এ সময়ের সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার দেখে নিন

লেখাপড়া শেষ করে সবাই একসময় চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে দৌড়াতে থাকে। তবে বর্তমানে সময় বদলে গেছে। এখনকার সময়ে তরুণ তরুণীরা পড়ালেখা করার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হতে চায়।  কারণ সবাই চায় নিজেকে এগিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকতে।  বর্তমান সময়ের তরুণ তরুণীদের পছন্দের পেশা,  কাজের পরিবেশ এবং বাস্তবতা সমূহ নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট এ সময়ের সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার দেখে নিন । 

তরুণরা এখন আশা করে ক্যারিয়ারে তাদের নিজেদের মেধা খাটানোর জায়গার পাশাপাশি যে কাজটি সে করবে সেটি যেন তার নিজের সাথে মানিয়ে নিতে সহজ হয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে প্রতিদিনের কাজকে কাজ মনে না করে সেটা উপভোগ করতে চায়।  সবেমাত্র পড়াশোনা শেষ করে যে সকল তরুণতরণীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে, তাদের প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে বেশি।  আর এই প্রতিযোগিতায় সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে যারা নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করার পাশাপাশি প্রাক্টিক্যাল কাজে দক্ষ।  বর্তমানে তরুণরা যেমন  প্রচলিত পেশার দিকে ঝুলছে,  ঠিক তেমনি বিভিন্ন সৃজনশীল ও চ্যালেঞ্জিং পেশাও বেছে নিয়েছে অনেক তরুন। অনেকে আবার সুবিধাজনক পেশাকে বেছে নিয়ে চিন্তামুক্ত। 

আপনার ক্যারিয়ার কেমন হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর।  আপনি কোন ধরনের মানুষ,  তার উপর ভিত্তি করে যদি ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সাফল্য আসবে।  নিজে থেকে যদি বুঝতে না পারেন কোন ক্যারিয়ারটি আপনার জন্য বেস্ট তাহলে মা-বাবার সাথে, বন্ধুদের সাথে এবং ক্লাসের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে নিতে পারেন। তবে অন্যদের থেকে পরামর্শ নিলেও অবশ্যই নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। আপনার ক্যারিয়ার গঠনে পরামর্শ দিতে আজ হাজির হয়েছি এ সময়ের সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার নিয়ে। আপনি যদি আসলেই নিজের  ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কোন ক্যারিয়ারগুলো বর্তমান সময়ে ভালো হবে সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমাদের আজকের পোস্ট এ সময়ের সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার  আপনার জন্য।  চলুন জেনে নেই এ সময়ের সেরা ১০ ক্যারিয়ার গুলো কি কি!

সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার

সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার

ইঞ্জিনিয়ারিং – Engineering 

বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং  এবং আর্কিটেকচার পড়ার সুযোগ রয়েছে। Engineering এর মধ্যে রয়েছে আবার বেশকিছু বিভাগসমূহ। 

১) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, 

২) ইলেকট্রিক্যাল ও  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, 

৩) সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, 

৪) নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং, 

৫) পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, 

৬) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে আর্কিটেকচারের মূল বিষয়টি হচ্ছে এই বিষয়ে পেশা গড়ারও বিভিন্ন খাত রয়েছে। তবে ক্যারিয়ারে যেকোনো কাজকেই মূল্যায়ন করুন উচিৎ। কেউ হয়তো বিল্ডিং ডিজাইন করছে,  কেউ করছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ডিজাইনের কাজ, আবার কেউ ইন্টেরিয়র ডিজাইনের নিজের ক্যারিয়ার করতে ব্যস্ত।  উভয় ক্ষেত্রেই এ সময়ের সেরা ১০ টি ক্যারিয়ার এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) এ আপনার ক্যারিয়ার গড়তে হলে এসব বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি  প্রয়োজন মতো এমবিএ, মাস্টার্স, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করারও সুযোগ রয়েছে।

Read More  প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরির যোগ্যতা

বর্তমান সময়ের তরুণদের কাছেও ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল একই রকম আকর্ষণীয় একটি পেশা।  ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি বর্তমানে স্থাপত্য বা আর্কিটেক্ট তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।  ইঞ্জিনিয়ার এবং স্থাপতিদের ক্যারিয়ারের স্ত্রীশীলতা যেমন অন্য অনেক পেশা থেকে বেশি তেমনিভাবে এসব পেশায় সামাজিক মান-মর্যাদাও বেশ ভাল। 

ব্যাংকিং

আমাদের আজকের পোস্ট এ সময়ের সেরা ১০ ক্যারিয়ার ছাড়াও বর্তমানের চাকরির বাজারে ব্যাংকিং সেক্টর ক্যারিয়ার ভালো অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে নিজ পছন্দের চাকরি খুজে বের করা এবং পাওয়া অনেক কঠিন হয় পরেছে। সদ্য  শিক্ষাজীবন শেষ করা তরুণ তরুণীদের পছন্দের চাকরিগুলোর প্রথম দিকে রয়েছে ব্যাংকিং সেক্টর পেশা।  কারণ ব্যাংকিং সেক্টর পেশাটিকে সবাই চিন্তামুক্ত পেশা হিসেবে মনে করে থাকেন। ব্যাংকিং সেক্টরে প্রাইভেট ব্যাংকগুলো প্রবেশ করার কারণে এই পেশায় তরুণদের সুযোগ দিন দিন বেড়ে চলেছে।  প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর সেবার মান সরকারি ব্যাংকের তুলনায় উন্নত বলে গ্রাহক সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  এজন্য চাহিদার সাথে তাল মিলাতে বেড়ে চলেছে বেসরকারি ব্যাংকের নতুন নতুন শাখা উন্মোচন।  একই সঙ্গে সেবার মান অক্ষত ও উন্নত করতে প্রয়োজন পড়ছে অধিক কর্মী ।  জনশক্তি সংগ্রহের জন্য ব্যাংকিং সেক্টরে কাজের পরিবেশ ভালো হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে ভালো বেতন কাঠামো। তাই বেশিরভাগ তরুণ তরুণীরা এ পেশায় যুক্ত হওয়ার দিকে ঝুঁকছে।  ব্যাংকের নিয়োগে বিভিন্ন ধরনের পদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা চাওয়া হলেও এমবিএ/ এমবিএম/পোস্ট, গ্রাজুয়েট/সিএ ,  ডিগ্রিসহ বিভিন্ন ডিগ্রিধারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। 

টেলিকম

আপনি যদি টেলিকমিউনিকেশনে  নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে গ্রাজুয়েট সহ নেটওয়ার্কিং, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার ও টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।পাশাপাশি আপনাকে এই সেক্টরের জন্য গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট ও রুচিশীলভাবে।  দক্ষ এবং প্রগতিশীল হতে হবে।  সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।  এখানে পুঁথিগত বিদ্যা আর নিজের ব্যক্তিগত দক্ষতা সমন্বয়ে যে কেউই করতে পারে নিজের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার।  বেতন ও কাজের পরিবেশও রয়েছে বেশ ভাল। 

মার্কেটিং

চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর মধ্যে মার্কেটিং কাজ অন্যতম।  চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে সেলস এন্ড মার্কেটিং।  এই সেক্টরের চাকরি পাওয়ার জন্য সাধারণত প্রয়োজন হয় বিবিএ, এমবিএ  কিংবা মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্স ও হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক। ক্যারিয়রে আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুব জরুরি। যারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন এবং নতুন কিছু জানতে আগ্রহী তাদের জন্য সেলস এন্ড মার্কেটিং উপযুক্ত একটি স্থান।  পণ্য বাজারজাত করার জন্য প্রচুর সেলস এন্ড মার্কেটিং কর্মী  প্রয়োজন হয়ে থাকে। যদিও বা একটি সময় সেলস এন্ড মার্কেটিং একই ডিপার্টমেন্ট ছিল তবে বর্তমান সময়ে সেলস ও মার্কেটিং আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ধরা হয়ে থাকে।  দেশীয় কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি অনেক বিদেশি কোম্পানিও বাংলাদেশে তাদের পণ্য বাজারজাত করে চলেছে।  যার ফলস্বরূপ, বেড়েছে কর্মসংস্থান।  তাই এই বিভাগ গুলোতে প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হচ্ছে।

Read More  বেতন মওকুফের জন্য আবেদন

মিডিয়া জগতের ক্যারিয়ার

এ সময়ের সেরা ১০ ক্যারিয়ার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অপছন্দের একটি ক্যারিয়ার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া!  বর্তমানে অনেক তরুণ তরুণীই গ্ল্যামারস পেশার দিকে ঝুঁকছে! এই ধরনের পেশা গুলোর তালিকায় বর্তমানে যে ক্ষেত্রটি উঠে আসছে সেটি হচ্ছে গণমাধ্যম বা মিডিয়া!  আর ছোট পর্দার মোহনীয় আকর্ষণের কারণে পেশা হিসেবে ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে পছন্দের শীর্ষে! আকর্ষণীয় এই ক্যারিয়ারে রয়েছে খ্যাতি,  সুনাম,  সুপরিচিতির পাশাপাশি উজ্জ্বল জীবনের হাতছানি! মিডিয়া জগতের ক্যারিয়ার বিশ্বব্যাপী হওয়া সত্বেও বাংলাদেশেই রয়েছে এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার বিশাল একটি ক্ষেত্র। 

এনজিও

বাংলাদেশের চাকরির ক্ষেত্র তৈরিতে এনজিও এক অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে! এনজিওগুলো শহর থেকে সুদুর গ্রামের সব স্থানেই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে! বিদেশি এনজিওগুলোর  পাশাপাশি দেশীয় অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে!  এ সেক্টরের চাকরির প্রতি তরুণদের আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা যায়।  আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে এখানে বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। 

যদিও বা একটু পরিশ্রম বেশি করতে হয় এনজিও সেক্টরে! তবুও ভালো একটি অবস্থানে যেতে পারলে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে! এনজিও সেক্টরে ক্যারিয়ার তৈরি করতে হলে  শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে মাস্টার্স ডিগ্রি, সিএ, এমবিএ ইত্যাদি চাওয়া হয়! ইংরেজি লেখা ও বলায় খুবই দক্ষ হতে হবে এখানে! তাই আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন এনজিও সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার গঠন করবেন তাহলে অবশ্যই উপরুক্ত যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হবে ! প্রাথমিকভাবে কিছু অভিজ্ঞতার জন্য ফিল্ড লেভেলে কাজ করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনি আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। 

হিউম্যান রিসোর্স

হিউম্যান রিসোর্স

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সব কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের কাজের তদারকি করার জন্য হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট কাজ করে! এই ডিপার্টমেন্টের আর একটি হল সম্পর্ক গড়ে তুলা ! একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী এইচআর বিভাগ কোম্পানির প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে! এবং কর্মী দেরকে বেতন কাঠামো,  প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সহ সকল প্রয়োজন এইচআর ডিপার্টমেন্ট দিয়ে থাকে! কোম্পানিতে চাকরিরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের চাহিদা এবং তাদের কাজ ঠিকঠাক মতো হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি করা হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের কাজ।  এই সুন্দর চাকরিটি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই মাস্টার্স অথবা এমবিএ মেজর ইন এইচ আর এস ডিগ্রিধারী হতে হবে! আপনার মধ্যে এই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে আপনি হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টে চাকরির অগ্রাধিকার পাবেন! এ ডিপার্টমেন্টে কিছু কাজে আগের অভিজ্ঞতা থাকলে চাকরির জন্য ভালো হয়। 

গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং

 বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানির খাত হচ্ছে গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং।  দেশের মোট রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই  গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং খাত থেকে পাওয়া যায়।  এই বিশাল সেক্টরে প্রয়োজন হয় প্রচুর লোকবল।  সেই তুলনা অনুযায়ী কোম্পানির মালিকরা কর্মী পাচ্ছেনা। গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে যেমন প্রয়োজন হচ্ছে সাধারণ শ্রমিক তেমনি দক্ষ ও শিক্ষিত কর্মী প্রয়োজন।  যারা কাজ করবে প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ে। গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি দেশে এমন অনেক বায়িং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে,  যারা বিদেশ থেকে অর্ডার নিয়ে দেশীয় গার্মেন্টস থেকে কাজ পরিচালনা করে।

Read More  পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় কি?

এখানেও সংকট দক্ষ লোকবলের!  এই সেক্টরগুলোতে বর্তমান সময়ে উচ্চ বেতন দিয়ে দক্ষ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা!  গার্মেন্টস এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে গ্রাজুয়েট সহ বিবিএ, এমবিএ  ইত্যাদি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়।পাশাপাশি মার্চেন্ডাইজ জানা থাকলে সেটা আপনার চাকরী পেতে সাহায্য করবে। 

মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল

বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প অনেক উন্নতি করেছে! দেশের চাহিদা পূরণ করার পর এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে বাংলাদেশের ঔষধ! বিশেষ করে এই জন্য এ সেক্টরের প্রতিনিয়ত দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হচ্ছে।এই সেক্টরের চাকরির জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়া দরকার ! এই সেক্টরের চাকরির ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেশি গুরত্ব দেওয়া হয়। মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যালস চাকরির জন্য এমএসসি,  এমবিএ,  এম ফার্ম,  বি ফার্ম  ইত্যাদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

এই সেক্টরে কাজ করার সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে মাসিক নির্দিষ্ট বেতনের পাশাপাশি আপনি যদি টার্গেট পূরণ করতে পারেন তার জন্য অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে।  বর্তমানে অনেকেই ডিগ্রি পাস করার পর এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ে সফলতা পেয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে অনেক বড় হওয়ায় মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে চাকরি পেতে সহজ হয়। আপনার কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি স্বাভাবিক ভাবেই আপনার বেতন বাড়বে।  এজন্য আমাদের পরামর্শ,  যারা নতুন চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে তাদের জন্য মেডিকেল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টর উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় একটি ক্যারিয়ার হতে পারে। 

টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড! যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি ততো উন্নত। বাংলাদেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে! এবং দিনদিন এই সেক্টরগুলোতে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে!  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের লোক বল প্রয়োজন হয়ে থাকে! শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা রিসার্চ সেন্টার চালু করেছে, সেখানেও রয়েছে অনেক কাজের সুযোগ।

টিচিং অ্যান্ড রিসার্চে ক্যারিয়ার গড়তে আপনার নিষ্ঠাবান হওয়া বাঞ্ছনীয়! টিচিং এন্ড রিসার্চ সেক্টরের ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন স্নাতকোত্তর এমবিএ,  পিএইচডি,  সিএসই, ইইউ ইত্যাদি!  এই ক্যারিয়ারে আলাদা একটি সম্মান অর্জন পাওয়া যায়। এই সেক্টরে আপনার পারফর্ম অনুযায়ী আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে!  তাই যারা টিচিং এন্ড রিসার্চে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক তাদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করে এই সেক্টরে আশা উত্তম বলে আমি মনে করি!

Leave a Comment