Rainy season paragraph in Bengali – বর্ষাকাল রচনা আমাদের ছাত্রজীবনের বাংলা বা ইংরেজীতে উভয়ে বিষয়ের রচনা-paragraph এর সাথে মিশে থাকা কমন একটি শিক্ষণীয় বিষয়। বর্ষাকালের উপর ভিত্তি করেই উক্ত রচনাটি আমাদের ক্লাস সহ পরীক্ষায় এসে থাকে। পরীক্ষা সহ আমাদের Job interview সহ নানারকম পরীক্ষায় বর্ষাকাল বা Rainy season প্যারাগ্রাফটি এসে থাকে। জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের অনেকগুলো চাকুরির পরীক্ষায় ( Job interview ) তে বর্ষাকাল রচনাটি অথবা বর্ষাকালের মাসের নাম জানতে চেয়ে প্রশ্ন আসে। তাহলে মোটামোটি বোঝাই যাচ্ছে যে, উক্ত রচনাটি আমাদের স্কুল লাইফ থেকে শুরু করে কেন প্রত্যেকটি পড়ালেখার ক্ষেত্রে রচনার বইয়ে থাকে। ( Cow Paragraph – গরু রচনা পড়ে নিন এবং বই মেলা-Book fair রচনাটি পড়ে নিন )
মূলত আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দু-মাস হলো বর্ষাকাল ৷ তবে আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ ভারত বর্ষের কলকাতায় জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকেই বর্ষা শুরু হয় এবং আশ্বিন মাস পর্যন্তই কমবেশি বৃষ্টি হয় ৷ তবে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে প্রায় রোজই বৃষ্টি হয় I নদীনালা, পুকুর, খাল জলে ভরে যায় ৷ আর বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুরু হয় আষাঢ় ও শ্রাবণ এই মাসে। যদিও বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তবুও উল্লেখিত এই দুইমাসকে বর্ষাকাল বা Rainy season বলে। ( Essay on Rabindranath Tagore এবং সব ধরনের বাংলা প্যারাগ্রাফ গুলো পড়ে নিন )
যেহেতু আজকের আর্টিকেলটি মূলত বর্ষাকাল ভিত্তিক, তাই পুরো আর্টিকেলে থাকবে বর্ষাকাল Rainy season ভিত্তিক আলোচনা। তাই আশা করি যদি কোনো শিক্ষার্থী উক্ত আর্টিকেলটি পড়ে থাকে, তাহলে আশা করি সে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হবে। তাহলে চলুন, আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে, মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
The rainy season paragraph – বর্ষাকাল রচনা
যেহেতু সম্পূর্ণ আলোচনাটি একটি রচনা নির্ভর অর্থাৎ শিক্ষার্থীদেরকে টার্গেক করে সম্পূর্ণ আলোচনাটি হবে বর্ষাকাল নিয়ে। পুরো আলোচনার মেইন বা প্রধান পার্টটি থাকবে রচনা নিয়ে এবং রচনা আকৃতির। যারা যারা প্রাথমিক বিদ্যালয় লেভেলে পড়ছে এবং যারা যারা উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলে পড়ছে, তাদের জন্য আজকের বর্ষাকার রচনাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আজকের রচনাটি থেকে বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন তথ্য সহ ভালে তথ্য নির্ভর রচনা পেতে পারে। আশা করি যদি কোনো শিক্ষার্থী বা যে কোনো স্তরের মানুষ Rainy Season paragraph- বর্ষাকাল রচনাটি পড়ে, তাহলে সে অনেক কিছুর জানার মাধ্যমে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে। আজকের আর্টিকেলটি যেহেতু বর্ষাকাল নিয়ে এবং তা থাকবে রচনা আকৃতির, তাহলে চলুন প্রথমে দেখে নেই কোন কোন হেডিং ও সাব হেডিং এর মাধ্যমে পুরো রচনাটি লিখা হবে।
- ভূমিকা
- বর্ষাকাল পরিচিতি
- বর্ষার কারণ
- বর্ষার প্রকৃতি
- বর্ষায় পল্লীর রূপ-বৈচিত্র্য
- বর্ষায় পল্লীর জনজীবন
- শহর জীবনে বর্ষা
- বর্ষায় বাংলার নদ-নদী
- বর্ষার ফুলফল
- বর্ষার আশির্বাদ
- বর্ষার অপকারী দিক
- উপসংহার
মূলত উপরের হেডিংগুলো নিয়েই আজকের আমাদের এই বিস্তর আলোচনা তথা বর্ষার রচনাটি। আপনি এর ইংলিশ ট্রান্সলেশন সহ অন্য ভাষায়ও এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে যেহেতু এই আর্টিকেলের মূল ট্রাফিকই হলো বাংলাভাষী, তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি হলো বাংলাভাষায়। সুতরাং তাহলে বিলম্ব না করে চলুন তাহলে মূল বিষয় অর্থাৎ Rainy season paragraph বর্ষাকাল রচনাটি পড়া যাক।
Rainy Season Paragraph – বর্ষাকাল রচনা
ভূমিকা: সাধারণত, বাংলাদেশে হলো ৬টি সম্পূর্ণ একটি দেশ। প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর একটির ঋতুর সমাপ্তি ঘটে। ঠিক তেমনি বর্ষাকালও হলো একটি ঋতু। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস হলো বর্ষাকার বা Rainy Season. ১২ মাসের মধ্যে এই দুই মাসে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়ে থাকে।
চারদিকের মেঘ-বৃষ্টিতে হয়ে থাকে থইথই পরিবেশ। কখনো আবার কাশফুলের শুভ্রতার সাথে একাকার হয়ে মিশে থাকে শরতের সাদা মেঘ। আবার কখনো কখনোও ঝিরিঝিরি শব্দের বৃষ্টির নাচন নাচাতে নাচাতে আসে বর্ষা। ঋতু বর্ষায় বাংলার প্রকৃতি পায় নতুন মাত্রা। বাংলার প্রকৃতি পায় স্বকৃয়ীতা ও ফ্রেসনেস।
ফসলগুলো মাঠে বেশ সুন্দর ও চমৎকার ভাবে ভরে উঠে। তাই মূলত গ্রামীণ পরিবেশ বর্ষার হয়ে উঠে অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
বর্ষাকাল পরিচিতি
সাধারণত ঋতু চক্রের ২য় নাম্বার ঋতু হলো বর্ষাকাল। বাংলা আষার ও শ্রাবণ এই দুইমাস মিলে হলো বর্ষাকাল। চৈত্রের পর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যতে থাকে তাপমাত্রার ভয়াবয়তা। এর রেশ কাটাতেই যেন জৈষ্ঠ্যের শেষ দিকে বর্ষাকাল চলে আসে আর্শিবাদ সরূপ। পরিবেশে নিয়ে আসে স্বচ্চলতা ও প্রাণহীন জমি-জামা ও পরিবেশ পুনরায় ফিরে পায় তাদের সতেজতা ও ফ্রেসনেস । এভাবেই মূলত বর্ষার আগমন ঘটে। যখন বর্ষার আগমন ঘটে, তখন আর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যর তাপদাহ ও কাঠফাটা দাবদাহ তাপমাত্রা এতোবেশি থাকে না। প্রায় অনেকখানি কমে যায়। বর্ষা কালের এই পুরো দুইমাস জুড়েই থাকে বৃষ্টির আওয়াজ। মন ঠান্ডা করার মতো ঝরঝর শব্দে প্রতিনিয়ত চলে বৃষ্টি পড়া। আর চারপাশের ব্যঙ্গগুলো তখন হয়ে উঠে প্রাণপূর্ণ। সন্ধা নামতেই তাঁরা যেন আনন্দ মিছিল করে। আকাশের চারদিকে শুধু মেঘ আর মেঘ। কখনো তা কালো আকার ধারণ করে আবার কখনো তা সাদা রাশির মেঘ। হঠাৎ হঠাৎ আকাশের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনরায় শুরু হয় বৃষ্টি পড়া। এভাবেই মূলত আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই বর্ষামাস কাটে।
বর্ষার কারণ
আষাঢ় ও শ্রাবণে বর্ষার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষের বেশ ভৌগোলিক কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। বর্ষার শুরু হলেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফোঁটা আমাদের কানে বর্ষার আগমন বার্তা খুব পরিষ্কারভাবে জানান দিয়ে যায়। এ বৃষ্টির বা বর্ষার রয়েছে বেশ কিছু ভৌগোলিক কারণ। গ্রীষ্মকালে যখন মৌসুমি বায়ু ভারত মহাসাগর ও বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং তা উত্তর-পূর্বে বয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প বুকে ধরে। এভাবে হিমালয়ের গায়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তা বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
মূলত বর্ষার কালের জন্য গাছ-পালা হতে পশু-পাখি, মানুষ প্রায় সবাই অপেক্ষা করে। পূর্বেই বলেছি যে, বর্ষা এলে যেন প্রকৃতি তার নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরে পায়। আমাদের দেশে একটি সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে, আর এটি হলো যখনই বর্ষা একটু দেরি করে আসতে তখন, ছোট-মাঝারি ধরনের ছেলে-মেয়েরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গেয়ে উঠে, “ আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে” বলে গান গেয়ে উঠে। তবে ইসলামেও মেঘ আসার জন্য বিশেষ এক দোয়া ও প্রজিলত রয়েছে। চাইলে সেটিও দেখতে পারেন।
গ্রীষ্মের অতি খরতাপে যখন ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত কুকুরটির যখন তৃষ্ণায় জিভ ঝুলে যায়, ঠিক তখন এক পশলা বৃষ্টি তখন নতুন মাত্রার ছন্দ নিয়ে অবসান ঘটায় সব প্রতীক্ষার। পরিপূর্ণতা দেয় সকল প্রত্যাশার আর শীতল করে দেয় সব তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের উত্তাপকে। কুকুরগুলো জিহ্ব বের করে রাখে এক ফোটা পানির জন্য। প্রকৃতিও যেন চেয়ে থাকে আকাশের দিকে। তেমনি ভাবে হঠাৎ যখন আকাশ ডাক দেয় এবং ঠিক তখনই সমস্ত সৃষ্টিকুল পানির আশ্বাস পেয়ে অপেক্ষায় থাকে যে কখন বৃষ্টি হবে, কখন মাটিতে পানি নামবে। আর যখনই ঘরের চাল বেয়ে পানি নামে তখনই প্রতিটি জীব পায় পুনরায় সতেজতা ও ঠান্ডা করে ফেলে মূহর্তেই সকলের শরীরকে। এভাবেই মূলত আমাদের বাংলায় বর্ষার আগমন ঘটে। এর এগুলোই হলো মূলত বর্ষার কারণ।
বর্ষার প্রকৃতি
বর্ষার প্রকৃতি কেমন হয়, তা কেবন একজন গ্রামীন জীবনধারী ভালো ভাবে বলতে পারে। কেননা গ্রীষ্মে প্রকৃতিকে করে তোলে বিরূপ অবস্থায়। প্রাণহীন অবস্থায় থাকে পুরো প্রকৃতি। কিন্তু যখনই বর্ষা চলে আসে, ঠিক তখনই পরিবেশ ও প্রকৃতি হয়ে উঠে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত। এভাবেই মূলত বর্ষার প্রকৃতি হয়ে উঠে সুন্দর ও প্রাণবন্ত। বহুদিনের প্রতীক্ষিত বারিধারায় রোমাঞ্চিত হয় শহর ও গ্রামের সকল বৃক্ষরাজি। পরিবেশ হতে শুরু করে প্রতিটি প্রাণ হয়ে উঠে সুন্দর ও প্রানবন্ত। মূলত এভাবেই বর্ষায় প্রকৃতি সেঁজে উঠে।
বর্ষায় পল্লীর রূপ-বৈচিত্র্য
বর্ষাকালে গ্রাম ও শহরের বর্ধিত সৌন্দর্য থাকে অনেক পার্থক্য। আর যদি সৌন্দর্য এর দিক বিবেচনা করা হয়, তাহলে গ্রাম অনেক এগিয়ে থাকবে। পল্লীর প্রতিটি কোনা কোনা ফুটে উঠে। বর্ষার বৃষ্টিতে পল্লীর গাছগুলো সৌন্দর্যে শোভামন্ডিত হয়ে থাকে। বর্ষায় যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন পুকুরগুলো, খাল- বিল বৃষ্টির নদী পানিতে টইটুম্বুর থাকে এবং একই সঙ্গে অনেক চাষাবাদ জমিনও পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই পল্লী কবি জসিম উদ্দিন তাঁর কবিতায় বলেছেন যে, “বেনুবনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে” । বর্ষায় প্রকৃতি হয়ে উঠে যেন অফার সৌন্দর্যময় ও প্রাণবন্ত। তাই অনেকে শহর জীবন থেকে বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পল্লীতে চলে আসে।
বর্ষাকালে পল্লীর জনজীবন
বর্ষাকালে পল্লী প্রকৃতি যেমন সৌন্দর্যময় হয়ে উঠে ঠিক একইভাবে এটাও ঠিক যে, ঠিক ততোটাভাবে বর্ষাকালে পল্লী জনজীবন হয়ে উঠে আরো বেশ ভয়ংকর। কেননা গ্রামীন অধিকাংশ মানুষের সেভিংস কিংবা বেশি অর্থ থাকে না, যে বিধায় তাঁরা বেশি টাকা খরচ করার মতো উপায় কিংবা পদ্ধতি থাকে না। অর্থাৎ বর্ষাকালে কোনো কোনো সময় একটানা প্রায় ৩-১০,১২ দিন বৃষ্টি লেগে থাকে। তখন তাদের অর্থ ২-৪ দিনে শেষ হয়ে যায়। জোগাড় করা অর্থ শেষ হয়ে গেলে তাদের বাধ্য হয়ে কাজের জন্য মাঠে নামতে হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, এমতোবস্থায় ভালো তেমন কাজও থাকে না। যে বিধায় বাধ্য হয়ে কাজ না করে থাকতে হয়ে। তখন তাদের অধিকাংশকে বউ-বাচ্চা নিয়ে অনাহারে না খেয়ে থাকতে হয়। তখন বর্ষাকাল যেন তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠে। কারো কারো ক্ষেত্রে উক্ত সমস্যাটি থাকার পাশাপাশি ভাঙ্গা ঘরে থাকতে হয়। তখন তাদেরকে আরো দূদর্শায় পড়তে হয়। সামগ্রিকভাবে বর্ষাকালে সংখ্যালঘু ছাড়া বাকিদের জীবন হয়ে উঠে দুস্বপ্নের ন্যায়।
শহর জীবনে বর্ষা
বর্ষাকালে শহরে জীবন হয়ে উঠে বেশ সুন্দর ময়। যদিও সৌন্দর্য এর দিক দিয়ে গ্রামীণ সুন্দর্য থেকে অনেক পিছিয়ে, তবে চলা-পেরা, খাওয়া-দাওয়া, ও জীবনযাপনের দিক দিয়ে বর্ষাকাল শহরের মানুষদের জন্য উপভোগ্য এক ঋতু। তাদের অধিকাংশ সংখ্যাই বাসায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং সময়ে সময়ে গাড়িতে চড়ে অফিসে চলে যায়। সবাই চাকুরি অবস্থায় থাকায় বেশিরভাগ সময়ে তাঁরা খাদ্য সংকট কিংবা আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না। তবে অন্যদিকে তাঁরা বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করা সময়ও পায় না নানা রকম ব্যস্ততার কারণে। সামগ্রিকভাবে বললে বর্ষাকালে গ্রামীণ মানুষদের জীবন হয়ে উঠে সৌন্দর্যময় ও আনন্দদায়ক।
বর্ষায় বাংলার নদ-নদী
সাধারণত বর্ষাকালে বাংলাদেশের পুকুর হতে শুরু করে,খাল-বিল সহ নদী-নালা সব কিছুই পূর্ণ যৌবণ ফিরে পায়। দীর্ঘ কাটফাঁটা গরম শেষে নদী তাঁর প্রকৃত সৌন্দর্য ফিরে পায়। নদীর দিকে তাকালে নজর বা দৃষ্টি যতটুকু যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ ঘাস, লতা-পাতা ও ফুল দেখা যায়। এছাড়াও নতুন পানি পেয়ে অনেক জাতের মাছ তাদের ডিম ছেড়ে দেয়। যে কারণে নদী, খাল-বিলের পানিতে পাওয়া যায় নানা রকমের গুড়ো মাছ ও ছোট মাছ। এছাড়াও খালগুলো তখন অন্য অনেক রকম মাছে ভরপুর হয়ে থাকে। সামগ্রিকভাবে বললে বর্ষায় বাংলার নদীগুলো বেশ সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে থাকে।
বর্ষার ফুলফল
অতি সৌন্দর্যের রেনু খুলে বর্ষায় ফোঁটে কদম ফুলসহ নানা রকম সৌন্দর্যপূর্ণ আকর্ষিত ফুল, যা বর্ষার রূপ ও সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। বাংলার পল্লীকবি জসীম উদ্দীন-এর ভাষায়- ‘কাহার ঝিয়ারি কদম্ব-শাখে নিঝুম নিরালায়, ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দিয়াছে, অস্ফুট কলিকায়।’বর্ষাকালের এই সময় বিলে ঝিলে ফোটে শাপলা-শালুক। হিজল আর কেয়াফুলের অরূপ দৃশ্য বর্ষাকে দেয় নতুন মাত্রা ও সৌন্দর্য মন্ডিত করে তোলে। বর্ষাকালের ফলের মধ্যে অন্যতম ফল আনারস, আমড়া, পেয়ারা, আনার, ডাব সহ ইত্যাদি ধরনের পুষ্টিকর ফল।
বর্ষার আশির্বাদ
আমরা যদি সার্বিকভাবে কোনো কিছু নিয়ে ভাবি, তাহলে দেখতে পাবো যে, সব কিছুরই ভালো ও খারাপ উভয় দিক রয়েছে। ঠিক বর্ষায় তেমনই। তবে যদি সামগ্রিকভাবে ভাবি,তাহলে দেখতে পাবো যে, বর্ষার ভালোর দিকই বেশি। বর্ষাকাল বাংলাদেশের জন্য বয়ে নিয়ে আসে অপার সম্ভাবনার বার্তা ও সৌন্দর্যময় পরিবেশ। নদীতে ফেঁপে ওঠা প্রচন্ড জোয়ারের পানি প্রচুর পলি জমায় বাংলার মাটিতে, যা নিয়ে আসে শস্য-প্রাচুর্যের বার্তা।মাটিকে গড়ে তোলে উর্বর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বর্ষার পানিতে সতেজ হয়ে ওঠে বাংলার ফসলের মাঠ ঘাট সর্বকিছুতে আর হাসি ফোটে কৃষকের মুখে। এভাবেই মূলত বর্ষা আমাদের জন্য আশির্বাদ সরূপ হয়ে উঠে।
বর্ষার অপকারী দিক
বর্ষার ক্ষতিকর বা অপকারী দিক বলতে বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা যায়। যদিও পূর্বেই বলেছি যে, পৃথিবীতে ঘটে থাকা প্রায় সমস্ত কিছুরই খারাপ ও ভালো উভয় দিকই রয়েছে। তেমনি বর্ষাকালও এর বাহিরে নয়। বর্ষাকাল সব সময়ই বাঙালি জাতির মুখে হাসি ফোটায় তা কিন্তু নয়। প্রচন্ড খরস্রোতা নদী মাঝে মাঝে লাগামছাড়া হয়ে বান ডাকে, ভাসিয়ে নেয় উপকূলের অনেক মানুষের বসতবাড়ি। হয়ে বসে বাসস্ত্রাণ হারা। অন্য সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ঘুর্ণিঝড় ইত্যাদি বর্ষাকালেই বেশি আঘাত হানে থাকে। প্রচন্ড রকম অতিবৃষ্টির ফলে প্রায় সময় কৃষকদের ফসল নষ্ট হতে পারে, আবার কখনো কখনো তা মানব জীবনে স্থবিরতা ও দূস্বপ্ন নিয়ে আসে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের পর অনেক মহামারী ছড়িয়ে জনজীবনকে করে তোলে বিষাক্তময়।
উপসংহার
যদিও বর্ষা আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বলে উল্লেখিত তবে এই দুই মাসের পরও কিন্তু বর্ষার কিছুটা ছোয়া থেকে যায়। মাঝে মাঝে চলে আসে অনাকাঙ্খিত অতি বৃষ্টি সহ ঝড়-তুফান । ক্ষতিগ্রস্থ হয় নানা পরিবার। মাঝে মাঝে প্রচন্ড ভয়াবহতার কারণে প্রাণহানিও ঘটে। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন রকম ফসল সহ মাছ-সৌন্দর্য হয়ে উঠে পরিবেশ বেশ শান্ত ও আকর্ষিত। বর্ষাকালের রূপ, রং, ভেজা গন্ধ-সব কিছুই আপন মহিমা আর সৌন্দর্যে ভাস্বর। বাংলাদেশের বর্ষাকাল কিছু কিছু ক্ষেত্রে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ইতিবাচক। মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি কৃষি অনেকাংশেই বর্ষার কাছে ঋণী। বাংলাদেশের ঋতুগুলোর মাঝে অন্য কোনো ঋতুকেই আমরা এতটা গভীরভাবে দেহ, মন ও অনুভূতির সাথে মিলিয়ে নিতে পারি না যেমনটা বর্ষাকালকে আমরা গ্রহণ করে থকি। তাই পরিশেষে বলা যায় যে, বর্ষা আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয় ঋতু হিসেবে বিবেচিত।
উপরের উল্লেখিত ভূমিকা হেডিং থেকে উপসংহার হেডিং পর্যন্ত ছিল Rainy day অথবা Rainy Season paragraph বা রচনা। আশা করি সবাই অর্থাৎ সকল শিক্ষার্থী ও অন্য স্তরের সকলে বর্ষাকাল রচনাটি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করেছেন এবং নতুন অনেক তথ্য জানার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।
Rainy Season Paragraph – বর্ষাকাল রচনা নিয়ে শেষ কথা
Rainy Season বা বর্ষাকাল হলো প্রকৃতি তথা মানুষদের জন্য বেশ উপকারক একটি ঋতু। এই ঋতুতে মানুষের জনজীবন সহ প্রকৃতি ফিরে পায় তাঁর হারানো সতেজতা ও ফ্রেসনেস। একই ভাবে যেহেতু বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়, তখন খাল-বিল সহ নানা রকম এরকম জায়গাগুলো পানিতে ভরে উঠে এবং পাওয়া যায় টাটকা ছোট মাছ সহ বড় বড় মাছ। নানা রঙ্গের ফল সহ ফলাদি হয়ে থাকে বর্ষায়। যেহেতু আজকের আর্টিকেলটি হলো শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে, তাই এখানে উল্লেখিত প্রতিটি বিষয় হলো ভিন্ন ভিন্ন বই ও অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। তাই যদি আপনি বা আপনার সন্তান বা আত্মীয়ের মধ্যে কেউ স্কুল বা পরীক্ষার জন্য Rainy Season paragraph টি পড়তে চায়, তাহলে বর্ষাকালের রচনা হিসেবে এটিকে সাজেস্ট করতে পারেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সহ শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো একটি জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এখানে উল্লেখিত প্রতিটি বিষয় হলো শিক্ষণীয় ও জানার বিষয়। যা একজন শহরে বাস করা শিশুর পক্ষে কোনো দিন জানা সম্ভব নয়। সুতরাং যদি বর্ষাকাল রচনা টি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অন্যদের সাজেস্ট করতে পারেন। আশা করি আপনি বর্ষাকাল বা Rainy Season paragraph প্যারাগ্রাফটি পড়ে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হয়েছেন।