয়, কারো কারো ক্ষেত্রে মাথার সম্পূর্ণ চুল পড়ে যায়। আমাদের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে চুল হলো একটা বড় অংশ। নারীদের ক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু অতিরিক্ত খুশকির কারণে মাথার চুল পড়ে যদি চুল শূণ্য মাথা করে ফেলে তখন সৌন্দর্যের অবনতি ঘটে।
অতিরিক্ত খুশকি যে চুলের পুষ্টিগুণগুলো নষ্ট করে ফেলে এবং পুষ্টির অভাবে চুল ভেঙ্গে পড়ে। মাথার মধ্যে অতিরিক্ত খুশকি চুলকানি সৃষ্টি করে। এতে অনেকে প্রচুর পরিমাণে চুলকিয়ে কাপড়ের অবস্থা খারাপ করে ফেলে খুশকির গুড়ো দিয়ে। সাথে অন্যদেরও সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভালো একটি মিটিং এবং পারসোনালিটি ডেমেজ করার ক্ষেত্রে এটিই যথেষ্ট।
সিজনাল কিংবা শারীরিক সম্যাসার কারণেও মাথায় অতিরিক্ত খুশকি হতে পারে। যেমন শীতকালে তুলনামূলকভাবে খুশকি বেশি হয়ে থাকে। এর একটি কারণ হলো শীতকালে বাতাসে আদ্রতা খুব কম থাকে। এছাড়াও যাদের মাথা বেশি তৈলাক্ত থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও উক্ত সমস্যাটির মুখামুখি হতে হয়।
খুশকি হলো মূলত আমাদের মাথার উপরের ত্বকের অংশ বা স্ক্যাল্প। মেডিকেলের ভাষায় ডাক্তারগণ একে স্যাবোরিক ডার্মাটাইটিসও বলে থাকে । খুশকি যে শুধু মাত্র মাথায় হতে পারে তা নয়, এটি হতে পারে আইব্রোতে,নাকের দু-পাশে সহ শরীরের আরো অনেক অংশে।
মাথায় খুশকি হওয়ার কারণ
খুশকি দূর করার উপায় জানার আগে মাথায় খুশকি হওয়ার কারণ জানা অত্যাবশ্যক। কেননা খুশকি হওয়ার কারণ জানতে পারলে প্রতিকার আমরা খুব সহজেই করতে পারবো। চলুন জানা যাক কারণগুলো।
মাথা থেকে ঝড়ে পড়া হলুদ ও সাদা গুড়ো অংশগুলো হলো মূলত আমাদের মাথার মধ্যে কোষের মৃত অংশগুলো। মেলাসেজিয়া নামক একপ্রকার ছত্রাক আমাদের মাথার মধ্যে থাকে এর প্রধান কাজ হচ্ছে নতুন কোষ জন্মাতে সহায়তা করা। এর মধ্যে আমাদের অনেক চুল হলো তৈলাক্ত। মেলাসেজিয়া নামক ছত্রাকটি তৈলাক্ত এবং ময়লাযুক্ত ত্বক ফেলে অতিরিক্ত কোষ বৃদ্ধি করে থাকে। এমতোবস্থায় অতিরিক্ত কোষগুলো বিভিন্ন কারণে মরে যায় এবং কোষের ছোট ছোট অংশগুলো খুশকি আকারে পড়ে।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে মাথায় খুশকি হওয়ার। শুষ্ক ত্বক হলো অন্যতম একটি কারণ। বিশেষ করে শীতকালে উক্ত সমস্যার সম্মখীন হতে হয় বেশি। কেননা শীতকালে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কম থাকায় মাথার ত্বকের অংশ থেকে পানি অপসারিত হয়ে যায়। ফলে কোষ মরে গিয়ে খুশকি হয়।
মাথায় খুশকি হওয়ার কারণ হলো মাথার ত্বক শুষ্ক, মেলাসেজিয়া নামক ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ, নিয়মিত চুল না আচঁড়ানো, তৈলাক্ত মাথা, শ্বেত প্রদর জাতীয় অসুখ, যথেষ্ট পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার না করা, সঠিক খাদ্যভ্যাসের অভাব, অতিরিক্ত মানসিক চাপ সহ ইত্যাদি কারণে মাথায় খুশকি হতে পারে।
খুশকি দূর করার উপায়
খুশকি হওয়াতে যে পার্সোনালিটিতে প্রভাব পড়ে শুধু তা নয়, শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। তাই আমাদের নিম্নোক্ত খুশকি দূর করার উপায়গুলো মান্য করে মাথা থেকে খুশকি দূর বা অপসারণ করতে হবে।
খুশকি দূর করার উপায়গুলো
খুশকি দূর করতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
কম খরচে এবং খুব সহজে খুশকি দূর করতে এই পদ্ধতিটি অবলম্বণ করা যেতে পারে। বাজার থেকে ভিনাগার কিনে এনে অথবা ঘরে তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে। মাথার সাইজ অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী একটি পাত্রে ভিনেগার নিতে হবে এবং সমপরিমাণ পানিও নিতে হবে। ভিনেগার এবং পানি মিক্স করে মাথায় ভালোভালে মালিশ আকারে দিতে হবে এবং ১৫-৩০ মিনিট দিয়ে রাখতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ মাথা ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২ কিংবা ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ এই ভাবে ভিনেগার ব্যবহার করলে মাথা থেকে খুশকি দূর হবে।
নারিকেল তেল ও লেবুর রস ব্যবহার
খুশকি ছাড়াতে বা দূর করতে নারিকেল তেল এবং লেবু রস প্রাচীনকাল হতেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্যবহার বিধি পূর্বের পদ্ধতির মতোই। প্রথমে আপনাকে ৩-৪ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এর সম পরিমাণ লেবুর রস নিতে হবে। এগুলো একসাথে মিক্স করতে হবে। এবার চুলের গোড়ায় নারিকেল তেল ও লেবুর রসের মিক্সকে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। কয়েক মিনিট রাখার পর মাথা ভালো একটি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন। খুশকি দূর হয়ে যাবে।
জলপাই তেল ব্যবহার
ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করতে জলপাই তেল বেশ কার্যকারী। ত্বকের যত্নে এবং সুস্থ্যতার জন্য অনেক দেশে জলপাই তেল ব্যবহার করে থাকে। শীতকালে বাতাসে আদ্রতার ঘাটতি থাকায় আমাদের দেহ থেকে পানি বের করে নেয়, ফলে আমাদের দেহ ফেঁটে যায় পাশাপাশি খুশকির সৃষ্টি হয়। এইক্ষেত্রে জলপাই তেল খুবই উপকারি। কেননা জলপাই তেলে আছে মায়েশ্চারাইজার। এটি আমাদের ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ফলে মাথায় খুশকি হয় না।
বেকিং সোডা ব্যবহার
মাথায় খুশকি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে মেলাসেজিয়া নামক ফাঙ্গাস বা ছত্রাক। আর এই ছত্রাক রোধে আমরা বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারি। প্রথমে আমাদের মাথাটাকে কুম-কুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর বেকিং সোডা দিয়ে ভালোভাবে মাথাকে ম্যাসাজ করতে হবে। কয়েক মিনিট পর মাথাটা ভালো করে পানি দিয়ে এবং নগদিয়ে আচঁড়িয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে মেলাসেজিয়া নামক ছত্রাকটি মারা যাবে। এমন করার পর মাথা অত্যধিক শুষ্ক শুষ্ক লাগবে কিন্তু কয়েকদিন পর পুনরায় আবার আগের মতো বেশ তৈলাক্ত ভাবে ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, অবশ্যই ধোয়ার সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
লবণ ব্যবহার
খুশকি দূর করতে লবণ চিকিৎসা নতুন কিছু নয়। প্রাকৃতিক পরিস্কারক বলা হয় লবণকে। মাথায় যখন প্রচুর খুশকি হয় এবং তা মাথার ময়লা কিংবা অন্য কারণে তখন যদি খুশকি দূরে লবণ ব্যবহার করা হয়, এবং ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলা হয়, তাহলে মাথায় আর খুশকি থাকে না। লবণাক্ত মাথায় শ্যাম্পু অনেক কার্যকারী। খুশকি দূর করতে একবার লবণ চিকিৎসা নিয়ে দেখুন, আশা করি খুশকি দূর করতে উপকার পাবেন।
অ্যালোভেরা ব্যবহার
খুশকি দূর করায় চিকিৎসায় অ্যালোভেরা হলো অন্যতম একটি উপাদান। অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানের গুণ। আমরা জানি, ফাঙ্গালের কারণে মাথায় খুশকি হয়। সুতরাং মাথায় যদি এমন কিছু দিতে পারি যা উক্ত ফাঙ্গালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, তাহলে মাথা থেকে খুশকি দূর করতে পারা যাবে। এছাড়াও অ্যালোভেরাতে রয়েছে চর্ম, এলার্জি, পোড়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা। ত্বকের যত্নেও অনেকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকে।
অ্যালোভেরা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির ছত্রাকে বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ পারদর্শী। শুধু খুশকি নয়, মাথার চুলের অপুষ্টি সহ ছাত্রাকের কারণে ভেঙ্গে যাওয়া সহ আরো অনেক রকম চুলের সমস্যা রোধ করে। এছাড়াও অ্যালোভেরা প্রদাহ কমাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকার পাশাপাশি ফর্সা হওয়ার জন্যও ব্যবহার হয়। তাই খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে।
খুশকি দূর করতে লেবু
লেবু যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তেমনি খুশকি দূর করতেও লেবু বেশ কার্যকারী। লেবুতে আছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ উপাদান এবং মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে লেবু। আলাদাভাবে মাথায় লেবু ব্যবহার করতে পারেন আবার নারিকেল তেল বা জলপাই তেল অথবা বেকিং সোডার সাথেও লেবু ব্যবহার করতে পারেন খুশকি দূর করতে। তবে এখানে শুধু লেবুর ব্যবহারের কথাই উল্লেখ করবো।
খুশকি দূর করতে লেবুকে সঠিকভাবে মাথায় ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য প্রথমে দুই কিংবা তিন টেবিল চা-চামচ লেবুর রস নিয়ে সম্পূর্ণ মাথায় মেসাজ করুন ভালোভাবে। কোনো অংশ যাতে বাদ না পড়ে। কয়েক মিনিট পর মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আবার এক টেবিল চা-চামচ লেবুর রস নিন এবং সাথে এককাপ বা দুই কাপ পানির সাথে মিশেয়ে নেন। এখন ভালো ভাবে পুনরায় মাথাতে মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট এভাবে রেখে মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করতে এভাবে প্রতিদিন করে কয়েকদিন উক্ত কাজটি চালিয়ে যান, আশা করি আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। অনেকে মাথার খুশকি না কমা পর্যন্ত এভাবে লেবু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করতে থাকে।
খুশকি দূর করার তেল
খুশকি দূর করতে তেলের ব্যবহার নতুন নয়। অনেক আগ থেকেই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে খুশকি মাথা থেকে দূর করার জন্য। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন – মেথি তেল, নারিকেল তেল, জলপাই তেল, সরিষার তেল সহ আরো অনেক রকম তেল আছে যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
সবগুলো তেল একসাথে ব্যবহার করা যাবে না। উক্ত তেলগুলো থেকে যেকোনো একটি দিয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে। যেমন উপরের বর্ণানা করেছি নারিকেল তেল দিয়ে কীভাবে মাথার খুশকি দূর করা যায়, আবার দেখিয়েছি জলপাই তেল ব্যবহার করে কীভাবে খুশকি দূর করা যায়। মূলত নির্দিষ্ট কিছু তেল ব্যবহার করে মাথার খুশকি দূর করা সম্ভব।
খুশকি দূরে টক দই ব্যবহার
দক দই-য়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা আমাদের মাথায় থাকায় ছাত্রাককে মেরে ফেলতে সহায়তা করে থাকে। দই হলে প্রোবটিক্সের একটি ভালো অংশ, যা খুশকি দূর করতে বা নিরাময় করতে বেশ কার্যকারী।
প্রথেমে টক দই যেকোনো একটি পাত্রে নিয়ে নিন এবং পুরো মাথায় ভালোভাবে মেখে নিন। খেয়াল রাখবেন কোনো অংশ যাতে বাদ না পড়ে । আঙ্গুল ও নোখ দিয়ে ভালোভাবে আচঁড়িয়ে মাখুন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর মাথা ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং হালকা জাতীয় কোনো একটি শেম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহ জুড়ে কয়েকবার দই দিয়ে মাথা পরিষ্কার করুন। এতে করে মাথার খুশকি দূর হবে।
খুশকি দূর করার সেম্পু
মাথার খুশকি দূর করতে সেম্পু বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তবে এই ক্ষেত্রে প্রধান বান্ধকতা হচ্ছে কী ধরনের সেম্পু ব্যবহার করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই অংশটি। বিভিন্ন রকম সেম্পু বাজারে রয়েছে। প্রত্যেকটিতে বর্ণনা করা রয়েছে উক্ত সেম্পু খুশকি দূর করতে বেশ উপকারি। কিন্তু বাস্তবে এসব সেম্পু যতটা না চুলের জন্য উপকারি তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর আমাদের মাথার ত্বকের জন্য চুলের জন্য । তাই আমাদের চুল রক্ষার্থে এবং খুশকি দূর করতে মূল্যবান সেম্পুটি বাঁচাই করতে হবে। এখানে মাথার খুশকি দূর করার কিছু কার্যকারী সম্পন্ন সেম্পুর তালিকা দেওয়া হলো
- হিমালয়া অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু
- নাইল অ্যান্টি ড্যানড্রাফ সেম্পু
- ওয়াও অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু
- হেড অ্যান্ড শোল্ডার অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু
- রিক্যাল ড্যানড্রাফ কন্ট্রোল শ্যাম্পু সহ ইত্যাদি রকমের খুশকি দূর করার সেম্পু রয়েছে।
উক্ত সেম্পুগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে মাথার খুশকি দূর করতে পারা যাবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। ব্যবহারের আগে প্রত্যেকটিতে থাকা ইনস্ট্যাকশন ম্যানুয়েল পড়ে নিতে হবে এবং নিয়ম-মাফিক উক্ত সেম্পুগুলো ব্যবহার করতে হবে।
শীতে খুশকি দূর করার উপায়
মাথায় খুশকির সমস্যা বেশিরভাগ দেখা যায় শীতে কালেই। শীতে খুশকি বেশি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো বাতাসের আদ্রতা ঘাটতির কারণে। যে বিধায় শীতে খুশকি দূর করার জন্য উপায়গুলো আমাদরে প্রত্যেকেরই জানা উচিত। এগুলো হলো-
- শীতকালে নিয়মিত শ্যাম্পু করা এবং শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলো ভিজিয়ে নেওয়া।
- রাতে শুয়ার আগেই ভালোভাবে সম্পূর্ণ মাথায় লেবুর ও আমলকির রস ম্যাসাজ করুণ এবং সকালে ঘুম থেকে উঠেই চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দ্ধারা।
- নারিকেল তেল কুম কুম গরম করে চুলের গোড়ায় দিন।
- টক দই চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
- পেয়াজের রস দিয়ে মাথা পরিষ্কার করতে পারেন।
- সর্বশেষ আলাদা তোয়ল এবং চিরুড়ি ব্যবহার করতে চেষ্টা করুণ
উপরোক্ত পদ্ধতিতে শীতে খুসকি দুর করতে পারা যাবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বেশিক্ষণ চুল ভেজা রাখা যাবেনা। কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে মাথা থেকে খুশকি খুব সহজে এবং অল্প সময়েই দূর করা সম্ভব।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোই হলো খুশকি দূর করার উপায়। নিয়ম অনুযায়ী এবং সঠিকভাবে মান্য করলে যেকেউ তার মাথা থেকে খুশকি দূর করতে পারবে।