ব্লগ সাইটে ইন্টারনাল লিংক করার সঠিক পদ্ধতি

ব্লগ সাইটে  ইন্টারনাল লিংক করার সঠিক নিয়ম

একজন ভিজিটরকে সাইটে একাধারে ধরে রাখার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ‍ব্লগ সাইটে ইন্টারনাল লিংক blog site internal link করা অতীব জরুরী। যখন একজন ট্রাফিক গুগল সার্চের মাধ্যমে আপনার রেংককৃত আর্টিকেলে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, তখন সাধারণ সে ভিজিটর কিন্তু আপনার সাইটের অন্য কন্টেন্টকে টার্গেট content traget করে প্রবেশ করে নাই। কিন্তু যখনই ঐ ভিজিটর সাইটে প্রবেশের পর বিভিন্ন ইন্টারলিংক এর অ্যাঙ্কর টেক্সটে attractive anchor text দেখবে আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় অ্যাঙ্কর টেক্সটে ইন্টারলিংক করা, তখন ভিজিটরকে খুব সহজে কাঙ্খিত ফেইজ থেকে অ্যাঙ্কর টেক্সটকৃত ওয়েবফেইজে কনবার্ট করা যায়।

How to do internal link in site? ইন্টারনাল লিংক  কীভাবে করবো তা জানার আগে চলুন জানা যাক

 ইন্টারনাল লিংক করার মূল উদ্দেশ্য কী? What is the purpose of internal linking?

 কেনই বা আমরা ইন্টারনাল লিংক এর প্রতি গুরুত্ব দিব? Why we should inter linking in blog site?

 ইন্টারনাল লিংক করলে সাইটের কী উপকার হয়? What is the benefits of internal link?

এসব প্রশ্নের উত্তরকে সাধারণত আমরা অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারি। তবে এখানে আমি প্রধান ৩টি কারণ উল্লেখ করলাম।

ইন্টারনাল লিংক করার সুবিধা বা কারণ

যখন ইন্টারনাল লিংক করা হয় তখন ইন্টারনাল লিংক এর সুবিধা হিসেবে ব্লগ সাইটে পজেটিভ ভাবে হিউজ একটা প্রভাব পড়ে। তবে অনেক স্পেশালিস্ট ইন্টারনাল লিংক এর সুবিধা অনেকভাবে বর্ণনা করেন, সে মোতাবেক আমরাও কিছু সুবিধা তলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি নিম্নে উল্লেখিত সুবিধাগুলো ইন্টারলিংক এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

ব্লগ সাইটে SEO করার নিয়ম
  1. ওয়েব ফেইজের লিংক জুস বৃদ্ধি করা – increase page link juice
  2. এক ফেইজ থেকে অন্য ফেইজে ট্রাফিক কনভার্ট করা convert traffic one page to another page
  3. অন্য পোস্টকে প্রমোট করে ইন্ডেক্স হতে সহাওয়তা করে promote another page to Google index

ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে ওয়েব ফেইজের লিংক জুস বৃদ্ধি করা Increase Link juice by internal link

মূলত ব্লগ সাইটে ইন্টারনাল লিংক করার অনেকগুলো সঠিক পদ্ধতি রয়েছে, এর মধ্যে উদ্দেশ্য শুধু একটাই না। ইন্টারনাল লিংক যে শুধু ব্লগ সাইটের এক ওয়েবফেইজ থেকে অন্য ফেইজে ট্রাফিককে কনভার্ট করে তাই নয় পাশাপাশি সাইটের ফেইজ জুস বৃদ্ধি site’s page juice increase করতেও সহাওয়তা করে। সাধারণত হোম ফেইজে সবচেয়ে বেশি ফেইজ জুস বেশি থাকে। যখনই আমরা পোস্ট দেই তখন হোম ফেইজ থেকে ফেইজ জুস ক্রমান্বয়ে অন্য ক্যাটাগরি ফেইজ এবং ক্যাটাগরি ফেইজ থেকে সাব-ক্যাটাগরি ফেইজে ফ্লো হয়। এভাবে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া ওয়েব ফেইজকে ইন্টারনাল লিংক করার মাধ্যমে ফেইজের ‍লিংক জুস বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আর্টিকেল কে রেংক করাতে পারি।

Read More  ব্লগ পোস্টে স্কিমা মার্ক আপ এর মাধ্যমে এসইও করার সঠিক নিয়ম

তবে ইন্টারনাল লিংক এরও অনেক প্রকারভেদ আছে। এ সব প্রকারভেদকে মান্য করেই আমাদের সঠিকভাবে ব্লগ পোস্টে ইন্টারনাল লিংক blog post internal link করতে হবে। এতে করে লিংক জুস পাস হওয়ার পাশাপাশি হিউজ একটা ট্রাফিককে আমাদের অন্য পোস্টে কনভার্ট করতে পারবো।

Image এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট করার নিয়ম
ব্লগ সাইটে স্কিমা মার্ক আপ সেট

ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে ট্রাফিককে এক ফেইজ থেকে অন্য ফেইজে কনভার্ট করা যায়

সঠিকভাবে ব্লগ পোস্টে ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে সাইটের ফেইজ ভিও বৃদ্ধি করে। কিন্তু এটা কীভাবে?

যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ইন্টারলিংক করি এবং তা নিদির্ষ্ট একটা অ্যাঙ্কর টেক্সটকে টার্গেট করে তখন ট্রাফিক ঐ টেক্সটটা দেখে আকর্ষিত হয় এবং সেই লিংক এ ক্লিক করে অন্য আরেকটি পোস্টে চলে যায়।

Image এসইও করুন

চলুন বিষয়টি আরো সহজভাবে বোঝার চেষ্টা করি……………..

ধরুণ, আপনার ব্লগ সাইটে একটি পোস্ট গুগলে রেংক করেছে কিন্তু আপনার সাইটে মোট পোস্ট আছে ৫০+ তবে রেংক কিন্তু একটা পোস্টই করেছে। এমতোবস্থায়, এই পোস্টের লিংক এ ক্লিক করে অনেক ট্রাফিক সাইটে প্রবেশ করছে। যখন ভিজিটর আপনার সাইটের ব্লগ পোস্টটি পড়বে তখন সে অনেকগুলো ইন্টারনাল লিংক বা অ্যাঙ্কর টেক্সট দেখতে পাবে যা আপনি ঐ পোস্টের ট্রাফিককে সাজেস্ট করতেছেন। ট্রাফিক যদি অ্যাঙ্কর টেক্সট দেখে আকর্ষিত হয়, তাহলে মূহর্তেই সে ক্লিক করে আবার ঐ পোস্টে চলে যাবে। এতে করে আপনার ব্লগ সাইটের ফেইজ ভিউ বৃদ্ধি পেতে increase page view থাকবে। আর এইভাবেই একজন ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে সাইটের ফেইজ ভিউ বৃদ্ধি করতে পারে।

ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে পোস্ট ইন্ডেক্স করা Index your blog post by internal link

একজন ব্লগার পোস্ট ডিইন্ডেক্স blog post index হওয়া মোটামোটি সবাইকেই ফেইচ করতে হয়। যখন আমরা আমাদের ব্লগ সাইটে পোস্ট দেই, তখন আমদের অনেক পোস্ট সাথে সাথে অথবা একটু সময় নিয়েই ইন্ডেক্স হয়। আবার এমনও ঘটনা ঘটে যে, পোস্ট ইন্ডেক্স হয় কিন্তু কিছুদিন পর সেই পোস্টটি আবার ডিইন্ডেক্স হয়ে যায়। এই ডিইনডেক্স হওয়ার সমস্যা প্রতিনিয়তই ব্লগারকে মুখামুখি করতে হয়। কিন্তু যখনই আমরা আমাদেরে ইনডেক্সকৃত পোস্টে সেই ডিইনডেক্স হওয়া পোস্টের ইউআরএলকে  অ্যাঙ্কর টেক্সট বা ইন্টারনাল লিংক করবো তখনই গুগল বট আমাদের সেই ডিইনডেক্সকৃত পোস্টটিকে আবার ক্রল করবে। এতে করে আবার সেই পোস্টটি ইনডেক্স হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর এইভাবেই আমরা ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে ডিইন্ডেক্সকৃত পোস্টকে ইনডেক্স করাতে পারি।

Read More  অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি- বিস্তারিত গাইডলাইন

এখন পর্যন্ত আমরা জানলাম ব্লগ পোস্টে ইন্টারনার লিংক করার সুবিধাগুলো কিন্তু এখন জানার চেষ্টা করবো কীভাবে একজন ব্লগার সঠিক উপায়ে তার সাইটে ইন্টারলিংক ব্যবহার করতে পারবে। চলুন জানা যাক।

ব্লগ সাইটের পোস্টে সঠিকভাবে ইন্টারনাল লিংক করার নিয়ম Way of internal link    

সাধারণত ইন্টারনার লিংকিং এর ক্ষেত্রে কয়েকটা স্ট্রাকচার মেইনেটেইন করতে হয়। যদি আপনি সাইলো স্ট্রাকচার মেইনটেউন করেন, তাহলে পুরো ওয়েবসাইটে এটি মেইনটেইন করলে ফলাফল হিসেবে চমৎকার রেজাল্ট পাবেন। আবার যদি আপনি হিবিজিবি বা সাধারণ নিয়ম মেইনটেইন করেন, তাহলেও মোটামোটি ভালো রেজাল্ট পাবেন।

ইন্টারনাল লিংকিং এ সাইলো স্ট্রাকচার করার নিয়ম Silo structure of internal link

সাইলো স্ট্রাকচার বিষয়টা বুঝাতে আলাদা একটা আর্টিকেল লাগবে কিন্তু তবুও চেষ্টা করবো সংক্ষেপে বোঝাতে। যেমন ধরেন, আপনি একটি নতুন সাইট তৈরি করবেন এবং এতে ৫টা ক্যাটাগরি রাখবেন। এখন আপনি যদি এই ক্যাটাগরিগুলো সাইলো স্ট্রাকচার করতে চান, তাহলে এটার সংক্ষেপ ধারণা হলো আপনি প্রতিটি নিজস্ব স্- ক্যাটাগরির পোস্টকেই ইন্টারনাল লিংক করবেন। হয়তো বিষয়টা গোলমাল করে দিয়েছি। ধরুন, আপনার দুইটা ক্যাটাগরি আছে বিড়াল এবং কুকুর নিয়ে। এখন এর সাব ক্যাটাগরি হলো বিড়ালের খাদ্য এবং অন্য আরেকটি ক্যাটাগরি হলো বিড়ালের পোষাক তেমনি কুকুরেরও। এমতোবস্থায় আপনি চাচ্ছেন সাইলো স্ট্রাকচার করতে। এখন কীভাবে করবেন?

আপনি তো অবশ্যই বিড়াল এবং কুকুর নিয়ে অনেক পোস্ট করবেন। তারপর পোস্ট করবেন প্রতিটি সাব ক্যাটাগরিতে। বিড়ালের ও কুকুরের পোষাক এবং খাদ্য নিয়েও পোস্ট করবেন। এখন আপনি ইন্টারনাল লিংকিং করতেছেন। প্রথম লিংক করলেন বিড়ালের পোস্ট থেকে বিড়ালের খাদ্যতে একটি লিংক করলেন। একইবাবে বিড়ালেল পোষাকে। এরপর বিড়ালের পোষাক থেকে আরেকটি নতুন পোষাকে। এইবাবে ইন্টারনাল লিংক করে গেলেন। তবে অবশ্যই কুকুরের ক্যাটাগরিতে একটিও লিংক দেন নাই। আর এটাকেই আমরা সাইলো স্ট্রাকচার বলে। যদি সংক্ষেপে সব বুঝানো সম্ভব নয়। তবে আশা করি মোটামোটি একটি ধারাণা পেয়েছেন ইন্টারনাল লিংকে সাইলো স্ট্রাকচার নিয়ে।

সাধারণ নিয়মে ইন্টারনাল লিংকিং করার নিয়ম

এটা ঠিক সাইলো স্ট্রাকচারের মোটামোটি বিপরীত একটা পার্ট। অর্থাৎ আপনি সব ক্যাটাগরিকে লিংকিং করতে পারবেন। স্ব ক্যাটাগরি ছাড়াও অন্য ক্যাটাগরিকে ইন্টারলিংক করতে পারবেন। সহজ ভাষায় উপরের উদাহরণে অর্থাৎ কুকুর বিড়ালেকে এবং বিড়াল কুকুরকে লিংক দিতে পারবে ও নিতেও পারবে।

Read More  ব্লগ সাইটে Image SEO করার নিয়ম

ইন্টারনাল লিংক এর ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

অ্যাঙ্কর টেক্সট কী? What is Anchor text?

আমরা যখন কাউকে লিংক দেই বা নেই, অথবা ইন্টারনাল লিংক করি, তখন আমরা যে লেখাটাকে লিংক করি, মূলত সেই লেখাটাকেই অ্যাঙ্কর টেক্সট বলে।

ইন্টারনাল লিংক এর ক্ষেত্রে সবগুলো কী ডুফলো লিংক নিতে হবে? Should we give me dofollow internal link

হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা যখন আমাদের ব্লগ সাইটে এক পোস্ট থেকে অন্য পোস্টে ইন্টারনাল লিংকিং করবো, তখন অবশ্যই আমদের সব লিংকগুলোকে ডুফলো করে দিতে হবে।

অ্যাঙ্কর টেস্কটগুলো কী এক্সেট মেচ নিতে হবে? Exact match anchor text

না। আপনি ইন্টারনাল লিংক করার সময় এক্সেট মেচ অ্যাঙ্কর টেক্স ৩৫% ব্যবহার করবেন। মেইন কীওয়ার্ড সহ অন্য কীওয়ার্ড রেখে নিবেন ৩৫% । সাধারন অবস্থায় করবেন ২৫% লিংক এবং বাকি অন্য অ্যাঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করবেন ৫%। আর এটাই প্রোপার একটা নিয়ম। it is proper way of internal link.

ইন্টারনাল লিংক এর ক্ষেত্রে অ্যাঙ্কর টেক্সট এর ভূমিকা The role of anchor text in the case of internal link

আমরা যখন ইন্টারনাল লিংক নেই, তখন অবশ্যই ঘুরিয়ে পেছিয়ে আমাদের মেইন কীওয়ার্ডটা রাখি সেই অ্যাঙ্কর টেক্সট এ। যখন একটা ভিজিটর এই টেক্সটটা দেখে তখন সে আকর্ষিত হয় সেই পোস্টটা পড়তে। এবং একই ভাবে ঐ পোস্টেও আছে অ্যাঙ্কর টেক্সট। যা ভিজিটরকে visitor আবার অন্য ফেইজে ‍কনভার্ট করবে। এই চাইলে একজন ব্লগার তার ওয়েব ভিজিটরকে তার সাইটে ইন্টারলিংক এর মাধ্যমে আটকিয়ে রাখতে পারে। অর্থাৎ ভিজিটর আটকিয়ে রাখার জন্য ইন্টারনাল লিংক এর ভূমিকা অনেক।

ইন্টারনার লিংক কীভাবে করবেন? How do Internal link?

প্রথমে আর্টিকেলের থেকে মন মতো করে অথবা উপযুক্ত একটা টেক্সটকে সিলেক্ট করতে হবে। সিলেক্ট করলেই দেখা যাবে উপরের একটি লিংক এমবেড করার মতো সাইন আছে। সেখানে আপনি যে পোস্টকে ইন্টারনাল লিংক করতে চান, সেই লিংকটি পেস্ট করে দিবেন। ব্যাস, ইন্টারনাল লিংক করা হয়ে গেলো। অবশ্যই ইন্টারনাল লিংক করার সময় লিংকটাকে ডুফলো dofollow link করে দিতে হবে।

ব্লগ সাইটের পোস্টে ইন্টারনাল লিংক করার সঠিক পদ্ধতি আজকের পর্বে এইটুকুই। ধীরে ধীরৈ আমরা আমাদের এই বাংলা টিপ Banglatip.com সাইটে প্রতি নিয়ত এরকম ভালো ভালো এবং উপকারী পোস্ট নিয়ে আসবো।

এখন আজকের দেখানো পদ্ধতিগুলো প্রেকটিস করুন। এবং না পারলে বা কোথাও আটকিয়ে গেলে অবশ্যই কমেন্টে জানান।

ব্লগ পোস্টে ইন্টারনাল লিংক সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন

Leave a Comment