মহাপবিত্র ধর্ম ইসলামে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের জন্য বেশ কিছু ইসলামিক ছোট ছোট আয়াতের দোয়া ও তাজবিহ রেখেছেন, যা দ্ধারা বান্দারা তাঁর ইহকালে যেমন ব্যাপক ভাবে উপকৃত হতে পারবে ঠিক একইভাবে আখিরাতেও সে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবে। আজকের Islamic bangle dua অথবা ইসলামিক ৫টি ছোট ছোট দোয়া নামক আর্টিকেলের মাধ্যমে এমন ৫টি ছোট আয়াতের দোয়ার সম্পর্কে জানবো, যা দৈনন্দিন জীবনে আমাদের চলার পথে প্রতি মূহর্তে মূহর্তে কাজে লাগবে। ( আরো পড়ুন যে আমল কখনো ব্যর্থ হয় না )
এখানে যে কয়েকটি ইসলামিক দোয়া ম্যানশন বা উল্লেখ করা হবে, আশা করি অনেকে এগুলো সম্পর্কে পূর্ব থেকেই সম্মুখ জ্ঞান রাখেন, আবার অনেকে জানেন না। যারা যারা জানেন না, তাঁরা আজকের Islamic bangle dua নামক আর্টিকেলটি দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবেন। তাহলে চলুন, বিলম্ব না করে জানা যাক ইসলামিক উপকারি সেই ৫টি দোয়া বা তাজবিহ সম্পর্কে। ( শ দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম ও স দিয়ে মেয়েদের সুন্দর ইসলামিক নাম সম্পর্কে জানুন )
5 Islamic Bangla Dua
মূল আলোচনা শুরু করার পূর্বেই পাঠকদের প্রথমে একটু ধারণা দেওয়া দরকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ সেই ৫টি দোয়া সম্পর্কে। আজকের আমরা যে যে ইসলামিক দোয়াগুলো সম্পর্কে জানবো, চলুন সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক-
- ব্যথার দোয়া
- খারাপ ব্যধি থেকে আশ্রয়ের দোয়া
- আয়াতুল কুরসি
- জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়া দোয়া
- চিন্তা দূর করার দোয়া
মূলত উপরে উল্লেখিত এই ৫টি বিশেষ ফজিলত সম্পর্কিত দোয়া সম্পর্কেই বিস্তারিত জানবো। প্রথমে আমরা এর আরবি উচ্চারণ জানবো এবং পর্যাক্রমে এরপর আমরা এদের বাংলা অর্থ সম্পর্কেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
ব্যথার দোয়া
মানব দেহের যদি কোনো স্থানে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ইসলামে সে ব্যথা নিরাময়ের বেশ কিছু ফজিলত সম্পূর্ণ দোয়া রয়েছে। যদি কোনো মুসলিম তথা মানব ইমানের সহিত সেই দোয়াগুলো পড়ে এবং আমল করে, ইনশাল্লাহ অতি তাড়াতাড়ি সে সেই ব্যথার দোয়া দ্ধারা উপকৃত হয়ে তাঁর ব্যথা দূর করতে সক্ষম হবে। ব্যথার দোয়া হলো-
শরীরের যে স্থানে ব্যথা অনুভব হয় সেখানে হাত রেখে প্রথমে তিনবার بِسْمِ اللَّهِ (বিসমিল্লাহ) পড়তে হবে। পরে ৭ বার পড়তে হবে,
” أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ “ এর উচ্চারণ হলো – ”আ‘ঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু”,
যার অর্থ হলো – ”এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্র এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”
উপরোক্ত ইসলামিক দোয়াটি হলো ব্যথা নিরাময়ের দোয়া। যদি কোনো ব্যক্তি ব্যথার পাওয়ার পর উপরোক্ত ইসলামিক দোয়াটি ইমানের সহিত পড়ে, তাহলে ইনশাল্লাহ তাঁর দৈহিক ব্যথা দূর হবে।
খারাপ ব্যধি থেকে আশ্রয়ের দোয়া
যুগে যুগে এবং সময়ে সময়ে আমরা নানা রকম ব্যধি দ্ধারা আমরা আক্রন্ত হই। আর এর থেকে রেহাই পেতে কত কিছু করে থাকি। কিন্তু আমরা মানুষরা তা সেসব ব্যধি থেকে রেহাই পেতে নানা রকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলি। তবে সেসব জিনিসের পাশাপাশি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’আলাই পারেন আমাদেরকে নানা রকম জটিল খারাপ ব্যধিগুলো থেকে রেহাই বা আশ্রয় দিতে। এখন আমরা এমন একটি দোয়া সম্পর্কে জানবো, যা যেকোনো মানব ইমানের সহিত যে কোনো ব্যধিতে আশ্রয় চেয়ে উক্ত দোয়া পড়তে পারে। খারাপ ব্যধি থেকে আশ্রয়ের দোয়া হলো-
“ اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ ”
উচ্চারণ : ”আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুন ওয়াল ঝুজাম ওয়া মিন সায়্যিল আসক্বাম।” -সূনানে আবু দাউদ, সূনানে তিরমিজি
অর্থ : ”হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দূরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।”
উপরোক্ত উক্ত ইসলামিক দোয়াটি পড়লে ইনশাল্লাহ যেকেউ যেকোনো ধরনের খারাপ ব্যধি হতে মুক্তি পাবে। তবে অবশ্যই ইমান ও আমলের সহিত পড়তে হবে।
আয়াতুল কুরসি
পবিত্র কোরআনের ২ নাম্বার সূরা বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াতটিই হলো আয়াতুল করসি। সবচেয়ে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটি হলো আয়াতুল করসি। আল্লাহর রাসূল সা: তার উম্মতদেরকে বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা সকল ধরনের বালা-মসিফত সহ আল্লাহ তা’আলার বিশেষ রহমত রয়েছে এই আয়াতে। তাই প্রত্যেক মুসলাম নবী করিম সা: এর নির্দেশে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের ফরজ সালাতের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়তে। তিনি আরো বলেন, যদি কোনো নবীর উম্মত ও আল্লাহ তা’আলার বান্দা ফরজ সালাতে পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়ে এবং সেই সালাতের পর সে মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতি। সে জান্নাতে যাচ্ছে না কারণ সে এখনো জীবিত। যদি সেই ফরজ সালাতের পর সে ইমানী ব্যক্তি মারা যেত, তাহলে সে সরাসরি জান্নাতী হতো। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে, আয়াতুল কুরসি কতটা ফজিলত সম্পূর্ণ সূরা। তাহলে চলুন আয়াতুল কুরসি দোয়া সম্পর্কে জানা জাক। আয়াতুল কুরসি হলো-
“ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻣَﻦ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺇِﻻَّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻪِ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢْ ﻭَﻻَ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎﺀ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﻭَﻻَ ﻳَﺆُﻭﺩُﻩُ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢ “
উচ্চারণঃ ” আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম “
বাংলা অনুবাদঃ ” আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান “ [আল কুরআন: সূরা বাকারাহ্, আয়াত ২৫৫]
উপরোক্ত আয়াতটি বা দোয়াটি হলো আয়তুল কুরসি। যদি কোনো মুমিন ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়ম মতো উক্ত আমলগুলো করে থাকে, তাহলে ইনশাল্লাহ আয়াতুল কুরসির ফজিলত দ্ধারা সে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হবে।
জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়া দোয়া
সাধারণত আমরা কোনো মুসলিম চাই না যে আখিরাতে আমাদের বসবাস হোক জাহান্নামে। কিন্তু দুনিয়ার মায়ায় পড়ে আমরা নানা রকম ভুল ক্রটি করে থাকি। ঠিক তখন আমাদের উচিত সাথে সাথে আল্লাহর কাছ থেকে মাফ চাওয়া। এছাড়াও আমরা সবাই চাই যে, জাহান্নামের বা দোজখের আগুন থেকে আমাদের রক্ষা করুক। তবে সে জন্য আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে সে সম্পর্কে দোয়া দিয়েছেন। যা পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার রহমত আমাদের উপর বর্ষিত হয় এবং ইনশাল্লাহ আমলের উপর নির্ভর করে আমাদেরকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা দিবে। জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা বা মক্তি পাওয়ার দোয়া হলো-
” اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ “
উচ্চারণ হলো: ” আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার। “
অর্থ হলো: ” হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো। “
উপরোক্ত ইসলামিক দোয়াটি Islamic bangle dua যদি আমরা বার বার কাজে কর্মে সবসময় বলি এবং আমল করি, তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ তা’আলা আমাদের কে আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন আগুনের আজাব থেকে রেহাই দিবে।
চিন্তা দূর করার দোয়া
আমরা এই র্পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় নানা রকম কাজ-কর্মে লিপ্ত থাকতে হয়। আর যে বিধায় নানা রকম কাজ-কর্মের কারণে প্রায় সময়ে নানা রকম দূচিন্তা বা ট্যানশনে থাকতে হয়। আর যে বিধায় নবী করিম সা: আমাদেরকে চিন্তা মুক্ত থাকার দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আর সেটি হলো-
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-
” اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ “
উচ্চারণ : ” আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউযু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন দ্বালা’য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল। “ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
অর্থ : “ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাই আর ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকেও আপনার আশ্রয় চাই। “
আমরা যারা যারা এই দুনিয়ার পারপার্শ্বিক কারণে নানা রকমের জটিলতায় থেকে চিন্তা ও ট্যানশনে থাকি,তাঁরা যদি উপরোক্ত চিন্তা মুক্ত হওয়ার ইসলামিক দোয়াটি পড়ে আমল করি, ইনশাল্লাহ, আমরা চিন্তা মুক্ত থাকতে পারবো।
উপরোক্ত ৫টি আমল ছিল আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়। যদি কোনো মুসলিম উক্ত আমলগুলো প্রতিদিন ইমানের সাথে আমল করতে পারে, ইনশাল্লাহ সে ইহকালে ও পরকালে উক্ত আমলগুলো দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে। ( ম দিয়ে ছেলেদের সুন্দর নাম ও স দিয়ে ছেলেদের সুন্দর নামগুলো জানুন )
Islamic bangla dua – ইসলামিক বাংলা দোয়া
মুসলিমদের ইসলাম ধর্মে মানুষদের সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এখন যদি মুসলিমরা সে অনুযায়ী আমল করতে পারে, তাহলে সে ফল ভোগ করতে পারবে। আর সেই জন্যই আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য রহমত হিসেবে নবী সা: এবং কোরআনকে প্রেরণ করেছেন। আর নবী সা: আমাদের জন্য কোরআন ও হাদিস রেখে গেছেন। আর বেশ কিছু Islamic bangla dua বা ইসলামি দোয়া রয়েছে, যেগুলো আমাদের চলা-পেরায় বেশ কাজে দেয়। বিপদ আপদ, ক্ষতিগ্রস্থতা, ব্যথা, চিন্তামুক্ত থাকা, ফজিলত সম্পূর্ণ দোয়া সহ ইত্যাদি রাসূল সা: আমাদের শিখিয়েছেন। এখন আমরা যদি নিয়ম মাফিক সে অনুযায়ী সে ইসলামিক দোয়াগুলোর আমল করি, তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা সে আমলগুলো দ্ধারা ইহকাল ও পরকালে বেশ ভালো ও চমৎকারভাবে উপকৃত হতে পারবো।