সৌন্দর্য এবং সুস্বাস্থ্য শরীর বুঝানোর জন্য মুখের হাসিই যথেষ্ট। দাঁতের সঠিক পরিচর্চার এবং যত্নের মাধ্যমে দেওয়া যায় এ সুন্দর হাসি। সঠিক উপায়ে দাঁতের পরিচর্চা করলে দাঁত হয় পূর্বের থেকে মজবুত এবং সুন্দর।
অনেকে দাঁতের যত্ন নিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার পেস্ট কিংবা ঔষধ ব্যবহার করে থাকে, ফলাফল সরুপ তাদের দাঁতের সমস্যা দেখা দেয় যেমন, দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়া, দাঁতে ছিদ্র হওয়া, দাঁত হলুদ বর্ণ ধারণ করা, দাঁতে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
আজকের আর্টিকেলে আমরা দাঁতের সমস্যা এবং দাঁতের যত্ন নেওয়ার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো পাশাপাশি দাঁতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
দৈনন্দিন জীবনে দাঁতের কিছু কমন এবং প্রচলিত সমস্যাগুলো
- দাঁতের সমস্যা
- দাঁতের মাড়ির সমস্যা
- দাঁতে ব্যথার সমস্যা
- দাঁতের ক্যাভিটি বা ছিদ্র সমস্যা
- ব্যথার কারণে দাঁত তুলে ফেলা ভালো নাকি খারাপ
- আক্কেল দাঁতের ব্যথার সমস্যা
- দাঁত পরিষ্কার রাখা
- দাঁতের যত্নে স্কেলিং করা
- দাঁতের যত্নে ফিলিং করা
- উঁচু বা এলোমেলো দাঁতের বিন্যাস ঠিক করা
- আক্কেল দাঁতের যত্ন
- মুখ ও দাঁতের যত্ন
দাঁতের সমস্যা
রোগমুক্ত দাঁত কে না পছন্দ করে? আমরা সবাই চাই আমাদের দাঁতগুলো থাকুক সুস্থ্য এবং রোগামুক্ত। কিন্তু পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে এবং নিজেদের উদাসীনতার কারণে আমরা আমাদের দাঁতের অনেক ক্ষতি করে ফেলি। তখনই দাঁতে আক্রমণ করে ফেলে বিভিন্ন রকমের রোগ-জীবানু এবং দাঁতের বিভিন্ন রকম অসুখ। ফলে দেখা দেয় দাঁতের নানান রকম সমস্যা। দাঁতের মাড়ি কালচে হয়ে যাওয়া, দাঁতে ব্যথা হওয়া, দাঁতে হলদে বর্ণের ভাব আসা, দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁত ভঙ্গর হওয়া, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পরা বা পুঁজ জমা ইত্যাদি রকম সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে মুখ খুবই বিশ্রী হয়ে উঠে। দাঁতের সমস্যা ভালো করার জন্য এবং রোগ ব্যাধী দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত দাঁতের যত্ন নেওয়া দরকার এবং তা সঠিকভাবে পরিচর্চা করাও দরকার।
দাঁতের মাড়ির সমস্যা
দাঁতের মাড়ি ব্যথা এবং দাঁতের সেনসিটিভিটিতে শিরশির অনুভূতি হওয়া বর্তমানে কমন একটি দাঁতের সমস্যা । শিরশির থেকে ক্রমে দাঁতের ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় এই ব্যথা তীব্র রুপ ধারণ করে। তখন রোগী বাধ্য হয়ে দাঁতের ডাক্তোরের কাছে শরাপন্ন হতে হয়।
আমাদের দাঁতের উপরের অংশের নাম হলো এনামেল বা দাঁতের আবরণ। যখন এই আবরণ কোনো কারণে ক্ষয় হয়,তখন দাঁতে শিরশির অনুভূত হয়। এবং সে মূহর্তে ঠান্ডা, বরফ বা টক খেলে দাঁতে শিরশির ফিল হয়।
বিভিন্ন কারণে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হওয়ার কারণ
- ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করা
- শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা ব মাজা
- একটি দাঁতের সঙ্গে আরেকটি দাঁত খুব জোরালোভাবে লেগে থাকা
- দাঁতে শক্ত ধরনের আঘাত খাওয়া ইত্যাদি
মোটামোটি এ কয়েকটি কারণে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় যার ফলে দাঁতের সেনসিটিভিটি বেড়ে যায়।
দাঁতে ব্যথার সমস্যা
দাঁতের ব্যথা বর্তমানে একট কমন রোগে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন কারণেই এ ব্যাথ্যা শুরু হতে পারে। শীতে বা গরমে দাঁতের ব্যথার তারতম্য ঘটতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে দাঁতের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও আছে আরো অনেক কারণ। দাঁতের ব্যতার কারণ
- দাঁতের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গর্তের কারণে দাঁতের ব্যথা তৈরি হয়
- তৈরি হওয়া দাঁতের গর্তে ময়লা আটকে থাকলে
- বেশি ঠান্ডা খেলে
- হঠাৎ শক্ত জাতীয় খাবার চিবালে
- দাঁতের ছিদ্র দ্বারা মাড়ি কোনো কারণে আক্রান্ত হলে
এগুলো হলো দাঁতে ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার কয়েকটি কারণ। তবে নাম না উল্লেখ করা আরো অনেক কারণ আছে যা দ্ধারা দাঁতের ব্যথা তৈরি হতে পারে।
দাঁতের ক্যাভিটি বা ছিদ্র সমস্যা
দাঁতের মধ্যে গর্ত বা ছিদ্র হওয়া প্রতিনিয়ত মানুষদের মধ্যে বেড়েই চলছে। দন্ত ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ অনেক কারণেই হতে পারে। যার ফলে দাঁতে তৈরি হয় শিরশির ভাব, কোনো কিছু খেতে গেলে সৃষ্টি হয় ব্যাথা।
দাঁত ছিদ্র বা ক্যাভিটি হওয়ার কারণ
- দাঁতের ক্ষয় হওয়ার কারণে ছিদ্র হয়
- কোনো কারণে দাঁত ভেঙ্গে গিয়ে গর্ত হয় দাঁতে
- রুট ক্যানেল চিকিৎসার ফলে দাঁতে ছিদ্র তৈরি হয়
- কোনো কারণে বড় ধরনের আঘাত ফেলে দাঁত ক্ষয় এর মাধ্যমে ছিদ্র হয়
এই কয়েকটি কারণ ছাড়াও আছে আরো অনেক কারণ যা ফলে দাঁতে ছিদ্র বা গর্ত হয়।তবে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো এগুলোই।
আক্কেল দাঁতের ব্যাথা বা সমস্যা
দাঁতের ব্যথা যেমন কষ্টদায়ক তেমনি আক্কেল দাঁত উঠার সময়ও সেই কষ্ট ভোগ করতে হয়। আক্কেল দাঁতের ব্যথা থেকে বাচতে অনেকে অনেক কিছু করে থাকে এবং অনেক চিকিৎসকরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আক্কেল দাঁত কী?
আক্কেল দাঁত হলো মাড়িতে সর্বশেষ উঠা দাঁতসমূহ। যা উঠার সময় অন্য দাঁতের তুলনায় অনেক বেশি ব্যথা অনুভূত হয় এবং কি জ্বরও উঠে অনেক সময়। আক্কেল দাঁত উঠার সময় মাড়িতে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয় যা পাশের দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
দাঁত যত্নে করণীয় দিকগুলো
দাঁত পরিষ্কার রাখা
দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত দাত পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য। দাঁতের বাহিরের অংশ থেকে শুরু করে ভেতরের অংশ পর্যন্ত দাঁত পরিষ্কার করা। দাঁতের পর্যাপ্ত পরিষ্কারের অভাবে ময়লা জমে এবং দাঁত দূর্বল হয়ে পড়ে। একই সাথে অল্প বয়সে দাঁত পড়াও দাঁত পরিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত।
দাঁত পরিষ্কার রাখার উপায় বা নিয়ম
- নরম খাদ্য খান। বেশি শক্ত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
- দাঁতে মাজার সময় আলতু করে দাত মাজুন
- দাঁতের প্রতি সদয় হোন। কোনো কিছু কাটার জন্য দাঁত ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন
- দাঁত জীবানু মুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিন দুধমুক্ত এক কাপ চা খান
- অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াস দিয়ে ব্রাশ করুন
এই কয়েকটি পয়েন্ট মেনে চললে আশা করা যায় মোটামোটি দাঁত পরিষ্কার রাখা সম্ভব। তবে আরো অনেক কার্যকারী পদ্ধতি রয়েছে দাঁত পরিষ্কারের।
দাঁতের যত্নে স্কেলিং করা
প্রথমে জানতে হবে দাঁতের স্কেলিং কী?
আমরা যেসব খাবার খাই, অনেক সময় তার অংশ বিশেষ দাঁতের উপরিভাগে আটকে থাকে। এসব জমে থাকা খাবার থেকে দাঁতের ক্ষয় এবং ক্রমান্বয়ে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তাই জমে থাকা খাদ্য বা ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে অপসারনের জন্য স্কেলিং করা প্রয়োজন। এখন অবধি স্কেলিং এর কোনো রকম বৈজ্ঞানিক কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দাঁতে স্কেলিং করার উপকারিতা
- দাঁতের ফাকে বা গর্তে কোথাও খাবার জমা হয়ে থাকলে তা স্কেলিং এর মাধ্যমে দূর হয়
- দাঁতের হলুদ দাগ ও সব ধরনের অবাঞ্চিত দাগ দূর হয়
- দাঁত ও মুখের বিশ্রী দূর্ঘন্ধ দূর হয়
- মুখগহ্বর পরিষ্কার থাকে
আরো অনেক উপকারিতা আছে স্কেলিং এর। কিন্তু উল্লেখিত পয়েন্টগুলো হলো সবচেয়ে বেটার উপকারিতা।
দাঁতের যত্নে ফিলিং করা
যখন দাঁত ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে এবং গর্ত বাড়ছে সেই সাথে ব্যথাও বাড়ছে, তখন দাঁতের ফিলিং করা দরকার হয়ে পড়ে। আবার অনেকে এক্ষেত্রে রুট ক্যানেল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে বেশি অবস্থা খারাপ না হলে ফিলিং করাই যথেষ্ঠ এবং ফিলিং এর মাধ্যমেই দাঁতের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
দাঁতের ফিলিং এর উপকারিতা
- ফিলিং করলে দাঁতের গর্ত ভরাট হয়, এতে করে দাঁতের ব্যথা দূর হয়
- রোগজীবানু দাঁতের গর্তের মাধ্যমে মাড়িতে পৌছাতে পারে না তাই মাড়ির ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়
- দাঁতের শিরশির ভাব দূর হয়
- দাঁত দেখতে সুন্দর হয়
এখানে কয়েকটি দাঁতের স্কেলিং এর উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে তবে আরো অনেক উপকারিতা আছে।
উচুঁ ও এলোমেলো দাঁতের বিন্যাস ঠিক করা
প্রথমে জানতে হবে আঁকাবাঁকা, উচু বা এলোমেলো দাঁত কেন উঠে?
সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় বাচ্চাদের ২০টি দুধের দাঁত উঠে থাকে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই দাঁতগুলো পড়ে দীর্ঘস্থায়ী নতুন দাতঁ উঠে। তখন যদি এই দুধের দাঁতের কারণে নতুন দাঁতগুলো উঠতে কোনো রকম সমস্যার সম্মখীন হয়, তখনই উঁচু, আঁকাবাঁকা দাঁত হয়।
কোনো একজন দাঁত চিকিৎসক বা ডেন্টিসের কাছে গিয়ে এসব দাঁতের চিকিৎসা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সহ ভারতে বড় একটা গুজব বা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে ১৬ বছরের নিচে কেউ এই চিকিৎসা নিতে পারবে না। কিন্তু সত্যি বলতে দাঁতের বিন্যাস ঠিক করার সঠিক সময় হচ্ছে ১১ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে।
এই চিকিৎসার জন্য অর্থডেনটিস্টের কাছে যেতে হবে।
দাঁতের বিন্যাস ঠিক হলে দাঁতের সিরিয়াল ঠিক থাকে এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তাই বেশি দেরি না করে আঁকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসা দ্রুত নেওয়া জরুরি। না হয় পরবর্তীতে মুখের সৌন্দর্য বিশ্রীতে পরিণত হবে।
আক্কেল দাঁতের যত্ন
আক্কেল দাঁতের সমস্যাটি দাঁত ব্যথার মতোই। তবে এটি যে কারোই হতে পারে। আক্কেল দাঁত একটু বেশি বয়স্ক মানুষদেরই হয়ে থাকে। বাচ্চাদের এই সমস্যাটি হতে রেহাই পায়। মাড়ির অতিরিক্ত দাঁত ওঠাকে আক্কেল দাঁত বলে।
আক্কেল দাঁত হলে করণীয়
- যেহেতু ব্যথা হওয়ার শুরুতেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না, তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কুসুম গরম পানির সাথে একটু লবণ মিক্স করে কুলি করা যেতে পারে
- দিনে ৪-৬ বার কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া বা কুলি করতে হবে
- সাধারণ ব্যথার ঔষধ দ্ধারাই আক্কেল দাঁতের ব্যথা দূর করা সম্ভব
- আক্কেল দাঁত না তোলাই ভালো
- বেশি সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
মাত্র কয়েকটি পয়েন্ট ফলো করার মাধ্যমে আক্কেল দাঁতের ব্যথা হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সে সাথে দাঁতের যত্ন নেওয়াও সম্ভব।
মুখ ও দাঁতের যত্ন
মুখ ও দাঁত একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশের মানুষরা সাধারণত মুখের সমস্যা এবং দাঁতের সমস্যায় বেশি আক্রান্ত। দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির প্রদাহ, মুখে দূর্গন্ধ, দাঁতের ক্ষয়, দাঁতের হলুদ বর্ণ, দাঁত উঁচু নিচু ও আঁকাবাঁকা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।
দাঁতের প্রদাহ ও মাড়ির প্রদাহের সমস্যা যেন দ্রুত বাড়ছে। ডেন্টিসদের কাছে রোগী যাওয়ার অধিকাংশগুলোই হলো দাঁতের সমস্যা এবং মাড়ির সমস্যা। তাই এসব সমস্যার ক্ষেত্রে উপরের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো যদি মেনে চলা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও দাঁতের যত্ন নেওয়া যাবে।
এছাড়াও আছে দাঁতের ক্ষয় বা ছিদ্র হওয়ার সমস্যা। এটিও এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দাঁতের ক্ষয় রক্ষায় উপরের নিয়মগুলো মেনে চলা যেতে পারে।
অনেক সময় মুখে নানা কারণে দূ্র্গন্ধ সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুখে বিশ্রী একটা রুপ হয়। কিন্তু ভালো একটা ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে মুখের গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়মিত আদা খেলে কিছুটা গন্ধ কমে আনা সম্ভব।
মখের যত্নে এবং দাঁতের যত্নে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চলতে হবে এবং সমস্যাগুলো দূর করা যাবে।
দাঁত সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
যদি দাঁতের ব্যথা অল্প হয়, তাহলে কুসুম পানিতে লবণ দিয়ে কুলি করতে হবে। এভাবে দিনে ৪-৬ বার কুলি করতে হবে। কিন্তু যদি ব্যথা তীব্র হয়, তাহলে অবশ্যই ভালো একজন দন্তডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
দাঁতে ব্যবহারের জন্য বাজারে নানান রকম পেস্ট পাওয়া যায়। সত্যি বলতে বাজারে এমন কোনো টুটপেস্ট নেই যা ১০০% প্রমাণিত দাঁতে ব্যবহারের জন্য ভালো। কিন্তু তারপরও কিছু কিছু পেস্ট আছে যেগুলোতে আয়রণ থাকে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
দাঁতের সমস্যার ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় । প্রত্যেক চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সময় রয়েছে। তেমনি দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রেও সেইম ভাবে সময় দরকার। দাঁতের ফিলিং করার জন্য কিছুটা সময় দরকার। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে এটা কম সময়ে সম্ভব।
সাধারণত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রথমে তাদের মধ্য চোয়ালে দাঁত উঠে। তারপর ক্রমান্বয়ে চারপাশে ছড়াতে থাকে। সাধারণ অবস্থায় একটি শিশুর ৬মাস থেকে ১৩ মাসের মধ্যে দাঁত উঠা শুরু হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে তা ১৩ মাসের পর হয়। যদি ১৩ মাসের পর দাঁত উঠে তাহলে ধরে নিবেন তার একটু পরেতে তার দাঁত উঠছে।
আক্কেল দাঁত হলো মাড়িতে সর্বশেষ উঠা দাঁতসমূহ। যা উঠার সময় অন্য দাঁতের তুলনায় অনেক বেশি ব্যথা অনুভূত হয় এবং কি জ্বরও উঠে অনেক সময়। প্রথম অবস্থায় ২০টি দাঁত উঠে কিন্তু পরে যে দাঁতগুলো উঠে, এগুলোকেই আক্কেল দাঁত বলে আখ্যায়িত করা হয়।