essay on pollution in Bengali অথবা দূষণ হোক তা পরিবেশ অথবা বায়ু দূষণ, কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে উচ্চ মাধ্যমিক সহ ইন্টারলেভেলেও উক্ত বাংলা রচনাটি এসে থাকে। আর সেই প্রেক্ষিতেই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা essay on pollution in Bengali Paragraph বা পরিবেশ দূষণ নিয়ে একটি বর্ণনাকৃত সম্পূর্ণ রচনা শিখবো, যা দ্ধারা আশা করি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সকলেই উপকৃত হবে। তবে বিশেষ করে আজকের আর্টিকেলটি হলো ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাংলা প্রেরেগ্রাফ। এরকম অনেক ক্যাটাগরির Banlga Paragraph শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাইয়ে ক্লাস-স্কুল ও পাবলিক পরীক্ষায় এসে থাকে। তাই যদি আগ থেকেই উক্ত প্যারাগ্রাফ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে, তাহলে আশা করি যেকোনো পরীক্ষায় এরকম বাংলা রচনা আসলে খুব সহজেই অ্যানসার করা যায়। ( Rainy Season Bangla Paragraph এবং Winter Morning Bangla Paragraph সম্পর্কে জানুন )
যদিও আজকের টার্গেটকৃত প্যারাগ্রাফ বা বাংলা রচনাটি যে শিক্ষার্থীদের জন্যই প্রয়োজনীয় তা কিন্তু নয় বরং সর্বোপরি সবারই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়া উচিত। কেননা, বর্তমান বিশ্বে গ্লোবাল ওয়ার্মিং জন্য যে শুধু বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করবে তা কিন্তু নয়, বরং বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীর সবাই পরিবেশ – বায়ু দূষণের কারণে ভোগতে হবে। এর অন্যতম কারণ হলাম আমরা নিজেরাই। আমাদের কর্মকান্ডে এসব দূষণ দিন দিন বেড়ে চলছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সুতরাং এই কথা বলার অপেক্ষরা রাখে না যে, পরিবেশ দূষণ কিংবা বায়ু দূষণ বাংলা রচনা শুধুমাত্র শিক্ষার্থী কিংবা ছাত্র-ছাত্রীরা পড়বে আর বড়রা পড়বে না। ব্যাপারটি এমন নয়। অবশ্যই আমাদের সবারই পড়া উচিত। দিন দিন ক্রমশ দূষণ আমাদের ক্রাশ করছে আর তারই ছায়ায় আমরা কোনো রকম সংকোচন বোধ ছাড়াই প্রবেশ করছি। এরকম সবগুলো দিকে নজর দিলে বোঝা যাবে যে, কতটা নিজেদেরকে নিজেরাই আমরা ধ্বংস করছি। তাই আজকের আর্টিকেলের গুরুত্বের দিক চিন্তা করলে আমাদের সকলেরই উক্ত রচনা তথা Pollution Paragraph বা পরিবেশ দূষণ অথবা বায়ু দূষণ রচনাটি পড় উচিত। সুতরাং, চলুন তাহলে বিলম্ব না করে পরিবেশ দূষণ প্যারাগ্রাফ বা বাংলা রচনাটি সম্পর্কে জানা যাক।
পরিবেশ দূষণ বাংলা রচনা essay of environment pollution Bangla Paragraph
পরিবেশ দূষণ বর্তমান সময়ে ছোট কোনো ধরনের সমস্যা নয়, দিন দিন এটি প্রচুর পরিমাণে ট্যানশন/চিন্তার বিরাট ধরনের বিষয় হয়ে উঠছে। তাই এটাকে কোনো ভাবেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। যদিও তুলনামূলকভাবে ভারত ছাড়া আমাদের দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোতে পরিবেশ দূষণ খুব কম পরিমাণ হয়ে থাকে। আবার গ্লোবাল রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্থানের রাজধানীতে দূষণের পরিমাণ সর্বনিম্ন। অর্থাৎ পরিবেশ দূষণের পরিমাণ একেবারে শূণ্যে (০) কাছাকাছি। পাকিস্থান এইদিক থেকে সফল। আবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থা খুবই করুণ। দক্ষিণ এশিয় দেশগুলো ছাড়াও পুরো পৃথিবীর দিক দিয়ে রাজধানী ঢাকা বেশ পিছিয়ে। আর আজকের আর্টিকেলটি মূলত এই জন্যই। পুরো আর্টিকেল আলোচনা হবে রচনা আকারে। যা নিম্নে দেওয়া হয়েছে। আজকের রচনাটি তথা পরিবেশ দূষণ বাংলা রচনাটি সবার পড়া উচিত। কেননা আমাদের পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার এবং ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। তাহলে চলুন আলোচনা বিলম্ব না করে মূল রচনায় যাওয়া যাক। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের Essay on Pollution in Bengali (পরিবেশ দূষণ – বাংলা রচনা) রচনাটিতে কি কি হেডিং-সাবহেডিং থাকবে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
- ভূমিকা
- আবহাওয়া – দূষণের সূত্রপাত
- শিল্পবিপ্লব ও আবহাওয়া দূষণ
- পারমানবিক বোমা ও আবহাওয়া-দূষণ
- প্রতিক্রিয়া
- প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্ষতি
- উপসংহার
পরিবেশ দূষণ রচনার আজকের আর্টিকেলে মূলত উপরোক্ত হেডিং গুলোর মাধ্যমে সম্পর্ণ আর্টিকেল তথা রচনাটি কাভার করা হয়েছে। আশা করি একজন শিক্ষার্থী বা জনসাধারণ উপরোক্ত হেডিংগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ একটি জ্ঞান লাভ করতে পারবে। তাহলে চলুন, দেরি না করে পরিবেশ দূষণ বাংলা রচনা essay of environment pollution রচনা পড়া শুরু করি এবং সতর্ক হই।
পরিবেশ দূষণ – Environment Pollution
ভূমিকা: সৌন্দর্যময় আমাদের এই পৃথিবী ছিল সবুজঘেরা, অক্সিজেনে ভরপুর, দূষণমুক্ত আবহাওয়া, সতেজ বিশুদ্ধতা পূর্ণ। কিন্তু যখনই মানুষের নানা রকম দূর্বিসহ কার্জক্রম শুরু হলো, ঠিক তখনোই পৃথিবী তাঁর স্বকীয়তা হারানো শুরু করছে এবং একই সাথে আমাদের জন্য ক্রমে তৈরি করছে এক মহাবিপদ। যদি কেউ বলে আমাদের এই পৃথিবীর পরিবেশ দূষণের জন্য কারা বেশি দায়ী অথবা এর প্রধান হোতা কারা? তাহলে এক বাক্যে উত্তর হবে মানুষ। মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীটাকে এতো পরিমাণ দূষিত করছে যে, ক্রামান্বয়ে পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। বোমা তৈরি এবং তাঁর সফল পরীক্ষা চালানো, ইট ভাটার মতো বেশি ধোঁয়া তৈরি কারী যন্ত্রপাতী ব্যবহার, অপ্রয়োজনে জ্বালানী ব্যবহার, গাড়ির ধোয়া ছাড়াও বিলাসী জীবন কাটানো আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে বিপদের দিকে ধাবিত করছে। যদিও জাতিসংঘ এই বিষয়ে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, পাকিস্থান ছাড়া পৃথিবীর অন্যকোন দেশ এ পর্যন্ত সফল হতে পারে নি। তবে সম্মুখভাবে যদি আমরা সবাই পরিবেশ দূষণ কমিয়ে নিয়ে আসতে চাই, তাহলে এটা সম্ভব।
আবহাওয়া – দূষণের সূত্রপাত
স্বাভাবিকভাবে একজন ইনুসেসেন্টের মনে প্রশ্ন আসতে পারে পরিবেশ বা আবহাওয়া দূষণের সূত্রপাত কখন শুরু হয়? পৃথিবীতে যখন আগুনের আবিষ্কার হয়, ঠিক তখনই পরিবেশের আবহাওয়া নষ্ট তথা দূষণ শুরু হয়। আর এখণ পর্যন্ত তা ক্রমান্বয়ে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে চলছে। কাঠসহ শিল্পকারখানাতে প্রচুর পরিমাণে আগুনের কাজ রয়েছে, আর তার থেকে বের হয় নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থসহ কার্বন-ডাই অক্সাইড। আর এই কার্বন ডাই অক্সাইডকে শোষণে গাছ-পালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঠিক একইভাবে আমরা পৃথিবী থেকে গাছ-পালা অকাতারে কেঁটে নগর তৈরি করছি। যেটা আমাদের জন্য বড় ভয়ের বিষয়। গাছ-পালা কাটার ফলে একদিকে যেমন অক্সিজেন ছড়ানোর বন্ধ হচ্ছে ঠিক অন্যদিকে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এভাবেই মানুষ তাঁর নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে।
শিল্পবিপ্লব ও আবহাওয়া দূষণ
আমাদের জীবনকে উপভোগ ও আরো আরামময় করার জন্য মানুষ দিন দিন তৈরি করছে নানা ধরনের পণ্য ও পাশাপাশি সেগুলোকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে শিল্পবিপ্লবের। আমাদের জীবননাশ যতক্ষণ না পর্যন্ত হবে, ততোক্ষণ মানব সমাজ ও জাতি তা থেকে বের হয়ে আসবে না। উন্নত জীবনের জন্য শিল্পকারখানাগুলো থেকে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ক্ষতিকারক কাঁচা পণ্য ব্যবহার করছে এবং সেগুলো থেকে আরো ক্ষতিকর পদার্থ বের হচ্ছে। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত আমরা পরিবেশকে দূষণ করেই চলছি। যদিও পৃথিবীকে রক্ষার জন্য জাতিসংঘ সহ বেশ কয়েকটি অর্গানাইজেশন ইতিমধ্যে অনেক ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এসব অর্গানাইজেশনগুলো ব্যাপকভাবে ফল ডাউন করছে। সুতরাং পৃথিবীকে রক্ষার্থে এবং আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে। সবার স্থান হতে সবাইকে তীব্রভবেসচেতন হতে হবে। শিল্পকারখানাগুলোতে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী সহ কাঁচা পণ্য ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি যেসকল পণ্য দ্ধারা পরিবেশের বায় ও অবস্থা দূষণ হচ্ছে, সে সকল পণ্যগুলোকে অবয়েড করতে হবে। অন্যথায় আগামী পৃথিবী আমাদেরকে শাস্তি দিতে এক পায়ে দাড়া।
পারমানবিক বোমা ও আবহাওয়া-দূষণ
ধারাবাহিকভাবে আগুনের যুগ থেকে আমরা প্রবেশ করি পারমানিবিক যুগে। আর এটাই ছিল পৃথিবী ধ্বংসের সবচেয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার। সর্বপ্রথম ১৯৪৫ সালে সর্বপ্রথম হিরোসীমা ও নাগাসাকিতে আমেরিকা বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহার শুরু হয়। আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের প্রতিযোগিতা চলছেই। রাশিয়া, জার্মান, ভারত সহ প্রায় সব পারমাণবিক দেশগুলোতে চলছে বোমা পরীক্ষার প্রতিযোগিতা। পারমাণবিক বোমার তেজক্রিয়তা এতোটাই ক্ষতিকর যে, আজ পর্যন্ত জাপানে তার প্রভাব রয়েছে। পরীক্ষামূলক বোমা পরীক্ষা প্রতিনিয়ত উত্তর কোরিয়া সহ নানা রকম শক্তিধর দেশগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব পরীক্ষার ফলে যে পরিমাণ তেজক্রিয়াতা ছড়াচ্ছে তা কোনো ভাবেই কমানো সম্বব নয়। তাই মানব জাতীকে রক্ষা করতে অবশ্যই আমাদেরকে এসব পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
প্রতিক্রিয়া
সব কিছুর রয়েছে বেড ইফেক্ট। তেমনি আমরা যে ক্রমান্বয়ে পরিবেশ দূষণ করে চলছি, তারও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে আমাদের মাঝে। এগুলো কি? তাহলে চলুন, স্টেপ বাই স্টেপ পরিবেশ দূষণের প্রতিক্রিয়াগুলো জানা যাক।
ভূপ্রকৃতিতে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া
পরিবেশ দূষণের কারণে হচ্ছে নানা রকম ভূপ্রকৃতিগত সমস্যা। আর ক্রমাগত ভাবে এই সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করছে। শিল্পকারখানার ক্ষতিকারক বর্জ্য পদার্থসহ নানা রকম তেজক্রিয় পদার্থসহ সরাসরি ফসলি জমিতে এসে পড়ছে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফসলি জমি সহ সকল ধরনের আবাধি ভূমি। আর মাটি হয়ে পড়ছে অনুর্বর। অন্যদিকে মাটি অত্যাধিক অনুর্বর হওয়ার কারণে সঠিকভাবে ফসল করতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক সমাজ। যা সরাসরি আমাদের খাদ্যের উপর হুমকি তৈরি করছে। তাই যদি সার্বিকভাবে বিবেচনা করি, তাহলে দেখতে পাই যে, পরিবেশ দূষণ তথা বায়ু দূষণের কারণে ভূপ্রকৃতিতে সৃষ্ট সমস্যা আমাদের জন্য ব্যাপক হুমকি সরূপ তৈরি করছে।
মানুষের জীবনে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া
সর্বপরি পরিবেশ দূষণের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে মানুষের। মানুষ যেমন এই পরিবেশকে দূষিত করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে, ঠিক এই মানুষই আবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে কতটা ক্ষতির সম্মখীন হচ্ছে মানুষ, তা একটু চারদিকে ভালোভাবে নজর দিলেই বোঝা সম্ভব। পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের শস্য উৎপাদন কমে গেছে, যা মানুষের পরিমত খাদ্যের জন্য হুমকি। এছাড়াও পরিবেশ দূষণের ফলে মাত্রাতিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বরফ গলিয়ে সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। যার ফলে বিজ্ঞানীরা ২০৫০ সালের ভবিষ্যৎ বানী করে থাকে। ২০৫০ সালে দক্ষিণ অঞ্চলীয় এলাকার প্রায় ৩০% পানির নিচে থাকবে। এছাড়াও পারমাণবিক বোমা সহ শিল্পকারখানার ধোয়া, তেজক্রিয়তা সহ ইত্যাদি আমাদের মানুষদের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করছে। আর এই হুমকিকে কোনো ভাবেই হ্রাস করা সম্ভব নয় যদি না আমরা মানুষরা নিজে থেকে সচেতন হই। তাই সার্বিকদিক বিবেচনা করে আমাদেরকে অবশ্যই এই ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। অন্যথায় মানুষ নামক প্রাণীদের বিলপ্ত খুব কাছেই।
প্রাকৃতিক ও মানবিক ক্ষতি
পরিবেশ দূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষের। তবে একইভাবে প্রাকৃতিকভাবেও অন্য প্রাণীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা কখনোই কাঙ্খিত ছিল না। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী জুড়ে চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি , পরীক্ষামূলক পারমাণবিক অস্ত্র তথা বোমা বিস্ফোরণের ফলে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমনি নষ্ট হচ্ছে ঠিক একইভাবে আবহাওয়ায় দেখা দিচ্ছে পরিবর্তন । পৃথিবীর কোথাও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে আবার কোথাও হ্রাস পাচ্ছে । ঋতুচক্রের আবর্তন ক্রমশঃ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । এইভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যদি ক্ষুচা হয় , তবে মানুষ তথা প্রাণীকূলের অস্তিত্বই একদিন লোপ অথবা বিলীন হয়ে পরবে। দূষিত পরিবেশের মধ্যে আগামী প্রজন্ম , নতুন শিশুর জন্ম হবে পঙ্গুত্ব ও ব্যাধিগ্রস্থ অবস্থায় । আর এর মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা হবে অকালবৃদ্ধ জরাগ্রস্থ । মানুষের জীবনে দূষণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়ে গ্রাস করছে । এভাবেই পরিবেশ দূষণ আমাদের মানবকূলে তৈরি করছে এক ভয়াবহ পরিবেশ, যা আমাদেরকে ক্রমান্বয়ে ধাবিত করছে মরণ ঝূঁকিতে।
উপসংহার
যেহেতু পৃথিবীটা আমাদের, সেহেতু সেই পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে অবশ্যেই আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে। আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের রকেট নিক্ষেপ ও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ হওয়া চাই। উক্ত পারমাণবিক সকল স্তরের ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা হতে পারে অসামান্য। অব্যাহত থাকলে পৃথিবীতে এমন দিন আসবে, যেদিন প্রাণঘাতী অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজেকে অভিশাপ দিয়ে যাবে। না জানি, দেশে সেদিন কেমন ভয়ঙ্কর হবে! অ – পরিকল্পিতভাবে বন থেকে গাছ কেটে ফেলা নিষিদ্ধ করতে হবে , কারণ পরিবেশ দূষণ প্রতিকারে প্রকৃতি আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু । একটি গাছ একটি প্রাণ এই শ্লোগান নিয়ে বনসৃজন করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার প্রয়াস আমাদের নেতৃবর্গ ও চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ নিয়েছেন । অরণ্য ধ্বংস নয় , প্রতিটি মানুষের জন্য আনুপাতিক হারে চাই অরণ্য সৃষ্টি । কার্বন মনোঅক্সাইডের হাত থেকে মানুষজনকে বাঁচাবার জন্য দূষণ কমিয়ে আনতে হবে। পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বোমা, রকেট নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করতে হবে । সারা বিশ্বে ৫ই জুন ‘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস ‘ পালন করা হয় । শুধু কথার ফুলঝুরি না ঝড়িয়ে , কাজের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ দূষণ প্রতিরাধে জনসাধারণকে আরো সচেতন করতে হবে । আমাদের মানব জাতির সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন পরিবেশ হবে দূষণ মুক্ত । আর সেই আশায় আমরা সকলেই আছি।
উপরের লেখাটিই ছিল মূলত পরিবেশ দূষণ নামক বাংলা রচনা বা প্যারাগ্রাফ। আশা করি উপরোক্ত সম্পূর্ণ বাংলা রচনাটি দ্ধারা সকলেই বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ ভালো ভাবে উপকৃত হয়েছেন। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর দিকগুলোর কথা বা সম্পর্কে জানলেই হবে না, পাশাপাশি অবশ্যই আপনাদেরকে এই ব্যাপারে নিজ থেকে সচেতন হতে হবে।
পরিবেশ দূষণ – Environment Pollution নিয়ে শেষ কথা
পরিবেশ দূষণ বর্তমানে এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে, যা থেকে বাঁচতে আমাদের সবাইকে সম্মলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং সেই সাথে আমাদের সবাইকে সবার নিজ জায়গা থেকে আরো সচেতন হতে হবে। আর এভাবে যদি আমরা আমাদের সচেতনতাবোধ জাগ্রত করতে পারি, আশা করি ধীরে ধীরে একদিন পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারবো। Environment Pollution Bangali Paragraph দ্ধারা যে শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। অবশ্যই আশা করি তাদের পাশাপাশি অন্য সকল পেশার মানুষগণ বেশ ভালোভাবে উক্ত রচনাটি দ্ধারা উপকৃত হতে পারবেন। উল্লেখিত বাংলা রচনায় আমরা শিখেছি কি কারণে ক্রমান্বয়ে পরিবেশ আরো দূষিত হচ্ছে এবং সেই দূষণ থেকে বাঁচতে আমাদেরকে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে। সুতরাং যদি আমরা সত্যিকার অর্থেই আমাদের পৃথিবীর পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করতে চাই, তাহলে আজ থেকে আমাদের মধ্যে গণ-সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাহলে আশা করি পরিবেশ তথা বায়ু দূষণ খুব সহজেই রোধ করতে সক্ষম হবো।