সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা

আজ আমরা আলোচনা করব সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্কে । আপনি যদি সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাজে লাগবে অথবা আপনি পড়তে পারেন। সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতার বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয় জিনিস রয়েছে! যেমন- আপনার এসএসসি, এইচএসসি, এবং বিএসসি ভালো একটা পয়েন্ট ।

আজকের আর্টিকেলে আমরা সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা এর বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

যদি সরকারি ব্যাংকে চাকরি আপনার স্বপ্ন হয়ে থাকে, তবে এই লেখাগুলো আপনার জন্য। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন সরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য সচরচার কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশে সর্বমোট সরকারি ব্যাংক রয়েছে ৬ টি। এই সবগুলো সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা একই চাওয়া হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোতে আপনার বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার পয়েন্ট ম্যাটার করে।

তাই অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে, সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে এসএসসি,  এইচএসসি, এবং বিএসসি তে কমপক্ষে কত পয়েন্ট প্রয়োজন! এই পোস্টটিতে আপনারা এসকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন। আসুন দেখে নেয়া যাক সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি লাগে।

সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি

সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি

ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যূন ২য় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন! সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা এর জন্য শুধু স্নাতকোত্তর বা স্নাতক ডিগ্রি নয়! শিক্ষাজীবনের কোন পরীক্ষায় ৩য় শ্রেণি থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা এর জন্য শিক্ষাজীবনের কোন পরীক্ষায় যদি ৩য় শ্রেণি থাকে তাহলে আপনি সরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না! সরকারির জন্য আলাদা ভাবে সিভি বা বায়োডাটা দরকার হয় না.

Read More  ক্যারিয়ার গঠনে গুণ ও দক্ষতা

সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা এর জন্য জিপিএ হিসাবে আপনার এসএসসি এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে ২-২.৯৯ পয়েন্টকে ২য় শ্রেণি ধরা ! বিএসসির ক্ষেত্রে ২.২৫-২.৯৯ (টোটাল ৪ পয়েন্ট স্কেলে) ২য় ‍বিভাগ বা শ্রেণি হিসেবে গণ্য হবে!

সুতরাং,সরকারি ব্যাংকে চাকরির শিক্ষাগত যোগ্যতা এর ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসিতে জিপিএ ২ এবং বিএসসিতে ২.২৫ পয়েন্ট থাকলে সরকারি ব্যাংকে চাকরির আবেদনের জন্য বিবেচিত হবেন এবং ব্যাংকে চাকরির জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সরকারি ব্যাংকে চাকরির সুবিধা

সরকারি ব্যাংকে চাকরির সুবিধা

সরকারি ব্যাংকে সুবিধার ক্ষেত্রে আপনি লাঞ্চ ভাতা পাবেন, ২০০ টাকা প্রতি কার্যদিবসেই । পাঁচ বছর পরে হোম লোন পাবেন প্রায় এক কোটি টাকা! বলা হয়ে থাকে, যে সরকারি ব্যাংকের চাকরি মানেই হচ্ছে উন্নত ক্যারিয়ার । এজিএম হলে গাড়ির লোন পাবেন, মেইন্টেনেন্স খরচ পাবেন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাজনক স্কিম পাবেন। যে কোন সময়, পার্সোনাল লোন পাবেন। যেকোনো শহরে সম্মানের সাথে বসবাসরত থাকতে পারবেন। সরকারি ব্যাংকের আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেমন-  বিদেশে পড়তে যেতে পারবেন, ট্রেইনিং এ বিদেশে যেতে পারবেন। সরকারি ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে সুযোগ সুবিধা বেশি বাংলাদেশ ব্যাংকের।

 এছাড়াও আপনি ৫৯ বছর বয়সের পরে রিটায়ার করতে পারবেন  এবং পেনশন পাবেন ! সরকারি অন্য সকল চাকরির মত সরকারি ব্যাংকেও আপনি পেনশন পাবেন। আপনি মারা গেলে আপনার স্ত্রী যতদিন বেঁচে থাকবে বা আপনার সন্তান-সন্ততি থাকবে তারা পেনশনের টাকা পাবে। তাই বলা যায় সরকারি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ সুবিধা অনেক।

সরকারি ব্যাংকে চাকরির বেতন কত

সরকারি ব্যাংকে চাকরির বেতন কত

 

আজ আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকের স্কেলসহ বেতন-ভাতাদি কত! ব্যাংকের ১০ম গ্রেডে সকুল্য বেতন কত টাকা হতে পারে! সরকারি ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে কোন গ্রেডের বেতন কত। সরকারি ব্যাংকে চাকরির ক্ষেত্রে বেতন-ভাতাদি ইত্যাদি সম্পর্কে!

চলুন বিস্তারিত জেনে নিই!

বাংলাদেশের যে-সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয় সেসকল ব্যাংকে স্পেশাল গ্রেডের কর্মকর্তারা সরাসরি সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়! বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে থাকা কর্মকর্তাদের পদবি হলো গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নর। আবার অন্যদিকে রাষ্ট্রায়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদবি হলো চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। স্পেশাল গ্রেডের কর্মকর্তারা সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের নির্ধারিত বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী একটা বেতন দেওয়া হয়।

Read More  সেনাবাহিনীতে কি কি পরীক্ষা করা হয়

১। গ্রেড-০১

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট ০১কর্মকর্তাদের ৭৮,০০০ হাজার টাকা নির্ধারিত বেতন দিয়ে থাকে! তবে সরকারি ব্যাংকে গ্রেড- ০১ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নেই।

২। গ্রেড-০২

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০২ এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল২০১৫ অনুযায়ী ৬৬,০০০/ ৭৬,৪৯০০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে! এরা Executive Director হিসেবে ভূষিত হন।

৩। গ্রেড-০৩

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০৩ এর কর্মকর্তাদের ৫৬,৫০০/৭৪,৪০০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে! এই পদের কর্মকর্তারা জিএম পদবিতে ভূষিত হন।

৪। গ্রেড-০৪

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০৪ এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল২০১৫ অনুযায়ী ৫০,০০০/৭১,২০০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে! এই পদের কর্মকর্তারা ডিজিএম পদবিতে ভূষিত হন।

৫। গ্রেড-০৫

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০৫ এর কর্মকর্তাদের বেতন। স্কেল২০১৫ অনুযায়ী ৪৩,০০০/৬৯,৮৫০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে! এই পদের কর্মকর্তারা জেডি  ভূষিত হন(জয়েন ডিরেক্টর) পদবিতে  ভূষিত হন।

৬। গ্রেড-০৬

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০৬ এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৩৫,৫০০/৬৭,০৭০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে এবং এই পদের কর্মকর্তারা ডিডি (ডেপুটি ডিরেক্টর) পদবিতে  ভূষিত হন।

৭। গ্রেড-০৯

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-০৯এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০/৫৩,০৬০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে। এই পদের কর্মকর্তারা এডি (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) পদবিতে  ভূষিত হন। সিনিয়র অফিসার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে পদোন্নতির সিস্টেম রয়েছে।

৮। গ্রেড-১০

সরকারি চাকরির বেতনের ক্ষেত্রে গ্রেট-১০ এর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০/৫৩,০৬০ টাকা বেসিক বেতন পেয়ে থাকে! এই পদের কর্মকর্তারা এডি (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) পদবিতে এবং ভূষিত হন সিনিয়র অফিসার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে পদোন্নতির সিস্টেম রয়েছে।

কেন সরকারি ব্যাংকে চাকরি করতে চান

সরকারি ব্যাংকে চাকরি  করতে চাওয়ার কারণ! ব্যাংক এ কাজ করার সুনাম এবং একই সাথে মোটা অঙ্কের বেতন পাওয়া যায় এ যেন এক সুবর্ণ সুযোগ! এছাড়াও বেশিরভাগ সরকারি ব্যাংকের চাকরিতে চাকরি চলাকালীন সময়ে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস ও অন্যান্য পুরস্কার দেয়া হয়! যা নির্ভর করে আপনার মেধা ও চাকরির বয়সের উপর! সুতরাং এই সকল সুবিধা পাওয়া এবং চাকরির ধরন দেখে সবাই সরকারি ব্যাংকের চাকরি করতে চাই! সরকারি ব্যাংকের চাকরি মানেই হচ্ছে উন্নত ক্যারিয়ার.

সরকারি ব্যাংকে চাকরি  করতে চাওয়ার অন্যতম আর একটি কারণ বিস্তর ভ্রমণ! ব্যাংকিং চাকরিতে দেশের বিভিন্ন অংশে গিয়ে বসবাস করা এবং ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে! এমনকি মাঝে মাঝে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে! ব্যাংকিং খাতের একটি চাকরিতে বিভিন্ন সময়ে অনেক ভ্রমণ করার প্রয়োজন পড়ে! এর মধ্যে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের ভ্রমণই রয়েছে! এই ভাবে একজন সরকারি ব্যাংকে চাকরিরত কর্মকর্তা একটি বদ্ধ পার্থিব অফিস স্পেসে বসে কাজ করার একঘেয়েমি ছাপিয়ে একই সাথে কাজ করা যায় এবং ছুটি কাটানোর আনন্দ দুটোই উপভোগ করতে পারে! তাই সবাই সরকারি চাকরি করতে চান।

Read More  প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরির যোগ্যতা

Leave a Comment