আজ আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এবং তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখন আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত। বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার পিছনে চরম অবদান রেখে আসছে আমাদের দেশের বিভিন্ন নামি দামি কলেজ গুলো । এখন আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা নিয়ে। বাংলাদেশে বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৮১ টি কলেজ পরিচালনা হচ্ছে। এসব কলেজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ২০১৫ সাল থেকে র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
র্যাংকিং প্রকাশ এর ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫ টি কলেজকে নির্বাচন করা হয়। আবার এই ৭৫ টি থেকে সেরার সেরা কয়েকটি কলেজ নির্বাচন করা হয়। আজ আমরা সেই সেরার সেরা নির্বাচিত কলেজ সম্পর্কে জানবো। তাই এখন বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল। আপনারা যারা বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা
এখন আমরা বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা সম্পর্কে একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেয়াড় চেষ্টা করব। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. রাজশাহী কলেজ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর শীর্ষ স্থান অর্থাৎ প্রথম স্থানে রয়েছে রাজশাহী কলেজ। রাজশাহী কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি নামকরা কলেজ। – কলেজটি ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মধ্যে ৩য় তম প্রাচীন কলেজ হলে রাজশাহী কলেজ। এই কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৮৭৩ সালের পহেলা এপ্রিল। শুরুর দিকে এই কলেজে শুধু ছাত্ররায় ভর্তি হতে পারত। এরপর ১৯৩১ সাল থেকে কলেজটিতে ছাত্রী ভর্তি শুরু হয়।
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান শুরু করা হয়। এই কলেজটি রাজশাহী কেন্দ্রস্থলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এর পাশে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স ও ডিগ্রি দেওয়া হয়ে থাকে। গরিব, মেধাবী ও কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য রয়েছে বৃত্তি ও পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোহিনী-মোহন প্রাইস ফাউন্ড, কে. সি সরকার বৃত্তি, রানি মনমোহিনী বৃত্তি ইত্যাদি। নির্বাচনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য আবু তালেব অ্যাওয়ার্ড ফর মেরিটরিয়াস স্টুডেন্ট পুরস্কার রয়েছে। এবং অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য রাজশাহী কলেজ আওয়ার্ড ফর মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্ট পরিষ্কার রয়েছে।বিএম)
এছাড়াও খেলাধুলায় রয়েছে রাজশাহী কলেজের অনেক নাম কাম। রাজশাহী কলেজে ফুটবল, হকি, ক্রিকেট ,বল টেনিস ইত্যাদি খেলাধুলায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়ে আসছে। এই কলেজের ছাত্র এবং শিক্ষকবৃন্দ ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন।
২. বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ। ১৮৮৪ সালে বিএম স্কুল ক্যাম্পাসে ব্রজবমোহন কলেজ স্থাপন করেন এই কলেজটি । রোজ মোহন কলেজ বা বি এম কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এই কলেজটির বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বরিশাল শহরে অবস্থিত।১৯৬৫ সালে এই কলেজটির জাতীয়করণ করা হয় এবং বর্তমানে কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত।
বরিশাল সরকারি ব্রজ মোহন কলেজটিতে ধনাত্মক শ্রেণীতে ২২ টি বিষয়ে ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ১৯ টি বিষয়ে পাঠদান করে থাকে। এই কলেজটিতে ছাত্রদের জন্য তিনটি হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য চারতলা ভবনের একটি হোস্টেল রয়েছে। এই কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা রয়েছে ৪০ হাজার। এখানে ১ বাণিজ্য ভবন, ২ কলাভবন, ১ অডিটোরিয়াম, ৪ বিজ্ঞান ভবন এবং ৩ খেলার মাঠ রয়েছে।এছাড়াও দুই প্রান্তে দুইটি দিঘী কলেজের সৌন্দর্যকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।
৩. বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ১৯৩৯ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্যার আজিজুল হক এর নামে কলেজটির নামকরণ করা হয় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ। শুরুতেই মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ জন তবে কোনো ছাত্রী ছিল না।
১৯৪৮ সালে কলেজের সর্বপ্রথম ব্যাচের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার পর দেখা যায় ১৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্য ১৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করে। এর ভিতর প্রথম বিভাগে ৮ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ৬৪ জন, এবং তৃতীয় বিভাগে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পাস করে। মোট পাশের হার ছিল ৬৯.২%। আর অন্যদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই হার ছিল ৬৩.৪%। তবে ১৯৪৩ সাল থেকে এই কলেজে ছাত্রী ভর্তি শুরু হয়।
১৯৪১ সাল থেকে এই কলেজে, ইসলামের ইতিহাস, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি বিভাগে দুই বছর মেয়াদে সম্মানী ও বি. এ কোর্স চালুর অনুমতি পায়। এর কিছুকাল পরে ১৯৫৪- ৫৫শিক্ষাবর্ষে কলেজটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হয় এবং আরবি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে তিন বছর মেয়াদে সম্মান শ্রেণি চালু করা হয়। এই কলেজটি সরকারি করণের পর বি.এ, বি . কম, বি. এস.সি, আই.এ, আই .কম, আই.এস.সি চালু হয়।
১৯৭২-৭৩ সালে সম্মান করছে বাংলা, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, আরবি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং হিসাববিজ্ঞান চালু হয়।মাস্টার্স কোর্সে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান চালু করা হয়। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সালে মোট ৩৭৮৭ জন ছাত্রছাত্রী ছিল মাস্টার্স ও সম্মানে যথাক্রমে ৩১৭ ও ৬১৮ সহ । এছাড়াও শিক্ষক ছিলেন ৯০ জন।
৪. পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ। এই কলেজটির বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত অভিমুক্ত ব্রিটিশ বাংলায় প্রতিষ্ঠিত একটি ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮৯৮ সালে শ্রী গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক থাকার সময় পাঁচটি বিষয়ে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয় ।প্রথম দিকে পাঠদানের বিষয়গুলো ছিল- ইংরেজি, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি,আরবি এবং ফারসি।
১৯৯৭- ৯৮শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স, পরের বছর প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার কোর্স ও ২০১১ সালে মার্কেটিংএবং ফিনান্স বিষয়ে অনার্স শুরু হয়।
৫. রংপুরের কারমাইকেল কলেজ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর পঞ্চম স্থানে রয়েছে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ। এই কলেজটি ১৯১৬ সালে রংপুরে স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের নাম অনুসারে। এই কলেজটির ৬১০ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট প্রশস্ত কলেজ ভবন যা বর্তমান বাংলা বিভাগ জমিদারি স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। যা বাংলার সমৃদ্ধশালী ইতিহাস মোগলীয় নির্মাণ কৌশলকে মনে করিয়ে দেয়।
১৯১৭ সালে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক চালু করা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান হাজার ১৯২২ সালে ও বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ১৯২৫ সাল থেকে শুরু হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল এবং দেশ বিভাগের পর হাজার ১৮৪৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯৫৩ সালে নতুন ভাবে স্থাপিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন করা হয় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছিল। ১৯৯২ সালে কারমাইকেল কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
৬. আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর ষষ্ঠ তালিকায় রয়েছে আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ। এই কলেজটি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের অবস্থিত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনন্দমোহন কলেজটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। 1977 খ্রিস্টাব্দে এই কলেজ স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তিত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শুরুতে ছাত্র ছিল মাত্র ১৭৮ জন জন এবং শিক্ষক ছিল মাত্র ৯ জন। এই কলেজটি সরকারি করন করা হয় ১৯৬৪ সালে।
বর্তমানে এই কলেজে ২২ টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষা, মানবিক এই তিনটি বিষয় ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।সব মিলিয়ে এই কলেজে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৭ হাজার এবং শিক্ষক রয়েছেন ২০৭ জন। এই কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে, ছাত্রদের জন্য ৬ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২ টি। এই কলেজে প্রায় ৫০,০০০ হাজার বই নিয়ে সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মেডিকেল সেন্টার এবং ইন্টারনেট ক্যাফে চালু করা হয়েছে ।
৭. ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর সপ্তম তালিকায় রয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা। ইডেন মহিলা কলেজ লালবাগের আজিমপুর এলাকায় অবস্থিত। এই কলেজটি ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইডেন মহিলা কলেজ যাত্রা শুরুর আগে ১৮৭৩ সালে ইডেন স্কুল রূপে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কলেজটি ১৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের উদ্যোগে কলেজটি আব্দুল গনি রোডে একটি ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পরবর্তীকালে এই কলেজটি ইডেন বিল্ডিং নামে পরিচিতি হয়।
কলেজটি কার্জন হলের একটি অংশ স্থানান্তরিত হয় ১৯৪৭ সালে সরকার ইডেন বিল্ডিং এ নতুন প্রাদেশিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর । ১৮ একর জমির উপর গড়ে ওঠে ইডেন কলেজ ১৯৬২ সালে আজিমপুরে । কলেজটি নতুন প্রাঙ্গণে স্নাতক কার্যক্রম চালু করেন, কিন্তু এর উচ্চমাধ্যমিক শাখা বকশিবাজারে অব্যাহত থাকে। পর্যায়ক্রমে কলেজটির আজিমপুরে শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাস এবং বকশী বাজার শাখায় ডিগ্রি ক্লাস চালু হয়।
পরবর্তী সময়ে বকশিবাজার শাখার নামকরণ হয় সরকারি বালিকা মহাবিদ্যালয়। এরই পরিবর্তিত নাম বেগম বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ। ১৯৬৩ সাল থেকে আজিমপুরের ইডেন কলেজ একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইডেন মহিলা কলেজ নামে পরিচালিত হয়।
৮. লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর অষ্টম তালিকায় রয়েছে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা। লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান, মানিক এবং ব্যবসা শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক করছে পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পাস, সম্মান, মাস্টার্স, প্রিলিমিনারি এবং ফাইনাল কোর্স রয়েছে এখানে।
২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে লালমাটিয়া মহিলা কলেজের যাত্রা শুরু হয় এবং কলেজের ভবন ১২ বিঘা জমির উপর এই । বর্তমানে এই কলেজের শিক্ষার্থী প্রায় ৭০০০ জন। এবং শিক্ষকগণ রয়েছেন 131 জন। কলেজটির ১৯৯১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ঢাকা মহানগরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয়ের গৌরব অর্জন করেছে। ২০১৫ এ সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের অনার্স ও মাস্টার্স কলেজের মধ্য দশম স্থান অধিকার করে।
এই কলেজটি ঢাকা ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্য ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে দেশের অন্যতম সেরা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ হওয়ার গৌর বর্জন করে এবং মহিলা কলেজ কলেজগুলোর মধ্য প্রথম স্থান অর্জন করে।
৯. ঢাকা কলেজ, ঢাকা
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর নবম তালিকায় রয়েছে ঢাকা কলেজ, ঢাকা। ঢাকা কলেজ উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দের ২০ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ একটি বড় সম্মান লাভ করে, সে বছর থেকে ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাস খোলা হয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিষয়ক নতুন নতুন বিষয় পড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এটা ছিল একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন কারণ, এর মাধ্যমে পূর্ব বাংলার তরুণদের মধ্য আধুনিক যুগের হাতিয়ার বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে।
১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা কলেজের বহিরাগত ছাত্রদের জন্য কোন ধরনের ছাত্রাবাস ছিল না। এই দীর্ঘ সময়ে ছাত্ররা কিভাবে তাদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে বুঝতে পারবেন।
১০. ঢাকা কমার্স কলেজ
বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এর দশম স্থানে রয়েছে ঢাকা কমার্স কলেজ।ঢাকা কমার্স কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর কলেজ। ১৮৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এটি ঢাকা মহানগরীর প্রথম কলেজ যা বাণিজ্য বিশেষত। শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি ও ভাই মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে। এই কলেজের মূল প্রতিষ্ঠাতা হলেন অধ্যাপক কাজী নজরুল ইসলাম।
এই কলেজটি ডিসিসি নামে ও পরিচিত। ২০১৯-২০২০ সেশনে বিজ্ঞানের জন্যও উচ্চমাধ্যমিক কোর্স শুরু করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক করছে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার ন্যূনতম জিপিএ- ৩.৫০ থাকতে হবে। অনার্স করছে ভর্তি হওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতিমালা অনুযায়ী এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়গড়ে জিপিএ৪.০০ থাকতে হবে। এই কলেজের দাবতলী অ্যাকাডেমিক ও অন্যান্য সহায়ক কার্যক্রম সমূহ সম্পাদনের জন্য দুইটি বৃহৎ ভবন রয়েছে।
এই কলেজে ১১ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন এবং ১২ তলা বিশিষ্ট আরেকটি ভবন রয়েছে। ১১ তলা ভবনটি পূর্বপাশা অবস্থিত এবং এতে মোট রুম রয়েছে ৫০টি। আর ১২ তলা ভবনটি দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এবং এতে রুম রয়েছে ৭০ টি। এই কলেজের নিজস্ব অডিটোরিয়াম রয়েছে। কাজেই ফারুকী অডিটোরিয়ামে প্রায় ১৬০০ টি আসন রয়েছে।
পরিশেষে
আপনাদের জন্য কিছু কথা। আশা করি বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এ সম্পর্কে উপরে আলোচিত বিষয় হতে আপনারা পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা পেয়েছেন। আশা করি এই বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কলেজ বেছে নিতে পারবেন।
অবশেষে আমার কিছু কথা। আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে বাংলাদেশের সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে অথবা উপকৃত হন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।