ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে জানার আগ্রহ এবং ইমপ্রেশন ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে চমৎকারভাবে লক্ষণীয়! ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা কাকে বলে, কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিভাবে আয় করা যায়, কোথায় থেকে শিখবো-কিভাবে শিখবো সহ ইত্যাদি ধরনের প্রশ্ন একজন বিগেইনারের নিকট থাকে। তাদের সুবিধার্থে এবং এসব সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রদান করতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য সম্মলিত আজকের আর্টিকেলটি। পুরো লেখাটি পড়লে অবশ্যই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার জন্য অনেকটা গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে এবং এতে সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে টাকাও আয় করার সম্ভাবনাও রয়েছে। ( ঘরে বসে টাকা আয় করার নিয়ম ও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাইলে এটি পড়ুন)
সহজ ভাষায় বললে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে আমাদের বিশ্বে মার্কেটিং সম্পর্কিত কাজগুলোকে ডিজিটাল ভাবে করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বা এমন সবকিছুর মার্কেটিং করতে স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকার কোনো রকম প্রয়োজন পড়ে না। শুধু ইন্টারনেটে কানেক্ট থেকে প্রোডাক্ট বা অন্য সব কিছুর মার্কিটিং করতে পারবেন। আর একেই বলে ডিজিটাল মার্কেটিং।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় কয়েক লাখ ফ্রীল্যান্সার রয়েছে। যারা অনলাইনে ইনকাম করছে। পাশাপাশি অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং করছে আবার কেউ বা হয়তো অ্যাপস দিয়ে টাকা আয় করছে। মূলত যদিও এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত নয় কিন্তু এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্ভিস দেওয়া সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। ব্যাসিকভাবে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব ক্যাটাগরির কাজগুলো মূলত একই টাইপের। তাই আজকের আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে যেকোনো একটি ক্যাটাগরিকে আমরা কেন্দ্র করে পুরো আর্টিকেলটিকে সাজাবো। যেন অল্প কথা বা আলোচনায় আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্মুখ একটি ধারণা লাভ করতে পারি। তাহলে চলুন আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। ( ফেসবুকে টাকা আয় করুন এবং অনলাইনে টাকা ইনকাম করার নিয়ম জানুন )
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় – Way to learn Digital Marketing
যেহেতু ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা কাকে বলে ( What is Digital Marketing?), সুতরাং এখন আমাদের নিকট ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত মোটামোটি একটি ধারণা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন কয়েকটি হলো-
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা
- ফেসবুকের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং
- ইনস্ট্রাগ্রাম এর মাধ্যমে
- লিংকডিন এর মাধ্যমে
- টুইটারের মাধ্যমে সহ ইত্যাদির মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা
এখন সবগুলা প্লাটফর্মের মাধ্যমে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং Digital Marketing Platform করতে হয় তা আজকের একটি আর্টিকেলের মাধ্যম দেখানো বা শিখাবো টাপ একটি বিষয়। যদিও ইতিমধ্যে আমরা ফেসবুকের মাধ্যম টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছি। তবে আজকের আমরা শিখবো বর্তমানে ট্রেন্ডি ও সবচেয়ে সেরা একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্লাটফর্ম সম্পর্কে। আর সেটি হলো কিভাবে আপনি ওয়েব-সাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তাঁর সম্পর্কে A-Z. মূলত যদি আপনি আজকের আর্টিকেলে দেখানো টপিকটি সম্পর্কে বোঝতে পারেন অর্থাৎ কিভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়,তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পর্কে প্রায় ৭০-৮০% জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হবেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর জগতে স্ব- ওয়েবসাইট ভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং করার কতটা সুবিধা। এই সম্পর্কে আমরা যখন আলোচনা করবো, তখন ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার হবে আমাদের নিকট। এখন হয়তো অনেকের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা কিভাবে শিখে বা শিখার উপায়! তাহলে চলুন বিলম্ব না করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানা যাক। ( অ্যাডসেন্সে থেকে টাকা তুলুন )
ওয়েবসাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়- Way to learn Digital Marketing by website
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হলো বর্তমানে ট্রেন্ডিং trending marketing system এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তুলনামূলকভাবে চিন্তা করলে অন্য সকল সামাজিক প্লাটফর্ম থেকে ওয়েবসাইটে বেশি কাজ হয়। যে বিধায় বিগেইনার হিসেবে সকলের উচিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা। এখন কিভাবে আপনি ওয়েব সাইট তৈরি করবেন Make Website অথবা ওয়েবসাইট তৈরির উপায়, ওয়েব সাইটে এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট, ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন ইত্যাদি হলো একটি ক্রিটিকাল বিষয়। তবে একবার শিখে ফেললে তা আপনার নিকট সহজে পরিণত হবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই। আর আজকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট একটি পার্ট নিয়ে আলোচনা করবো। আর সেটি হলো- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Digital marketing)। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে আরেকটি নির্দিষ্ট সেক্টর নিয়ে আলোচনা করবো। সেটি হলো-
অ্যামাজন এফিলিয়্যাট মার্কেটিং ( Amazon Affiliate Marketing )
এখন এফিলিয়্যাট ডিজিটাল মার্কেটিং এর এর প্রথম থেকে শেষ অবধি সংক্ষিপ্তে জানার চেষ্টা করবো। এর পর ধারাবাহিকভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন জানা যাক এফিলিয়্যাট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পর্কে সম্মুখ একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা লাভ করা যাক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – Affiliate Marketing
আমরা যারা যারা বেশ কয়েকদিন বা মাস অথবা বছর ধরে অনলাইনে রয়েছি, তাঁর মধ্যে প্রায় সবাই অ্যাফিলিয়েট টার্ম, শব্দ বা কিওয়ার্ডটি শুনেছি। এখন এর মধ্যে অনেকে টার্মটি শুনার পর এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি আবার কেউ বা ইগনোর করেছি। এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? বা কাকে বলে?
যদি সহজ ভাষায় বলি, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মূলত ইন্টারনেটে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে অন্যের প্রোডাক্ট বা মাল বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে সেখান থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারসেন্টেজ অর্থ আয় করা। এটি হলো একেবারে সহজ একটি ভাষায় অ্যাফিলিয়েট এর সংজ্ঞা।
তাহলে আমরা জানতে পারলাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি বা কাকে বলে। এখন চলুন জানা যাক,কিভাবে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারি সে সম্পর্কে। সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। কিন্ত অনেকে তা বিভিন্ন প্লাটফর্ম তথা সামাজিক প্লাটফর্মগুলো, ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম সহ অন্য সকল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কয়েকটি প্লাটফর্মের নাম উল্লেখ করা হলো-
- ওয়েবসাইট (website)
- ফেসবুক (Facebook)
- ইউটিউব (YouTube)
- টুইটার (Twitter)
- লিংকডিন (LinkedIn)
- ফোরাম সহ ইত্যাদি (Forum)
উপরোক্ত মাধ্যমগুলো হলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় এবং চলমান প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই যদি আপনি ডিজিটার মার্কেটিং তথা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে উক্ত প্লাটফর্মগুলোর যেকোনো একটি অথবা একাধিক প্লাটফর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, আপনি কাদের অ্যাফিলিয়েট করবেন? অর্থাৎ কাদের থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে অন্যদের নিকট প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে বিক্র করবেন? কেননা আপনার তো কোনো প্রডাক্ট নেই! বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অনেকগুলো ই-কমার্স সাইট এই অফার প্রদান করে রেখেছে। যদি কোনো ব্যক্তি অ্যাফিলিয়েট করতে চায়, তাহলে সে তাদের ই-কমার্সের প্রোডাক্টগুলোকে বিক্রির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করতে পারে। প্রত্যেক প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারসেন্টেজ দিয়ে দিবে। এখানে এমন কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের নাম উল্লেখ করা হলো যেগুলো থেকে আপনিও অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন। সেগুগুলো হলো-
- Amazon
- Alibaba
বাংলাদেশি কয়েকটি ই-কমার্স সাইটের নাম হলো-
- Daraz
- BDShop
এরকম আরো অনেকগুলো ইকমার্স E-commerce রয়েছে, যেখানে আপনাকে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং তথা অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিচ্ছে। চলুন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে আমরা অ্যামাজন কে নিয়ে একটু বিশ্লেষণ করি।
অ্যামাজন এফিলিয়্যাট ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম এবং জনপ্রিয় একটি সেক্টর হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে ইন্টারনেটে থাকা প্রায় সবগুলো ওয়েবসাইট অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। আবার কেউ বা নির্দিষ্ট ভাবে শুধু মাত্র অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কে কেন্দ্র করেই ওয়েবসাইট রান করে। যদি উদাহরণ দেই, তাহলে দেখতে পাবো যে, নিউ-ইয়র্ক টাইমস New York-times এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং Amazon Affiliate Marketing করে থাকে।
এখন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং Affiliate Marketing এর জন্য বেশ কিছু কাজ করতে হয়। যেমন-
- Niche Research
- Keyword Research
- Website Design
- Content Planning
- Content Publish
- Affiliate link add
এরকম অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে স্টেপ বাই স্টেপ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করা যায়। তাই আপনি যদি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করতে চান, তাহলে উপরোক্ত স্টেপগুলোকে ফলো বা অনুসরণ করতে পারেন। মূলত এটিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা এবং এভাবেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। তবে শিখার উপায় হিসেবে সবচেয়ে ভালো দিক-নির্দেশনা হচ্ছে অতিরিক্ত প্র্যাক্টিস করা।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় নিয়ে শেষ কথা
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হয় বা শেখার উপায় সম্পর্কে মূলত ইতিমধ্যে আপনার মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়ে যাওয়া কথা। যদি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। এখানে খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে বোঝানো হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে। আরো বোঝানো হয়েছে যে, কিভাবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পাশাপাশি স্টার্ট করতে পারেন। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন কোন প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। এবং সর্বশেষ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর একটি উদাহরণ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং Digital Marketing সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে। এখন পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান লাভ করতে হবে। এরপর আসে প্র্যাক্টিস এর ব্যাপারটি। প্রচুর পরিমাণ প্র্যাক্টিস করতে হবে। অন্যথায় মূল কাজে যখন যাবেন, তথন সব কিছু এলোমেলো করে ঘুলিয়ে ফেলবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পর প্রচুর পরিমাণে নিজে নিজে প্র্যাক্টিস করতে হবে। এভাবে কাজ চালিয়ে গেলে আশা করি আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। সুতরাং সর্বশেষ বলা যায় যে, আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানার পাশাপাশি অন্য সকল উদাহরণগুলো দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পেরেছি। (মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম ও নুতন জিমেইল খোলার নিয়ম দেখে নিন )