রান্নার স্বাদ বাড়াতে এবং শরীরিক বিভিন্ন উপকারিতা পেতে বাঙ্গালিদের কাছে লবঙ্গ মশলা হিসেবে বেশি পরিচিত। লবঙ্গের উপকারিতা পেতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে লবঙ্গাকে বেশি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। লবঙ্গ শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না পাশাপাশি লবঙ্গে আছে নানা রকম শারীরিক উপকারিতা। লবঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পরিমাণ মতো সুগার, ক্যালরি, ডায়েটারিফাইবার ইত্যাদি।
এছাড়া লবঙ্গের তেলে আছে আরো উপকারি উপাদানসমূহ। অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা ক্যারোফাইনিল, ট্যানিন, মিথাইল স্যালিসাইলেট সহ ইত্যাদি উপকারী উপাদান।
লবঙ্গের মধ্যে উপকারি খনিজ পদার্থের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ উপাদান। লবঙ্গে উপস্থিত এসব খনিজ উপাদানগুলো দৈহিক স্বাস্থ্যে রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
গ্রামঞ্চালে লবঙ্গ পরিচিত বেশি লং নামে। তাদের ভাষ্যমতেই লবঙ্গ বা লং এর উপকারিতা অনেক। লং খাওয়ার মাধ্যমে হোক সেটা তরকারি কিংবা ঔষধ হিসেবে, উপকারিতা পেতে পারি। বর্তমানে এশীয়ার সমস্ত দেশগুলোতেই লং গাছ এর চাষ করে। ফলে লং এর চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই সন্তুষ্টিজনক।
লবঙ্গের উপকারিতাগুলো
লবঙ্গ হলো মূলত লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়ি । লবঙ্গ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Syzygium aramaticum.
পৃথিবীর অনেক দেশে এখনো লবঙ্গকে হারবাল জাতীয় ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করে। মূলত লবঙ্গের উপকারিতার জন্যই এর এতো ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা। চলুন জানা যাক লবঙ্গের উপকারিতাগুলো-
- দাঁতের ব্যথা কমাতে লবঙ্গের ব্যবহার
- বমি বমি ভাব দূর করে
- সর্দি-কাশি ভালো করে
- ঠান্ডা লাগা কমায়
- মাথা ব্যথা-যন্ত্রনা কমায়
- পেঁটের অসুখ দূর করে
- সাইনাসের ইনফেকসন হ্রাস করে
- ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গ
- লবঙ্গ রক্ত পরিশোধন করে
- খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি করে
- খাদ্য হজমে সহায়তা করে
- ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ
- মুখের বিশ্রী গন্ধ দূর করে
- জ্বরের প্রকোপ হ্রাস করে
- ত্বকের যত্নে লবঙ্গ
- লিভার ভালো রাখতে লবঙ্গ
- হাড় শক্ত করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে লবঙ্গ
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক রকমের উপকার রয়েছে লবঙ্গ নামক মসলার। তবে আজকের আলোচনায় লবঙ্গের এই ১৮টি উপকারিতা সহ আলোচনা করা হবে রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং লবঙ্গ বেশি খেলে কি হয় ইত্যাদি নিয়ে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
হার্টের ব্লক স্থায়ীভাবে দূর করুন
দাঁতের ব্যথা কমাতে লবঙ্গের ব্যবহার
লবঙ্গে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি। আর এই উপাদান সাধারণত আমাদের দাঁতের ব্যথা হ্রাস করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। উক্ত উপাদান শরীরের প্রবেশ করার পর কিছু বিশেষ বিক্রিয়া ঘটায় যা মূহর্তেই দাঁতের যন্ত্রণা দূর করে। বাজারে অবস্থিত প্রায় সব টুটপেস্টেই লবঙ্গের মধ্যে বিদ্যমান থাকা উপাদানগুলো ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও লবঙ্গ দাঁতের মাড়ি ক্ষয় দূর করে। ক্ষয়ে যাওয়া মাড়ি পুনরায় গঠনে লবঙ্গ বেশ বড় ভূমিকা রাখে।
বমি বমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ
লবঙ্গে আছে বিশেষ ধরনের উপাদান যা বমি ভাব দূর করতে সহায়তা করে। আমরা যখন বাস কিংবা ট্রেনে পরিবহন করি, তখন অধিকাংশ মানুষ বমি বমি ভাব অনুভব করে। কেউ বা সাথে সাথেই বমি করে দেয় গাড়িতে কিংবা ট্রেনেই। এই অবস্থায় যদি কেউ খালি মুখে একটি অথবা একাধিক লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখে তাহলে বমি বমি ভাব সাথে সাথেই দূর হয়ে যাবে।
বাসা থেকে ছারপোকা দূর করার উপায়
এছাড়াও গর্ববর্তী মায়েদের জন্য রয়েছে আরো সুফল। গর্ববর্তী মায়েদের জন্য লবঙ্গ হলো আশির্বাদসরূপ। সাধারণত প্রতিদিন সকালে তাদের বমি বমি ভাব হয়। এমতোবস্থায়, সকালবেলায় একটি অথবা দুইটি লবঙ্গ চষতে হবে। এতে করে লবঙ্গের সুগন্ধে বমি বমি ভাব দূর হয়ে যাবে।
সর্দি-কাঁশি ভালো করতে লবঙ্গ
প্রাচীনকাল থেকেই লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে আসছে সর্দি কাঁশি ঠান্ডা লাগা, নিমনিয়া ইত্যাদি চিকিৎসায়। বর্তমানেও এর ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রতিদিন লবঙ্গ চিবিয়ে কিংবা বেঁটে লবঙ্গের রস খেলে দেহ থেকে সর্দি-কাঁশি দূর হয়ে যায়।
ঠান্ডা লাগা কমাতে লবঙ্গের ব্যবহার
এই ক্ষেত্রেও চিকিৎসা একই রকম। অর্থাৎ লবঙ্গকে চিবিয়ে খেতে হবে অথবা বেঁটে এর রস খেতে হবে। এভাবে কয়েকদিন খেয়ে গেলে বুকে ঠান্ডা লাগা দূর হয়ে যাবে।
মাথা ব্যথা বা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গ
কারো যদি প্রচন্ড ধোঁয়া কিংবা প্রখর রোদে মাথা ব্যথা শুরু হয়, অথবা বিশ্রী শ্লেষ্মা বাড়ার করণে মাথা ব্যথা প্রচন্ড বেড়ে তখন মাথার যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গ ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।
পেঁটের অসুখ দূর করতে লবঙ্গ
সাধারণত এনজাইমের স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ সময়ে আমাদের পেটে বদ হজম হয়। এই অবস্থায়, পেঁট ফাপা কিংবা অসুখ দূর করতে লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। লবঙ্গ পাকস্থলিতে যথেষ্ট পরিমাণ এনজাইম তৈরি করার মাধ্যমে বদ হজম দূর করে। এনজাইম তৈরি করা ফলে পেঁটের অতিরিক্ত গ্যাস, পেঁট ব্যথা, বদ হজম, কলেরা ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে হলেও লবঙ্গ খেতে হবে।
সাইনাসের ইনফেকশন দূর করতে লবঙ্গ
সাইনোসাইটিস এর ব্যথা বা কষ্ট কমাতে ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান খুবই উপকারক। ইগুয়েনাল নামক এই উপাদানটি লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমাণ। সাইনাসের ইনফেকশন দূর করতে লবঙ্গ ব্যবহার খুবই পরিচিত। সাইনাসের ব্যথা কমাতে লবঙ্গ প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গ
প্রাচীনকাল হতেই ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেসব ব্যক্তি প্রতিদিন ১ টি বা এর একাধিক লবঙ্গ খায়, তাদের অন্যদের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ব্রণ কম হয়। লবঙ্গ বেঁটে পেস্ট করে মুখে অথবা ব্রণের উপর মেখে দিলে ব্রণের দাগ দূর হয় পাশাপাশি ব্রণও দূর হয়। এছাড়া লবঙ্গ খেলেও ব্রণ দূর হয়।
লবঙ্গ রক্ত পরিশোধন করে
আমাদের রক্তে অনেক প্রকার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ থাকে। রক্তকে শোধিত করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে অনেক রকম ঔষধ খাওয়ার দরকার পড়ে। কিন্তু আমরা যদি নিয়মিত সকালে লবঙ্গ খাই তাহলে লবঙ্গে থাকা বিশেষ উপাদান রক্তকে পরিশোধন করে রক্ত পরিষ্কার করে ফেলে।
খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি করে
কোনো ধরনের অসুখ বা অসুস্থতার শেষে সাধারণত আমাদের মুখে বা জিহ্বায় বেশিরভাগ সময়ে রুচি থাকে না। এমতোবস্থায় আমরা ডাক্তার কিংবা ফার্মেসির শরাপন্ন হই। এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে লবঙ্গ। প্রতিদিন সকারে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কয়েকটি লবঙ্গ খেয়ে ফেলি এবং দুপুরে খাওয়ার পর আবার কয়েকটি লবঙ্গ খেয়ে নেই, তাহলে খুব দ্রুত আমাদের খাবার খাওয়ার রুচি ফিরে আসবে। রুচির এই সমস্যা বিশেষ করে জ্বর শেষে, পেট খারাপ, পেট হাঁপা ইত্যাদি রোগের পর দেখা দেয়।
খাদ্য হজমে সহায়তা করে
লবঙ্গ আমাদের দেহের এরাফ্লাটুলেন্স, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডিসপেপসিয়া এবং নসিয়া কমাতে সহায়তা করে থাকে। এগুলো সাধারণত আমাদের দেহের রক্তের প্রবাহ মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
আমরা যখন লবঙ্গ খাই, তখন লবঙ্গ আমাদের পাকস্থলিতে এনজাইম ক্ষরণ বৃদ্ধি করে এবং তা এসিড নিঃসরণে উদ্ধুদ্ধ করে থাকে। ফলাফলসরূপ, খাদ্য হজমে সহায়তা করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ
লং আমাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে পাশাপাশি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে । আমাদের শরীরে যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম ইনসুলিন তৈরি হয়, তখনই আমাদের ডায়াবেটিস রোগ হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাহিরে থেকে ইনসুলিন নিতে হয়। এমতোবস্থায়, প্রতিদিন কয়েকটি লবঙ্গ খেলে তা শরীরের ইনসুলিন তৈরিতে উদ্ধুধ করে এবং শরীরের রক্ত পরিশোধন করে থাকে। এছাড়াও লং আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা সঠিক পরিমাণে রাখে যা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মুখের বিশ্রী গন্ধ দূর করে
মাড়ির সমস্যা, দাঁতের ক্ষয় ও মুখের দূগর্ন্ধ দূর করতে লবঙ্গ ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এসব সমস্যা সমাধানে, প্রাচীনকাল থেকেই লং এর ব্যবহার লক্ষণীয়।
মাড়ির সমস্যা যেমন- জিনজিবাইটিস, পেরিওডনটাইটিস রোগে লবঙ্গ অনেক উপকারী। মানুষগণ এই সমস্যা সমাধানে লং এর মুকুল অংশ বা মাথার অংশ ব্যবহার করে থাকে।
এছাড়াও দাঁতের মাড়ি ক্ষয় ও দাঁতের তীব্র ব্যথা রোধেও লং বেশ উপকারি। যাদের মুখে দূর্গন্ধ তারা প্রতিদিন রাতে শুবার আগে দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। এতে করে, মুখ হবে তরতাজা এবং মুখের নিশ্বাসে বের হওয়া দূর্গন্ধ অপসারণ হবে।
জ্বরের প্রকোপ হ্রাস করে
যখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় থাকে, তখন আমাদের শরীরের কোনো রকম ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না বা বাস করতে পারে না। কেননা শরীরের ইমিউন সিস্টেম সেই ভাইরাসকে নিষ্ক্রীয় করে দেয়। লবঙ্গে আছে ভিটামিন-কে এবং ভিটামিন-ই। এসব ভিটামিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। আমরা জানি ভাইরাল ফিবারের কারণে আমাদের শরীরের জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু যখন আমরা নিয়মিত লং খাই পরোক্ষভাবে তখন লং আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা এসব ভাইরাল ফিবার কে নিষ্ক্রীয় করে দেয়। ফলে, জ্বর হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
ত্বকের যত্নে লবঙ্গ
ভোলাটাইল ওয়েল আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন জাতীয় বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে পরিষ্কার করে। লবঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ ভোলাটাইল ওয়েল । আমরা যখন লং বিভিন্নভাবে খাই ( মশলা কিংবা ঔষধ হিসেবে ) তখন লবঙ্গ শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর, প্রচুর পরিমাণে ভোলাটাইল ওয়েল তৈরি করে। ফলাফলসরূপ, শরীরে অবস্থিত ক্ষতিকর জীবানু মেরে ফেলে। ফলে এসব জীবানু সংক্রমণ করতে পারে না। সুতরাং লবঙ্গের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন খুব ভালো ভাবে নেওয়া যায় যা ত্বককে ফর্সা ও দাগ মুক্ত করতে সহায়তা করে।
লিভার ভালো রাখতে লবঙ্গ
লবঙ্গে আছে হেপাটোপ্রটেকটিভ প্রপার্টিজও এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীরে অবস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহ থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলো বের করে দেয় এবং শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে তোলে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু লিভার পরিষ্কার করতেই নয়, অন্য অঙ্গগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
হাড় শক্ত করে
আমাদের শরীরে অবস্থিত ফেনলিক কম্পাইড-ইউজিনল ও ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরের ডেনসিটির অর্থাৎ হাড়ের ঘনত্বের উন্নতি ঘটায়। লবঙ্গে আছে এসব উপাদান। এই উপাদানগুলো উক্ত উপকারের পাশাপাশি হাড়ের ভেতরের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে লবঙ্গ
শরীরের ব্রেস্ট-ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধের বিশেষ উপাদান লং এ আছে। প্রতিনিয়ত লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে এসব ক্যান্সার থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
এতোক্ষণ জানলাম লবঙ্গের ১৮টি উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন এখন জানা যাক লবঙ্গ কখন খেলে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব এবং কীভাবে খেতে হবে ।
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
রাতে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে বেশ অনেক রকম উপকার পাওয়া সম্ভব। কেউ যদি রাতে শুয়ার আগে কয়েকটি লবঙ্গ খায় তাহলে অনেক রকমের শারীরিক উপকারিতা পেতে পারে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপকারিতা নিম্নে দেওয়া হলো-
- রাতে লবঙ্গ খেলে মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- রক্ত পরিশোধন হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উপরোক্ত উপকারিতাগুলোই হলো রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা।
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে লবঙ্গ খেলে বেশ কিছু উপকারিতা পেতে পারি। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপকারিতা নিম্নে দেওয়া হলো-
- খালি পেটে লবঙ্গ খেলে পানিশূন্যতা দূর হয়।
- অতিরিক্ত সুস্থলতা বা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- রুচি বৃদ্ধি করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
উপরোক্ত উপকারিতাগুলো পাওয়া যায় খালি পেটে লবঙ্গ খেলে। মূলত এগুলোই খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা।
লবঙ্গ চায়ের উপকারিতা
চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন। প্রতিদিন লবঙ্গ দিয়ে চা খেলে নানা উপাকার পেতে পারি। নিম্নে কতগুলো লবঙ্গ চায়ের উপকারিতা তুলে ধরা হলো-
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
- স্ট্রেস লেবেন নিয়ন্ত্রণ করে।
- দাঁতের ব্যথা কমায়
- হজমে সাহায্য করে।
উপরোক্ত উপকারিতাগুলো ছাড়াও আরোও অনেক রকম লবঙ্গ চায়ের উপকারিতা রয়েছে।
অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হতে পারে। মুখে গা হতে পারে। মূলত সব কিছুরেই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনি লবঙ্গ ও নয়।