Book fair paragraph in Bengali – বইমেলা কথাটি শুনলেই মনে হয় একটি শিক্ষণীয় বিশেষ মেলা। আমরা যারা বিদ্যালয়ে পড়ুয়া, তাদের নিকট Books fair শব্দটি খুবই পরিচিত এবং সচারাচর প্রায় সময় আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় বইমেলা রচনা অথবা Books fair paragraph টি কমন এসে থাকে, এবং যথাযথভাবে আমরা সেটির উত্তরও দিয়ে থাকি। শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা আরো তীব্র করতে বইমেলার উপযোগী বিকল্প অন্য কোনো উপায় নেই। লেখা-পড়ার প্রতি উৎসাহ তৈরি করতে তাদের মনে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার দরকার। আর Books fair এর মাধ্যমে সেই প্রাণের সঞ্চার তেরি করা সম্ভব। তবে আমাদের বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য বই মেলার আয়োজন করে থাকে গভার্মেন্ট থেকে। বাংলাদেশেও রাজধানী সহ প্রায় সব জেলা-উপজেলায় স্টলের মাধ্যমে বইমেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ( আরো জেনে নিন Essay on Rabindranath Tagore এবং Bangla সকলে ধরনের paragraph গুলো সম্পর্কে )
সেখানে গার্ডিয়ান সহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। শিশু শ্রেণী হতে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং যেকোনো পেশার মানুষদের টার্গেট করে থাকে প্রায় সব রকমের বই। মূলত জ্ঞান চর্চার একটি ক্ষুদ্র গন্ডি তৈরি করে তোলা হয় বই মেলার মাধ্যমে। তাই আজকের আর্টিকেলেটি যেহেতু Book fair paragraph in Bengali অর্থাৎ বইমেলা রচনাকে কেন্দ্র করেই, তাই আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে উপরের তথ্যেগুলোর উপর ভিত্তি করেই চলুন অভিজ্ঞাতার আলোকে বইমেলার সমগ্র একদিনের বর্ণনা দেওয়া যাক রচনা আকৃতির মাধ্যমে।
বইমেলা রচনা – Paragraph a Book Fair
সাধারণত প্রতিবছর বাংলাদেশে ভিন্নভাবে ২টি বইমেলা হয়ে থাকে। সামগ্রিকভাবে দুইটি বইমেলাই জনগণ তথা শিক্ষার্থীদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। দুটি বইমেলা হলো-
- একটি হলো ঢাকা বই মেলা যা জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত হয়ে থাকে
- এবং অন্যটি হলো বাংলা একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত একুশে বই মেলা
মূলত এই দুইটি বই মেলাই হলো বাংলাদেশে হওয়া সবচেয়ে সেরা ও জনপ্রিয় বইমেলা। এখন এই দুই বইমেলা কিন্তু একই সাথে এবং একই সময়ে শুরু হয় না। সময়ে রয়েছে ভিন্নতা। কেমন ভিন্নতা? প্রথম বইমেলাটি শুরু হয় প্রতিবছরের প্রথম মাস তথা জানুয়ারি মাসের প্রথম তারিখ থেকে এবং দ্ধিতীয় বইমেলাটি শুরু হয় ফেব্রুয়ারির পহেলা তারিখ থেকেই। আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি ভয়-ভীতি কাজ করে, আর সেটি হলো বই পড়া নিয়ে। আমাদের শিক্ষার্থী তথা শিক্ষিত সমাজের প্রায় ৮০% লোক বই পড়ে না অথবা বই পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখায় না। তবে বাৎসরিক এরকম বই মেলার মাধ্যমে তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে প্রতিবছরই বই মেলা আমাদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্টতা শিখিয়ে দিয়ে যায়। যেহেতু আজকের আলোচনাটি একটি বই মেলার অভিজ্ঞতা বা বর্ণনাকে কেন্দ্র করে, সেহেতু চলুন তাহলে বইমেলা রচনা সম্পর্কে জানা যাক।
তবে আলোচনার শুরুতে উল্লেখ করা ভালো যে আজকের আর্টিকেলে অর্থাৎ বইমেলা (Books Fair) তে কোন কোন হেডিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বইমেলা সম্পর্কে জানতে পারবো। হেডিং-সাবহেডিংগুলো হলো-
- ভূমিকা
- বইমেলার স্বরূপ
- বই মেলার সাংগঠনিক দিক ও উপযোগিতা
- ধারাবাহিকতা রক্ষায় বই
- সমাজ পরিবর্তনে বইমেলা
- পারস্পরিক ভাব বিনিময়
- দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে বইমেলা
- উপসংহার
উপরে উল্লেখিত সমস্ত হেডিং ও সাবহেডিংগুলোকে কেন্দ্র করেই আজকের আমাদের বইমেলা রচনাটিকে সাজানো হয়েছে। আশা করি সংক্ষিপ্ত ভাবে সম্পূর্ণ একটি ধারণা পেয়ে গেছেন যে বই মেলা সম্পর্কে। তাহলে চলুন,মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
বইমেলা রচনা (Book Fair Essay in Bengali)
ভূমিকা: সাধারণত মেলা বলতে বোঝায় কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে একই জায়গায় একই সময়ে বহু মানুষের সমাগমকে। সেটা হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন জিনিসকে কেন্দ্র করে। ঠিক একই ভাবে যদি সেটি হয় বইকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ বইকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একই সময়ে বহুমানুষের সমাগমকেই বই মেলা বলে। পূর্বে বিশেষ করে বেশি মেলা হতো গ্রাম-গঞ্জে। তবে তা এখন শুধু গ্রামেই সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রসারিত হয়েছে দেশ-জাতি বিভিন্ন বর্ণের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি স্থানে। আনন্দ-উৎসাহের সহিক পালিত হয় দেশের সমস্ত মেলাগুলো।
প্রথমে আমাদের দেশ সহ পাশের রাষ্ট্র ভারতে ছিল পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মেলা। কিন্তু এখন যদি আমরা সামান্য নজর করি আমাদের দেশের দিকে, তাহলে দেখতে পাবো যে, নানা রকম মেলা বয়ে চলছে প্রতি বছর। প্রতি বছর এখন ভিন্ন ভিন্ন টপিককে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে নানা রকম মেলা। যদি আমরা সম্প্রতির দিকে নজর করে উদাহরণ ধরি, তাহলে দেখতে পাবো যে, কৃষি মেলা, বিজ্ঞান মেলা, সাহিত্য মেলা, শিল্প মেলা, বই মেলা প্রভৃতির উদাহরণ দেওয়া সম্ভব এভাবে। ক্রমান্বয়ে জাতিগত ভাবে এসব মেলার প্রসার খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব ভিন্ন রকমের মেলার মধ্যে বই বা গ্রন্থপ্রিয় মানুষদের জন্য আজকের আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো বইমেলা। যা বই পিপাসু মানুষদের নিকট এক অনন্য সংস্কৃতিও বটে।
বইমেলার স্বরূপ
বই বা গ্রন্থমেলা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই হয়ে থাকে। জীবনের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান পিপাসু মানুষদের জন্য বই হলো এক মহামূল্যবান সম্পদ। জীবনের প্রতিটি মূহর্তেকে অনুভব করার জন্যও অন্তত প্রত্যেক মানুষের বই প্রয়োজন হয়। বই মানুষের জ্ঞান ভান্ডারকে আরো স্বতঃস্ফূর্থ করে তোলে।
সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ২০শে ডিসেম্বরে ঢাকার একাডেমি প্রাঙ্গনে প্রথম প্রাথমিকভাবে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। আর বর্তমানে বই মেলার কি অবস্থা এবং কতটা উন্নতি ঘটেছে আমাদের দেশে, তা প্রায় সবার জ্ঞাতে রয়েছে।
বই মেলার সাংগঠনিক দিক ও উপযোগিতা
যেকোনো মেলাকে সুষ্ঠভাবে প্রথম থেকে শেষ অবধি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তার আন্ডারগ্রাউন্ডে বেশ কিছু লোক কাজ করে থাকে। সেটা বই মেলা কিংবা বানিজ্য মেলা অথবা বিজ্ঞান মেলা ইত্যাদি যেকোনো মেলাই হোক না কেন! ঠিক একই ভাবে বই মেরার সাংগঠনিক দিক দিয়ে তেমনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ না করলেই নয় যে, তাঁরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর তাঁরা হলেন-
- মেলার উদ্দ্যোক্তা
- প্রকাশক সংস্থা
- দর্শক
সাধারণত এই তিনজনই হলেন একটি বইমেলার সাংগঠনিক ব্যক্তিবর্গ। যারা মেলার শুরু হতে শেষ অবধি সকল প্রকার আয়োজনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু বই মেলার প্রধান লক্ষ্যই থাকে যে, কিভাবে একটি সু্ন্দর বই মেলার মাধ্যমে সাহিত্য ও বই পিপাসু মানুষদের ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করা যায়, তাই তাঁরা বাচ্ছা সহ অন্যসকলের জন্য সার্বিকভাবে সব কিছুর সু-ব্যবস্থা করে থাকে।
ধারাবাহিকতা রক্ষায় বই
বই হলো প্রজন্মের মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষার অন্যতম একটি হাতিয়ার। একমাত্র বই পারে প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি সহ নানা রকম দিককে ধরে রাখতে। পূর্বের চিরন্তন সত্যগুলোকে সামনে তুলে ধরার জন্য বই হলো অনন্য এক মাধ্যম।
ইতিহাসের পাতায় যেসব সত্য লিপিবদ্ধ আছে, তার সংস্কার ও দিকগুলোকে নুতন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের পুরাতন কালের ধরনের আচার-আচরণ এবং সংস্কার নতুন যুগের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতি–সূচক নয়—ইতিহাসের পাতায় এই সত্য লিপিবদ্ধ আছে। একমাত্র বই আমাদের সেই সকল আচরণ এর স্বরূপ উদঘাটন তথা সঠিক প্রয়োগের শিক্ষা দেয়। পৃথিবীতে ভালোবাসার অভাবে যুগে যুগে যে বিভিন্ন সভ্যতা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে সেই সত্য আমরা বইয়ের পাতা থেকে জানতে পারি এবং তা শিখতে পারি। আর এইভাবে বই আমাদের মানবিক মূল্যবোধ গুলি সংরক্ষণের শিক্ষা দেয় একই সাথে জ্ঞান গর্ভ করে তোলে ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে।
সমাজ পরিবর্তনে বইমেলা
আমাদের চলমান সমাজে বিশেষ এবং হিউজ পরিবর্তন আনতে বইয়ের ভূমিকা যে কতটুকু তা কেবল একজন সমাজ বিজ্ঞানী ও বইপ্রেমী সচেতন নাগরিক অনুভব করতে পারে। বই হলো সমাজের শান্তি উৎঘাটন করার প্রধান হাতিয়ার। বইয়ের মাধ্যমে আপনি সহ সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মাঝে সচেতনাতা বোধ তৈরি করা সম্ভব। যারা বই পড়তে পারে না তাদের ক্ষেত্রেও এই সচেতনতা বোধ তৈরি করা আধোও সম্ভব। সেটা হতে পারে অন্যজন পড়িয়ে শোনাতে হবে অথবা আরো একাধিক মাধ্যমে।
আমাদের চলমান গণতন্ত্রে শুধুমাত্র সমাজের মুক্তিই ঘটেনি, আরো ঘটেছে ব্যক্তির মুক্তি। উনবিংশ শতাব্দীর ছয়ের দশকের শেষ দিকের ইতালিতে ম্যৎসিনি, গ্যারিবল্ডির জীবনী বাংলাদেশে বিপ্লবী মুক্তি আন্দোলনে প্রবল প্রেরণা যগিয়েছিল।শুধু মাত্র বইয়ের মাধ্যমে ভগিনী নিবেদিতা ইতালির বিপ্লবীদের সংগঠন পদ্ধতির সঙ্গে ভারতবর্ষে অবিভক্ত বাংলার বিপ্লবীদের পরিচয় ঘটিয়েছিলেন। এই বই কালে কালে সর্ববিধ শোষণ অত্যাচার অনাচার প্রভৃতি থেকে মুক্তির পথ নির্দেশ করেছে এবং তা আমরা গ্রহণ করেছি। আর এমতাবস্থায়, বইমেলার মত বিশাল প্রাঙ্গণ আমাদেরকে পূর্ব ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপক সুযোগ করে দিচ্ছে প্রায় প্রতিবছর। শুধু তাই নয়, বইমেলায় প্রত্যেক বছর পৃথিবীর প্রতিটি কণার বিপুল সম্ভাবনাময় নানা নতুন লেখক-কবিদের ও নাট্যকারদের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। তাদের এই সুপ্ত সম্ভাবনাময় প্রতিভার কথা হয়তো বইমেলা ছাড়া আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হতো না এবং আমরাও শিখতে পারতাম না এইসব তথ্যবহুল অনেক কিছু।
পারস্পরিক ভাব বিনিময়ে বই
আমাদের মাঝে পারস্পরিক ভাব বিনিময় সহ ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করতে বই মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। বই ছাড়া যেমন একজন জ্ঞান পিপাসু লোক প্রায় অচল ঠিক একই ভাবে আমাদের সমাজে সবার মাঝে পারস্পরিকভাবে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি না হলে, সমাজ উন্নয়নে বিরাট বাধা ও প্রতিবান্ধকতা তৈরি হয়।
যেকোনে ধরনের মেলা মানেই হলো মিলন, তা গ্রামীণ মেলা হোক কিংবা বই এর মেলা। প্রতিবছরের প্রতি দিনের ব্যস্ত একঘেয়েমি জীবনকে দূরে সরিয়ে মেলা এনে দেয় আমাদের মাঝে আনন্দ প্রশান্তি। বই মেলার উন্মুক্ত পরিবেশে একে অপরের সাথে আলাপ আলোচনায় নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠে এই সুযোগটি মানুষ কাজে লাগায়। প্রকাশকরা বুঝতে পারেন ক্রেতাদের সকল প্রকার চাহিদা। সারা দেশ থেকে আসা কবি, সাহিত্যিক, লেখক সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলার সমগ্র প্রাঙ্গণ। বই পিপাসু ও ভক্ত পাঠকরা নিজের প্রিয় লেখকের সাথে দেখা করার সুযোগও পেয়ে থাকে এইসব বইমেলায়। মূলত বই পাঠকের সাথে সেই লেখকদের মিলনের এক সহজ ও সরল মাধ্যম হলো এই বইমেলা অর্থাৎ Books Fair.
দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে বইমেলা
আমাদের সমাজের মানুষদের মাঝে এখনো অনেক প্ররাক রয়েছে দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে । এসবের সমাধানের জন্য দরকার সকল স্তরের মানুষদের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের। কিভাবে পাল্টাবেন? বইয়ে সমস্ত কিছুই রয়েছে। শুধুমাত্র আপনাকে নিয়মিত বই পড়ে যেতে হবে।
বই আমাদের জীবনকে এক রহস্যময় পথের সংযোগস্থলে দাঁড় করিয়ে দেয়। সমাজে আমাদের অন্তর্নিহিত প্রবণতা সেই সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে পথ খুঁজে পায়। রামনাথ বিশ্বাস এর ভ্রমণ বৃত্তান্ত বই পড়ে অনেক নিরীহ বাঙালি যুবক বিশ্ব–পরিভ্রমণের স্বপ্ন দেখেছে। বইয়ের হাজার পথের চৌমাথায় দাঁড়িয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও নিজের পথ পথনির্দেশ পেয়েছিলেন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তিনি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন বিশ্বকবি। এরকম আরো অনেক শত সহস্র উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। মূলত বই মানুষের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আগ্রহ এবং বইয়ের মাধ্যমে তার নিবারণের উল্লেখযোগ্য পথ, জীবনের প্রতি অনন্য এক ইউনিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায়।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, বই যে শুধু জ্ঞানের পিপাসা মিটায়, তাই নয়, পাশাপাশি আমাদের মাঝে পারস্পরিক ভাব বিনিময় সহ ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করতে বই মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতু বই হলো সমাজের শান্তি উৎঘাটন করার প্রধান হাতিয়ার। তাই বইয়ের মাধ্যমে আপনি সহ সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মাঝে সচেতনাতা বোধ তৈরি করা সম্ভব হবে। অন্যথায় ইতিহাস, সংস্কৃতি সহ আমাদের মূল্যবান সমস্ত ইতিহাসও বিলপ্তের পথে হাঁটবে। সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে বই মেলার গুরুত্ব কোনো ভাবেই বলে বা উল্লেখ করে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতি বছরের বই মেলার ধারাবাহিকতার চলমান ধারা বজায় রাখতে হবে।
বইমেলা রচনা – Paragraph a Book Fair নিয়ে শেষ কথা
যেহেতু বই মেলা হলো আমাদের বাঙ্গালীদের তথা পুরো শিক্ষিত সমাজের জন্য একটি অপুরন্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম,যে মাধ্যমে আমাদের সবার মাঝে তৈরি হয় ভ্রতৃত্ববোধ সহ জাগরণশীলতা। তাই সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে a Book Fair paragraph হয়ে উঠবে আমাদের জন্য আশির্বাদসরূপ। থাকি। শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা আরো তীব্র করতে বইমেলার উপযোগী বিকল্প অন্য কোনো উপায় নেই। লেখা-পড়ার প্রতি উৎসাহ তৈরি করতে তাদের মনে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার দরকার। আর Books fair এর মাধ্যমে সেই প্রাণের সঞ্চার তেরি করা সম্ভব। পাশাপাশি আমরা যারা বই পিপাসু মানুষ রয়েছি,তাদের ক্ষেত্রেও জ্ঞান আহরণের জন্য বই মেলা এক অনন্ত উদাহরণ। সুতরাং জ্ঞানের চর্চার জন্য এবং পড়ালেখা তথা বইয়ের প্রতি আকৃষ্টতা বাড়াতে বই মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা আমরা আজকের আর্টিকেল তথা বইমেলা রচনা-A book fair paragraph এ পড়ে বোঝলাম।