গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়? জানুন খুঁটিনাটি!

গর্ভবতী অবস্থায়, একজন মায়ের শরীর একটি বিশেষ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়। এই সময়টাতে, মায়ের শরীরে রক্তের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। কারণ, মায়ের শরীরকে নিজের পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের জন্যও রক্ত তৈরি করতে হয়। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু, হিমোগ্লোবিনের মাত্রাতিরিক্ত কমে গেলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

তাহলে চলুন, আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনে নিই গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়, কখন একজন গর্ভবতী মায়ের রক্ত ​​নেওয়ার প্রয়োজন পরে এবং এই বিষয়ে খুঁটিনাটি কিছু তথ্য।

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার কারণে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তার মধ্যে কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • দুর্বলতা ও ক্লান্তি: রক্তস্বল্পতার কারণে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের দুর্বলতা এবং ক্লান্তি লাগে। একটু কাজ করলেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা শরীর ম্যাজম্যাজ করা এর প্রধান লক্ষণ।
  • মাথা ঘোরা: শরীরে রক্তের অভাব হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়, যার কারণে মাথা ঘোরাতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
  • হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি: শরীরে অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়, যার ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
  • শিশুর কম ওজন: মায়ের শরীরে রক্ত কম থাকলে গর্ভের শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হতে পারে, যার ফলে শিশুর ওজন কম হতে পারে।
  • প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি: মারাত্মক রক্তস্বল্পতা সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন: প্রসবের পরে রক্তস্বল্পতা হলে মায়ের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতা হতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: রক্তস্বল্পতার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত হওয়া উচিত?

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়? গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা থাকা উচিত ১১ থেকে ১৪ গ্রাম/ডিএল (গ্রাম প্রতি ডেসিলিটার)। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এই মাত্রা সামান্য কম থাকতে পারে। সাধারণত, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করতে পারে, তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

যদি কোনো গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ গ্রাম/ডিএল-এর নিচে নেমে যায়, তাহলে তাকে রক্তাল্পতায় ভুগছেন বলে ধরা হয়। এই পরিস্থিতিতে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

Read More  শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা (Symptoms And Treatment Of Dengue Fever In Children)

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়?

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭ গ্রাম/ডিএল-এর নিচে নেমে গেলে সাধারণত রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, এটি নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিস্থিতির ওপর। কিছু ক্ষেত্রে, ৮ গ্রাম/ডিএল-এর নিচে নেমে গেলেও রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে ডাক্তারের উপর নির্ভর করে। তিনি আপনার শারীরিক অবস্থা, রক্তের মাত্রা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

গর্ভাবস্থায় রক্ত ​​নেওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়? এটি জানার পাশাপাশি এটিও জানবে যে গর্ব অবস্থায় রক্ত নেয়ার কারণসমূহ গুলো কি কি? গর্ভাবস্থায় রক্ত ​​নেওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আলোচনা করা হলো:

  • গুরুতর রক্তাল্পতা: যদি কোনো গর্ভবতী মায়ের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব দ্রুত কমে যায়, সেক্ষেত্রে রক্ত ​​দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭ গ্রাম/ডিএল-এর নিচে নেমে গেলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পরে।
  • শারীরিক দুর্বলতা: রক্তাল্পতার কারণে যদি গর্ভবতী মা খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে অক্ষম হন, তাহলে রক্ত ​​দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
  • শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি: মায়ের শরীরে রক্তের অভাব হলে গর্ভের শিশুর ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অনেক সময় রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
  • অপারেশন বা অস্ত্রোপচার: গর্ভাবস্থায় কোনো কারণে যদি মায়ের জরুরি ভিত্তিতে কোনো অপারেশন বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়, তাহলে রক্তাল্পতা একটি বড় সমস্যা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, অপারেশন করার আগে রক্ত ​​দেওয়া জরুরি হয়ে পরে।
  • প্রসবের সময় জটিলতা: প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ একটি সাধারণ ঘটনা। যদি কোনো মায়ের আগে থেকেই রক্তাল্পতা থাকে, তাহলে প্রসবের সময় জটিলতা এড়াতে রক্ত ​​দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

১ ব্যাগ রক্তে কত পয়েন্ট হিমোগ্লোবিন থাকে? 

সাধারণত, এক ব্যাগ রক্তে প্রায় ১ থেকে ১.৫ গ্রাম/ডিএল পর্যন্ত হিমোগ্লোবিন থাকে। তবে, এটি ব্যক্তি এবং রক্তের ধরনের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় রক্ত বাড়ানোর উপায়

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়? এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপরে জানতে পেরেছি তবে এখন আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় রক্ত বাড়ানোর জন্য কি কি উপায় রয়েছে? গর্ভাবস্থায় রক্ত বাড়ানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় এবং খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা যেতে পারে। নিচে কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলো:

Read More  Job Apps & Job Site In Bangladesh

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ

গর্ভাবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরি। আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। কিছু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হলো:

  • সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, কচু শাক, কলমি শাক, পুঁই শাক ইত্যাদি।
  • মাংস: লাল মাংস, কলিজা, ডিম।
  • ফল: বেদানা, আপেল, কমলালেবু, জলপাই।
  • শস্য: বিভিন্ন ধরনের ডাল, মটরশুঁটি, শুকনো ফল ও বীজ।

ভিটামিন সি গ্রহণ

ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে। তাই, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হলো:

  • citrus ফল: কমলা, লেবু, মাল্টা।
  • বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি।
  • সবজি: কাঁচামরিচ, ব্রকলি, টমেটো।

ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ

ফলিক অ্যাসিড নতুন রক্তকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিডের অভাব হলে রক্তাল্পতা হতে পারে। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হলো:

  • সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, লেটুস পাতা।
  • বাদাম ও বীজ: চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ।
  • ডাল: মটরশুঁটি, সয়াবিন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম

শারীরিক ও মানসিক চাপ কমিয়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

ক্যাফেইন ও চা পরিহার

চা এবং কফি জাতীয় পানীয়গুলো আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তাই, গর্ভাবস্থায় এগুলো পরিহার করাই ভালো।

আয়রন সাপ্লিমেন্ট

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক।

কি কি খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে?

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার অত্যন্ত সহায়ক। নিচে তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

  • সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, কচু শাক, কলমি শাক, বিট শাক, মেথি শাক, সরিষার শাক। এই শাকগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
  • মাংস ও ডিম: কলিজা, লাল মাংস, ডিমের কুসুম আয়রনের খুব ভালো উৎস। এগুলো শরীরে দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ফল: বেদানা, আপেল, কলা, কমলালেবু, তরমুজ, জলপাই, খেজুর এবং অন্যান্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক।
  • শস্য ও ডাল: বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন মুসুর ডাল, মটর ডাল, ছোলা এবং শস্য জাতীয় খাবার যেমন বাদাম, কুমড়োর বীজ, তিল রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: আমলকী, পেয়ারা, কাঁচামরিচ, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে আয়রন ভালোভাবে শোষিত হয়।
  • অন্যান্য খাবার: মধু, কিশমিশ, ছোলার ছাতু, আলুবোখরা, বিট, গাজর, ভুট্টা, তিসি বীজ, শুকনো ফল, এবং গুড় ইত্যাদি খাবারও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক।
Read More  গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম থাকলে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম থাকলে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক ঝুঁকি হতে পারে। নিচে এর কিছু সম্ভাব্য পরিণতি আলোচনা করা হলো:

মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি

  • দুর্বলতা ও ক্লান্তি: রক্তস্বল্পতার কারণে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের দুর্বলতা এবং ক্লান্তি লাগে।
  • মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট: শরীরে রক্তের অভাব হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়, যার কারণে মাথা ঘোরাতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
  • হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি: শরীরে অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়, যার ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
  • সংক্রমণের ঝুঁকি: রক্তস্বল্পতার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • প্রসব পরবর্তী জটিলতা: প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং দুর্বলতার কারণে মায়ের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অসুবিধা হতে পারে। এমনকি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতাও হতে পারে।

শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি

  • কম ওজন: মায়ের শরীরে রক্ত কম থাকলে গর্ভের শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হতে পারে, যার ফলে শিশুর ওজন কম হতে পারে।
  • প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি: মারাত্মক রক্তস্বল্পতা সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত: রক্তস্বল্পতার কারণে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
  • মৃত শিশু প্রসব: মারাত্মক ক্ষেত্রে, রক্তস্বল্পতার কারণে গর্ভেই শিশুর মৃত্যু হতে পারে।

শেষ কথা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ছিল গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়?  সম্পর্কে।  এ ব্যাপারে আমি আর সম্পূর্ণ আগে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য এবং গর্ভের শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত গ্রহণ করা উচিত। যদি আপনার স্ত্রী গর্ভবস্থায় শরীরে রক্তের পরিমাণ কম থাকে হিমোগ্লোবিন কম থাকে তাহলে আজকে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই আপনার উপকারের। 

যদি আপনার গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন!

Leave a Comment