পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় কি?

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়- শিক্ষা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ বাক্য রয়েছে “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”। মেরুদন্ড ছাড়া একজন মানুষ যেমন চলতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন আশা করা যায় না। শিক্ষিত হতে হলে অবশ্যই পড়ালেখা করতে হবে। আমরা শিক্ষিত হতে চাই, ভালো রেজাল্ট করতে চাই কিন্তু পড়াশোনা করতে তো ভালো লাগে না। পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারি না। আসুন আমরা জেনে নিব পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় কি?

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় | লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় |পড়াশোনা করার নিয়ম | লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

ক) ইবাদাত করা

খ) লক্ষ্য স্থির করে পড়া

গ) টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস তৈরী করা

ঘ) বিছানায় পড়ার বদ অভ্যাস পরিহার করা

ঙ) রুটিন বা পাঠ্যসূচি তৈরী করে পড়া

চ) টার্গেট বা মিশন নিয়ে পড়া

ছ) যখন মনোযোগ বসে তখন পড়া

জ) নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করা

ঝ) পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো

ঞ) রাত জেগে না পড়া

ট) ভোরে বা সকালে পড়ার অভ্যাস করা

ঠ) স্বাস্থ্যকর ও মানসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা

ড) একই সাথে একাধিক কাজ পরিহার করা

ঢ) অন্যকে শিখানো

ণ) বিরতি দিয়ে দিয়ে পড়া

ত) যে জিনিষগুলো লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট করে তা চোখের সামনে না রাখা

থ) পরীক্ষায় পাশের কথা না ভেবে শেখার জন্য পড়া

ইবাদাত করা | পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

প্রত্যেক সৃষ্টিকেই সৃষ্টি করা হয়েছে সৃষ্টিকর্তার ইবাদাত করার জন্য। তন্মধ্যে মানব এবং জ্বীন জাতিকে ইবাদাতের জন্য বিশেষভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। ইবাদাতের জন্য এই দুই জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। চাইলে তারা ইবাদাত করতেও পারে আবার ছেড়েও দিতে পারে। অন্য জাতিরা আপন মনেই রবের ইবাদাত করে থাকে। ইবাদাত এর মধ্যে মানব দেহের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে সলাত আদায়ের মাধ্যমে। রবের হুকুম পালন বা ইবাদাত এর মধ্যে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা নিম্নরূপ-

ক) সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করা হয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।

খ) শারিরীক ব্যায়াম হয় ও মন সতেজ থাকে।

গ) মস্তিস্ক ঠান্ডা ও সুস্থ্য থাকে।

ঘ) ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

ঙ) কেউ যদি সঠিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে তবে তার অতিরিক্ত ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না।

চ) ইবাদাত (সলাত) সময় জ্ঞান ও নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দেয়।

ছ) ইবাদাত নম্রতা ও ভদ্রতা শিখায়।

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতা। শুধুমাত্র লেখাপড়াই নয় সকল ক্ষেত্রেই সুস্থ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া সময় জ্ঞান ও নিয়মানুবর্তিতাও অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। আর এ দুটি বিষয় সলাত আদায়ের মাধ্যমে খুব ভালভাবে অর্জন করা যায়। এ থেকে পরিস্কারভাবে বুঝা যায় লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ইবাদাতের গুরুত্ব অপরিসীম।

লক্ষ্য স্থির করে পড়া | পড়াশোনা করার নিয়ম-

লক্ষ্য স্থির না থাকলে জীবনে কোন কিছুতেই সফল হওয়া যায় না। যে কোন কাজের পূর্বে লক্ষ্য স্থির করে নিলে, সে কাজে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার একটি কার্যকরী উপায় হলো লক্ষ্য স্থির করে পড়া।

Read More  পড়ার রুটিন বানানোর নিয়ম জেনে নিন

“আজকে সারাদিন অঙ্ক করবো!” এটা বলা বেশ সোজা, এবং সারাদিন অঙ্ক বই হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে “বেশ পড়ালেখা হচ্ছে” একটা ভাবও আসে মনে, কিন্তু দিনের শেষে গিয়ে দেখা গেল কাজের কাজ আসলে কিছুই হয়নি!

“অঙ্ক করবো” এটা কি ভাল একটা লক্ষ্য হলো?

“বড় হয়ে কী হবে?”

– “বড় হবো!” এটা কি একটা উত্তর হলো? একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হয়। যেমন ধরো ডাক্তার হবে। তাতেও আবার কতরকম বৈচিত্র্য। চোখের ডাক্তার, দাঁতের ডাক্তার, শল্যচিকিৎসক আরো কত কী!

সুতরাং “অঙ্ক করবো” না বলে “অমুক চ্যাপ্টারের অমুক অঙ্কগুলো করে সন্ধ্যার আগেই শেষ করবো” এমন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করো। তাহলে দেখবে লক্ষ্যটা অনেক বেশি কাজে আসবে, এবং লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তোমার চেয়ার থেকে উঠতেই ইচ্ছা করবে না! একটা জেদ চেপে যাবে মনে, এবং আরো বেশি করে মনোযোগ চলে আসবে ভেতর থেকে, একটা কঠিন লক্ষ্য তুমি ঠিক করেছিলে, এবং ঠিক ঠিক সেটা ছুঁয়েও ফেললে-এই আনন্দের কি কোন তুলনা হয়?

নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করা | লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়

লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকা জরুরী। কেননা অসুস্থ্য হলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। আর সুস্থ্য থাকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো- নিয়মিত খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও ব্যায়াম করা। এগুলোর মাধ্যমে শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকা সহজ হয়ে যায়। বিধায় সুস্থ্যতা ও লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করুন।

CV লেখার নিয়ম | চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম জেনে নিন

চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর

পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো | পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়-

ঘুম মহান আল্লহ্ তা’আলার এক অশেষ নি’আমাত। ঘুমকে মহান আল্লহর অশেষ নি’আমাত বলার কারণ হলো- পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমালে শুধু লেখাপড়াই নয়, অন্যান্য কাজেরও ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। যারা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে পারেন না অথবা ঔষধ সেবন করে যাদের ঘুমাতে হয় তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে সহজেই বুঝা যায়, ঘুম কত বড় নি’আমাত ! শরীরকে সুস্থ্য রাখতে এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বিছানায় পড়ার বদ অভ্যাস পরিহার করা | পড়াশোনা করার নিয়ম

আমরা অনেকেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে বা বসে লেখাপড়া করি। এটা করা একদমই উচিৎ নয়। কেননা বিছানায় শুয়ে থেকে পড়ার কারণে অনেক সময় ঘুম এসে যায়। যা পড়ার মনোযোগকে নষ্ট করে দেয় এবং অনেক সময় ঘুমানোর কারণে পড়াই বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য বিছানায় শুয়ে বা বসে পড়ার বদ অভ্যাস অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

রাত জেগে না পড়া | পড়াশোনা করার নিয়ম-

আমাদের প্রায় সকলের মধ্যেই একটি বদ অভ্যাসের প্রবণতা রয়েছে। তাহলো রাত জেগে লেখাপড়া করা। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় তো কথাই নেই। রাত জেগে পড়ালেখা করার বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। সকাল সকাল ঘুমাতে হবে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে। এখানে ছেলেবেলার ইংরেজি পাঠ্য পুস্তকের দুটি লাইন না বললেই নয়। লাইন দুটি লিখেছিলেন আমেরিকান লেখক জেমস থার্বার। লাইন দুটি হলো-

Read More  ক্যারিয়ার গঠনে গুণ ও দক্ষতা

”Early to bed and early to rise

Makes a man, healthy, wealthy and wise”

রাত জেগে পড়াশুনা করলে আসলে কোন লাভ হয় না। কারণ ঘুম চোখে পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না। শুধু শুধু রাত জাগা হয় আসলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এজন্য এ বদ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে।

ভোরে বা সকালে পড়ার অভ্যাস করা | লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার উপায়-

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য ভোরে বা সকালে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এখানেও সেই বিখ্যাত কবিতার লাইন দুটিকে মনে করিয়ে দেয়। আপনি যদি রাত ১০টার পূর্বে বা মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে ফজর পর্যন্ত পরিপূর্ণ বা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমানো যায়। এবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের সলাত আদায় করে পড়তে বসুন, দেখবেন পরিবেশটাই অন্যরকম। সকালে বা ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা-

ক) প্রথমত দিনের শুরুতে মহান আল্লহ্ তা’আলার হুকুম ফজরের সলাত আদায় করা হবে।

খ) ভোরে শরীর, মন দুটিই সতেজ থাকে। শরীরে কোন প্রকার ক্লান্তি থাকে না।

গ) সকালের আবহাওয়া শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ঘ) পরিবেশ শীতল, শান্ত ও আরামদায়ক থাকে যা লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ঙ) কোলাহল বা শব্দ দূষণ থাকে না।

চ) অন্য কাজের চাপ থাকে না।

ছ) সকালে পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং তা খুব সহজেই মস্তিস্কে প্রবেশ করতে পারে।

জ) অন্য সময়ে যে পড়া সম্পন্ন করতে ২ ঘন্টা সময় লাগে ভোর বেলায় তা সম্পন্ন করতে ১ ঘন্টা সময় লাগবে।

ঝ) সকালের মিষ্টি রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

স্বাস্থ্যকর ও মানসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা | পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়

শারীরিক সুস্থ্যতা ও মস্তিস্কের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে স্বাস্থ্যকর, মানসম্মত ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শুধু তাই নয় সময়মত এবং নিয়ম মেনে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কেননা পুষ্টিহীনতা মস্তিস্কের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে বাঁধা সৃষ্টি করে। আর মস্তিস্ক বিকশিত না হলে পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না। বিধায় সময়মত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

বিরতি দিয়ে দিয়ে পড়া | পড়াশোনা করার নিয়ম-

যে কোন কাজ একটানা বা ঘন্টার পর ঘন্টা একভাবে করতে ভালো লাগে না। অনেক সময় ধরে একটি কাজ করতে থাকলে আস্তে আস্তে তা একঘেয়েমী হয়ে যায়। এজন্য যে কোন কাজ করার সময় মাঝে মাঝে, ছোট ছোট বিরতি দিয়ে করা উচিৎ। বিরতির সময় কর্মস্থল থেকে উঠে একটু হাটা-চলা করা, ক্ষুধা লাগলে পুষ্টিকর কিছু খাওয়া ইত্যাদি। এতে করে শরীরে এনার্জি ফিরে আসবে, একঘেয়েমী দূর হবে এবং কাজে মনোযোগ আসবে। পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

Read More  প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরির যোগ্যতা

লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট করে এমন কিছু চোখের সামনে না রাখা-

লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট করে এমন কিছু হাতের কাছে বা চোখের সামনে না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। লেখাপড়ার পরিবেশকে এমনভাবে তৈরী করা, যাতে করে অন্য কোন কিছু লেখাপড়ার মনোযোগকে নষ্ট করতে না পারে। পড়ার রুমে বা টেবিলে লেখাপড়ার সরঞ্জাম ছাড়া অন্য কিছু রাখা উচিৎ নয়। যেমন-

ক) মোবাইল (ফেসবুক, ইউটিউব, ম্যাসেঞ্জার), টেলিভিশন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি।

খ) খেলাধুলার সরঞ্জাম

গ) গেমস খেলার সরঞ্জাম

ঘ) গল্পের বই, উপন্যাস, কবিতার বই ইত্যাদি।

ঙ) পড়ার রুম আলাদা করা। যেখানে অন্য কারো প্রবেশ থাকবে না।

বর্তমান সময়ে পড়ালেখায় মনোযোগ নষ্ট করার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হলো মোবাইল। মোবাইলে সময় নষ্ট করার মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব, গেমস্ ইত্যাদি। এখন প্রায় সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন। আর স্মার্টফোন মানেই ফেসবুক, ইউটিউব, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের বেশিরভাগই ফেসবুকে আসক্ত। স্কুল/কলেজের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মোবাইলে এমবি কিনে ফেসবুক চালায়। ফেসবুক চালাতে না পারলে যেন পেটের ভাতই হজম হয় না।

কিছুদিন আগে আমাদের দেশে দুই দিন বা কমবেশী সময় ফেসবুক বন্ধ ছিল। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশী বিপাকে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল ফেসবুক ছাড়া তারা চলতেই পারবে না।

পড়ার সময় মোবাইল হাতের কাছে থাকলে একটু সময় পরপরই নোটিফিকেশন চেক করতে ইচ্ছা জাগে, ফেসবুকে ঢুকে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও বা পোষ্ট দেখতে ইচ্ছা জাগে ইত্যাদি। এক কথায় একবার ইউটিউব বা ফেসবুকে ঢুকলেই সব শেষ। এজন্য মোবাইল সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পড়ার টেবিল থেকে দূরে রাখতে হবে। যেগুলো লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট করে।

পরিবেশটাকে এমনভাবে তৈরী করতে হবে যেন আমি আর পড়ার সরঞ্জামাদি ছাড়া কিছুই নেই।

অন্যকে শিখানো | পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়-

জ্ঞান বা শিক্ষা এমন একটি জিনিষ যা বিতরণ করলে বৃদ্ধি পায়। এজন্য যা শিখেছি তা অন্যদেরকে শিখাতে হবে। তাহলে আপনা আপনি জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া অন্যকে শিখাতে গেলে তো নিজেকেও শিখতে হবে। আর নিজেকে শিখতে হলে বেশী বেশী পড়তে হবে। এই অভ্যাসটি পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় এর মধ্যে অন্যতম। বিধায় অন্যকে শিখানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

পরীক্ষায় পাশের কথা না ভেবে শেখার জন্য পড়া-

একই সাথে একাধিক কাজ পরিহার করা-

আমরা একই সাথে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করে থাকি। একটি কাজের মাঝে অন্য আরেকটি কাজ করা যায় ঠিকই, কিন্তু কোনটিই সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় না। কারণ মানুষ একই সময়ে একই সাথে বিভিন্ন কাজ করতে পারে না।

Leave a Comment