আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজ আমরা আলোচনা করব সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ নিয়ে। বর্তমান সময়ে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার সম্ভাব হলেও ফ্রি বিদেশ যাওয়ার কোন উপায় নেই। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন বা সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় থাকতেও ফ্রিতে বিদেশ যাওয়া সম্ভব না। আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে দালাল ছাড়া সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ এবং সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।
অনেক সময় দেখা যায় লটারির মাধ্যমে অথবা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ফুল ফ্রী স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া যায়। তবে আপনি চাইলেও ফ্রী বিদেশ যেতে পারবেন না। ফ্রি বিদেশ যাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দিন। বর্তমানে দালাল ছাড়া খুব কম খরচে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া যায় ২০২৪ সালে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
প্রত্যেকটি ব্যক্তি ভেবে বিভিন্ন কাজে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তবে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অন্যতম খাত গুলো হচ্ছে:
- শ্রমিক হিসেবে
- চাকুরী প্রার্থী হিসেবে
- শিক্ষার্থী হিসেবে
শ্রমিক হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি আপনি শ্রমিক হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে আগ্রহ পোষণ করেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে বিদেশের শ্রমিক নিয়োগের দৈনিক পত্রিকা গুলো লক্ষ্য করতে হবে। বিদেশে বিভিন্ন শিল্প কারখানা ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মোট নিয়োগ দিয়ে থাকে সরকারিভাবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা দেয়া হয়ে থাকে আবেদন করার বা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। যেটাকে আমরা বলে থাকি, সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪। তাই আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান, তাহলে আপনাকে বিভিন্ন দেশের শ্রমিক নিয়োগের নিয়মিত ও সঠিকভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। যাতে করে আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ করতে পারেন।
চাকুরী প্রার্থী হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
যদি আপনি সরকারিভাবে বিদেশে গিয়ে চাকরি করতে আগ্রহ পোষণ করেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার পছন্দের দেশের কোন কোম্পানি বা সেক্টরের চাকরির সার্কুলার বাছাই করতে হবে। ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে হবে ওই কোম্পানিতে বা ওই সেক্টরের চাকরির আবেদন করা যাবে কিনা। পাশাপাশি দেশের বেশিরভাগ চাকরি দক্ষতা অভিজ্ঞতা নির্ভর করে থাকে। তাই আপনার উক্ত চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য চাকরিপ্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চাইলে বৈদেশিক বিভিন্ন চাকরির সার্কুলার ছাপানো হয়ে থাকে এমন কিছু পত্রিকা নিয়মিতভাবে খেয়াল রাখবেন।
এছাড়াও চাকরী প্রার্থী হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চাইলে প্রথমত আপনাকে প্রার্থীর নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর প্রবাসী কল্যাণ শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এরপরে তাদের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিক কার্যালয় সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষার্থী হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য সব প্রক্রিয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফলাফল ভিত্তিক হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে সরকারি ভাবে বিদেশী যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মেধা, যোগ্যতা ও বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় কোন শিক্ষার্থী সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবে পড়াশোনা করতে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪
শ্রমিক বা চাকরিজীবী হিসেবে সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে হলে সর্বপ্রথম প্রাথমিকভাবে একটি নিবন্ধন করতে হয়। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদের কে প্রথমে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিএমইটি) কেন্দ্রীয় ডাটা ব্যাংকের নিবন্ধন করতে হবে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে দক্ষ সম্পদ অক্ষ অদক্ষ নারী-পুরুষ শ্রমিক ইত্যাদি সেক্টর বা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ করা হয়।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে হলে আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করা লাগবে। যে সকল কাগজপত্র ব্যতীত আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন না।
- পাসপোর্ট
- চাকুরীর চুক্তিপত্র
- দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
- ব্যাংক একাউন্ট
- ভিসা
- জনশক্তি ব্যুরো ছাড়পত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট
- টিকিট
- টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র ইত্যাদি
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়?
ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ যাওয়ার থেকে সরকারিভাবে বিদেশে গেলে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম টাকা লাগে। এক্ষেত্রে যদি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নাও থাকে আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। ব্যক্তিগত খরচের পরিধিটা সীমিত থাকে তাই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া হচ্ছে বৈদেশিক টাকা উপার্জন করে পরিবার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমপযোগী ও স্বাস্থ্যই একটি পদ্ধতি।
সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে হলে আপনাকে পাসপোর্ট, ভিসা, নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করা, মেডিকেল রিপোর্ট, প্রশিক্ষণ গ্রহণ, একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা, জনশক্তি ব্যুরো ছাড়পত্র, টিকিট ইত্যাদির জন্য প্রার্থীর ব্যক্তিগত কিছু টাকা খরচ হবে। এছাড়াও সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় বিমান ভাড়া ব্যক্তিগতভাবে ইনভেস্ট করতে হয়ে থাকে।
তবে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রার্থী খরচের পরিমাণ অধিকাংশ সময় পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। যা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ গেলে কলেজের তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে। এজন্য নিজের যোগ্যতা দক্ষতা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক সময়ে সরকারি ভাবে বিদেশ থাকলে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব। বর্তমান সময়ের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে আসছে।
ফ্রি বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ এর এই অংশে ফ্রি বিদেশ যাওয়ার উপায় জানতে পারবেন। অনেকেই ফ্রি বিদেশ যাওয়ার উপায় লিখে গুগলে সার্চ করে থাকেন। আমরা পরিসংখ্যান দেখলাম প্রায় ৩০ জন প্রতিদিন গুগল এ সার্চ করেন ফ্রি বিদেশে যাওয়ার উপায় লিখে। আসলে ফ্রি বিদেশ যাওয়ার কোন উপায় নেই। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে যারা ফুল ফ্রী স্কলারশিপ পেয়ে ফ্রি বিদেশে গিয়ে থাকেন। সাধারন আমজনতার জন্য এই সুবিধা নয়।
যদি আপনি বিদেশ যেতে চান তাহলে ফ্রি বিদেশ যাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন এবং আপনার জেলা কর্মসংস্থান বা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। বর্তমানে বিদেশ যাওয়া অনেক সহজ। কোনো ধরনের দালালের বা এজেন্সির কাছে যেতে হবে না।
বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ – সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ পোষ্টের এই অংশে জানতে পারবেন বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বিদেশে গিয়ে কিছু কিছু সেক্টর রয়েছে যেখানে কাজ করার জন্য আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্তৃক সরকারি ভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী রয়েছেন এমন ব্যক্তিদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সারাদেশে এদের ৩৮ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেশের অল্প শিক্ষিত, বেকার লোকজন বিদেশে যায় কাজের উদ্দেশে। শ্রমিক হিসেবে যারা বিদেশে যায় তাদের বৃহত্তম অংশই হচ্ছে অদক্ষ। এই অদক্ষ অংশকে বিদেশে গিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানও শ্রমিক বা কর্মী হিসেবে বিদেশে গিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে নানান ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে দক্ষতা প্রদান করেন।
বিদেশ যেতে আগ্রহীদের যে সকল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো দ্বারা পরিচালিত সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে বৈদেশিক বাজারগুলোতে যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে এমন বিষয়গুলোর উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যে বিষয়গুলোর উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
- রড বাইন্ডিং
- পাইপ ফিল্টারিং
- প্যাটার্ন মেকিং
- সুইং মেশিন অপারেটিং
- হাউস্কিপিং
- ইলেকট্রিক্যাল মেশিন Maintenance
- সাটারিং ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন
- অটোমেকানিক্স
- ইকুইপমেন্ট অপারেটিং
- ফিল্টারিং
- গার্মেন্টস সুপারভাইজার
- কম্পিউটার
- ইলেকট্রনিক
- প্লাস্টিক টেকনোলজি
- ইলেক্ট্রিক্যাল
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্পেন্টারি ইত্যাদি।
বিদেশ যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের অধিকাংশ সল্প শিক্ষিত হয়ে থাকে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য সাধারণত অষ্টম শ্রেণী পাস হওয়া প্রয়োজন হয়। এছাড়াও কিছু কিছু প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে এসএসসি পাশে প্রয়োজন হতে পারে। বিভিন্ন দেশের ভাষা অনুসারে আপনার ভাষা শেখার প্রশিক্ষণ নিতে ২০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা লাগবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য যে প্রশিক্ষণ গুলো দেয়া হয়ে থাকে সেগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত- স্বনির্ভর প্রশিক্ষণ, দ্বিতীয়ত- অনিয়মিত প্রশিক্ষণ। স্বনির্ভর কোর্সগুলো সাধারণত নিজস্ব অর্থ দিয়ে করতে হয় এবং স্বনির্ভরশীল কোর্সের ফ্রি তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়ে থাকে।
প্রশিক্ষণের বিষয়ে অনুসারে সাধারণত সরকারিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে কাজ করতে আগ্রহী রয়েছেন এমন ব্যক্তিকে ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট করতে কত টাকা লাগবে?
বিদেশে যাওয়ার পূর্বে সামগ্রিক অর্থে যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মেডিকেল টেস্ট করা। কারণ বিদেশ যাওয়ার আগে প্রার্থীর বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট করা খুবই প্রয়োজন। সাধারণত প্রার্থীর শারীরিক অবস্থা রিপ্রেজেন্ট করে থাকে এই মেডিকেল রিপোর্ট। প্রার্থীর শারীরিক সুস্থতা যাচাই করার জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করা হয়ে থাকে।
আপনি চাইলে বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মেডিকেলে মেডিকেল টেস্ট করাতে পারবেন। এজন্য প্রার্থীর বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করার সময় মেডিকেল ভেদে খরচের বৈষম্য আসতে পারে। যেমনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কিংবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে আলাদা আলাদা খরচ হবে। এক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ এর কিছুটা বৈষম্য দেখা যেতে পারে। তবে সার্বিক অর্থে বা গড়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে আনুমানিক ৫ হাজার টাকা বা এর কিছুটা কম বেশি হতে পারে। অর্থাৎ সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করতে পাঁচ হাজার টাকা লাগে।
উপসংহার
আপনার ব্যক্তিগতভাবে বিকাশে যাওয়া সামর্থ্য যদি না থাকে তাহলে সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আপনি বিদেশে যেতে পারবেন টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে। অর্থাৎ শ্রমিক ভিসায় সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। তবে কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেমন সৌদি আরব কানাডা ওমান ইত্যাদি দেশগুলোতে আপনি দক্ষ না হয়ে বা স্বল্প দক্ষ হয়েও শ্রমিক ভিসায় সেখানে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও শ্রমিক বা কর্মী হিসেবে সরকারিভাবে কুয়েত সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশগুলোতে যাওয়া যায়। কিন্তু সিঙ্গাপুর কুয়েত ইত্যাদি দেশগুলো তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে থাকে সরকারিভাবে সরকারি কর্মসংস্থানের খরচে। এজন্য সিঙ্গাপুরের বিশেষত ব্যক্তিগতভাবে যে সকল শ্রমিক কাজের জন্য গমন করে থাকেন তাদের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এছাড়া সিঙ্গাপুরের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দক্ষ ও তুলনামূলক শিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন বেশি হয়ে থাকে।
কর্মীও দক্ষতা ছাড়াও ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় এই দেশগুলোর জন্য। আপনার মধ্যে যদি এ সকল যোগ্যতা বা গুণাবলী থেকে থাকে তাহলে আপনি এই ধরনের দেশগুলোতে যেতে পারবেন শ্রমিক হিসাবে। আশা করছি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে। এই সম্পর্কে যদি আর কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন, আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত আরো আর্টিকেল করতে বেশি বেশি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।