Airtel Loan বা এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কিভাবে নেওয়া যায়, তা নিয়েই আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি। Airtel Emergency Balance কিভাবে নিতে হয়, তা সম্পর্কে অনেক গ্রাহকই জানতে চায়। আর যে বিধায় ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে নানা রকম এয়ারটেল লোন সম্পর্কিত টাস্ক দ্ধারা। আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা জানতে পারবে কিভাবে এয়ারটেল লোন নিতে হয় বা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার সঠিক উপায়।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সেরা নেটওয়ার্ক প্রোভাইডকারীর মধ্যে এয়ারটেল অন্যতম। তাঁরা তাদের গ্রাহকদেরকে সঠিকভাবে নেটওয়ার্ক সহ নানা রকম অফার দিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ এখন ৪জি থেকে ৫জি ইন্টারনেটে কনভার্ট করার চিন্তা-ভাবনা করছে। আশা করি খুব দ্রুত এই চেষ্টা সফল হবে এবং গ্রাহকগণ উপকৃত হবে। ঠিক একইভাবে কর্তপক্ষ গ্রাহকদের বিপদ কিংবা চরম মূহর্তে যেন হতাশায় না থাকতে হয়, সে জন্য তাঁরা এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বা এয়ারটেল লোনের ব্যবস্থা করেছে। ( এয়াটেল রিচার্জ অফার এবং একই সাথে এয়ারটেল মিনিট অফার সম্পর্কে জানুন )
আমরা যারা এয়ারটেল গ্রাহক রয়েছি, তাদের প্রায় সবারেই অনেক সময় এয়ারটেল ঝটপট ব্যালেন্স তথা এয়ারটেল লোনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নানা রকম কারণ তথা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড বা উপায় না জানা থাকা বিধায় নিতে পারি না। তবে আবার অনেকে জানে কিন্তু এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তাদের লোন দেওয়ার কোডগুলোকে আপডেট করায় নিতে পারে না। এভাবে সার্ভিকভাবে একজন এয়ারটেল গ্রাহক তাঁর প্রয়োজনের সময় ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। চলুন তাহলে আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে, গ্রাহকদের সুবিধার্থে এয়ারটেল লোন বা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড নাম্বার, উপায়সহ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ( আরো জানুন Grameenphone International Call Rate সম্পর্কে )
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স – Airtel Loan or Emergency Banlance
Airtel Loan শব্দটি সামনে আসলেই মনে হয় কোনো কিছু ধার নেওয়া হচ্ছে এয়ারটেল মোবাইল অফারেটরদের কাছ থেকে। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই! আমরা আজকে এটাই জানবো যে, কিভাবে কোড ডায়ালের মাধ্যমে এয়ারটেল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে পারি। আলোচনার সুবিধার্থে প্রথমে আমরা জেনে নেই কিভাবে এয়ারটেল লোন বা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়, ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড সহ বিস্তারিত। চলুন তাহলে শুরু করি।
এয়ারটেল লোন বা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড নাম্বার
আলোচনার সুবিধার্থে প্রথমে জেনে নেই এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া কোড নাম্বার। যেটি দিয়ে আমরা মিনিট, টাকা, ইন্টারনেট সহ এসএমএস জরুরি মূহর্তে নিয়ে আসতে পারি। এরপর জানবো এয়ারটেল ইমার্জেন্সি মিনিট, টাকা, ডাটা কিভাবে চেক দিবেন, সে কোড নাম্বারগুলো। তাহলে চলুন জানা যাক-
- আপনি যদি এয়ারটেলের ইমার্জেন্সি সার্ভিস ব্যবহার করতে চান, হোক সেটা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বা লোন, টাকা-মিনিট বা ডাটা, তাহলে আপনি *141#*8# কোডটি ডায়াল করুন। উক্ত কোড ডায়ালের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি ব্যালান্স, ইন্টারনেট ডেটা আর মিনিট লোন নিতে পারবেন যখন তখন।
- যখন আপনি উক্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স, ডাটা, মিনিট নিবেন, তখন *778# অথবা *8444*88# কোড ডায়াল করে পরিমাণ দেখতে পারেন। অর্থাৎ এয়ারটেলের ব্যালেন্স চেক দিতে উক্ত কোড ডায়াল করুন।
এখানে উপরে দুটি কোড নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি এয়ারটেলের ইমার্জেন্সি সার্ভিস সমূহ ব্যবহার করতে চান, তাহলে উপরোক্ত কোডগুলো প্রথমটি ব্যবহার করে এয়ারটেল থেকে লোন তথা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স, ডাটা, মিনিট অথবা এসএমএস নিতে পারে খুব সহজেই।
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সমূহ – Airtel Emergency Balance Loan
এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল সাইটে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স সমূহ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছে। ইমার্জেন্সি লোনের পরিমাণ সহ সার্ভিস ফি ও সর্বমোট কত টাকা হবে তা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। আর তারই প্রেক্ষিতে পাঠকদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেল সেই চার্ট লিস্টটি তুলে ধরা হলো-
লোনের পরিমাণ | সার্ভিস ফি | সর্বমোট (টাকা) |
১২ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ১৪.৬৭ |
১৫ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ১৭.৬৭ |
২২ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ২৪.৬৭ |
২৫ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ২৭.৬৭ |
৩২ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ৩৪.৬৭ |
৫০ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ৫২.৬৭ |
১০০ টাকা | ২.৬৭ টাকা | ১০২.৬৭ |
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ভয়েস মিনিট লোন সমূহ – Airtel Emergency Voice Loan
ঠিক একইভাবে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের আরো দায়িত্বশীল করতে অফিসিয়াল সাইটে ইমার্জেন্সি ভয়েস মিনিট লোন সম্পর্কে অবগত করেছেন। অর্থাৎ কত টাকার বিনিময়ে আপনি কত মিনিট ভয়েস পাচ্ছেন এবং সেই লোনকৃত ভয়েস মিনিটের মেয়াদ কতক্ষণ থাকবে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল গ্রাহকদের অবগত করেছেন। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-
মূল্য (টাকা) | মিনিট (যেকোনো নম্বরে) | মেয়াদ |
৫ | ৫ | ৪ ঘণ্টা |
৮ | ১০ | ৫ ঘণ্টা |
১৩ | ১৫ | ১৬ ঘণ্টা |
২০ | ২৫ | ২৪ ঘণ্টা |
২৬ | ৩৫ | ২৪ ঘণ্টা |
৩৬ | ৫০ | ২ দিন |
৫৩ | ৭৫ | ৭ দিন |
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট লোন সমূহ – Airtel Emergency Internet Loan
এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ বরাবর তাদের গ্রাহকদেরকে সচেতন ও অবগত করার জন্য একইভাবে ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট লোন নিয়েও বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। এখন গ্রাহকদের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সাইট হতে সঠিক তথ্য জেনে ব্যবহার করা। আর তারই প্রেক্ষিতে নিম্নে এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ইন্টারনেট লোন সম্পর্কিত চার্টটি তুলে ধরা হয়েছে।
মূল্য (টাকা) | ভলিউম | মেয়াদ |
১৪.৬৭ | ৭০ এমবি | ৩ দিন |
২৫ | ৩০০ এমবি | ৩ দিন |
৩৭ | ১ জিবি | ৩ দিন |
৫০ | ১.৫ জিবি | ৩ দিন |
১০৪ | ২.৫ জিবি | ৭ দিন |
উপরের তথ্যগুলো দ্ধারা আশা করি একজন এয়ারটেল গ্রাহক খুব ভালোভাবে উপকৃত হবে। যদি কোনো এয়ারটেল গ্রাহক ইমার্জেন্সি লোন বা ব্যালেন্স নিতে চায়, তাহলে উপরের তথ্যগুলো দ্ধারা সে বেশ চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবে।
এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল একজন এয়ারটেল গ্রাহক কিভাবে খুব সহজেই এয়ারটেল ইমার্জেন্সি বা লোন নিতে পারে। সেটা হতে পারে ব্যালেন্স, ডাটা বা ইন্টারনেট অথবা মিনিট কিংবা এসএমএস। কিন্তু ধারাবাহিকতায় এখানে সবগুলো তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি এমন ব্যক্তি হোন যে একজন এয়ারটেল ব্যবহারকারী এবং এয়ারটেলের ইমার্জেন্সি লোন নিতে চাচ্ছেন, তাহলে উপরোক্ত তথ্যগুলো দ্ধারা আপনি বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারেন। এখানে একজন গ্রাহক কত টাকায় কত মিনিট/ডাটা/ব্যালেন্স বা এসএমএস নিতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে এবং সেই সাথে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ইমার্জেন্সি লোনগুলোর মেয়াদ বা ব্যবহারযোগ্য টাইমের রেন্জ। সুতরাং সর্বশেষ সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, একজন এয়ারটেল গ্রাহক ইমার্জেন্সি লোনের Emergency Loan ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবে আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা উপকৃত হতে পারে।