Winter morning paragraph in Bengali অথবা শীতের সকাল রচনা আমাদের শ্রেণীকক্ষ পরীক্ষা সহ বার্ষিক ও পাবলিক সহ নানা ধরনের পরীক্ষায় এসে থাকে। তবে বিশেষ করে প্রাথমিক শ্রেণী হতে উচ্চ মাধ্যমিকের জিএসসি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা প্রখর। সুতরাং শিক্ষার্থীদের শীতের সকাল রচনাটি সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একইসাথে সকল স্তরের মানুষদের জন্যও। ( A rainy season অথবা Cow paragraph বাংলা পড়তে এগুলো পড়ুন )
বাংলাদেশে হলো ছয়টি ঋতু বিশিষ্ট দেশ। শীত তাদের মধ্যে অন্যতম। শীতের সকাল ও সন্ধ্যা খুব ধোঁয়াটে এবং ঠাণ্ডা হয়। শীতের রাতগুলোতে গাছে এবং ঘাসে শিশির ফোটা ঝরে। শীতের ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে প্রায় সব কিছু। মাঝে মাঝে শীতের কুয়াশা এত ঘন হয় যে সূর্যের কিরণগুলি এর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না যে বিধায় কিছুটা দূর থেকে সবকিছুই অদৃশ্যসম্পন্ন লাগে। ( বই মেলা রচনা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানুন )
শীতকাল – Winter season আমাদের সকলের খুব প্রিয় ঋতু। গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতম দাবদাহ ও কাঠপোড়া গরমের পর শীতের হালকা আমেজ আমাদের শরীর ও মনকে শীতল করে দেয়। সাধারণত শীতকালে দিনগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট হয় এবং রাত্রটা আবার বেশ বড়ো হয়। ঘন কুয়াশা দ্ধারা পরিবেশের চারিদিক আবৃত থাকে। সেই কারণেই সকালে সূর্যের আলো ফুটতে মোটামোটি কিছুটা দেরি হয়। তাই মানুষদেরও ঘুম থেকে ওঠতে অনেকটা দেরি করে ফেলে। শীতকালে, সকলে লেপ বা কম্বলে সারা শরীর ঢাকা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। শীতকালের সকালে প্রত্যেকেই ভারী সায়োটার বা চাদরক অথবা ভারী শীতের কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণ করে। সাধারণত কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের ব্যাপ্তি। যদিও পৌষ-মাঘ মাসকেই শীতকাল বলে গণ্য করা হয়। ( সকল ধরনের বাংলা প্যারাগ্রাফগুলো দেখে নিন )
সাধারণত আজকের আর্টিকেলটি তথা winter morning paragraph – শীতের সকাল রচনাটি মূলত শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই লিখা। আশা করি যদি কোনো শিক্ষার্থী শীতকাল সকাল বা Winter morning সম্পর্কে ইন-ডিটেইলস জানতে চায় বা শিখতে চায়,তাহলে আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা সে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ছাড়াও সর্ব-স্তরের সাধারণ মানুষগণ শিতের সকাল সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জানতে পারবে। সুতরাং চলুন তাহলে, বিলম্ব না করে Winter season or winter morning bangle paragraph – শীতের সকাল রচনাটি পড়া যাক।
A winter morning paragraph – শীতের সকাল রচনা
যেহেতু আজকের আর্টিকেলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো একটি শীতের সকালকে কেন্দ্র করেই, সুতরাং আর্টিকেলের বিস্তারিত বিষয়বস্তুর মূল ভাবেই ঠান্ডাময় একটি শীতের সকালের ঘটনাই থাকবে। আলোচনা শুরুর পূর্বেই বলে রাখা ভালো যে, যেহেতু শীতের সকাল বা Winter morning রচনাটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কেন্দ্র করেই, সুতরাং পুরো আলোচনাটি একটি রচনা আকৃত্রির হবে। সে রচনায় কি কি বিষয় থাকবে? তাহলে চলুন, মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বেই জেনে নিই আজকের শীতের সকাল রচনার মধ্যে থাকা হেডিং ও সাব-হেডিং গুলো। হেডিং ও সাবহেডিং গুলো হলো-
- ভূমিকা
- শীতের সকালের বর্ণনা
- গ্রাম্য শীতের সকাল
- শহরাঞ্চলে শীতের সকাল
- উপসংহার
মূলত এই কয়েকটি হেডিং বা প্যারার মাধ্যমে আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু কাভার করা হবে। তাহলে চলুন বিলম্ব না করে A winter morning paragraph বা একটি শীতের সকাল রচনাটি শুরু করা যাক এবং এর সম্পর্কে ডিটেইলস জানা যাক।
A winter morning – একটি শীতের সকাল
ভূমিকা: পৌষ ও মাঘ, এই দুই মাস কে শীতকাল বলা হয়। যদিও শীত এই দুই মাস আগেই শুরু হয় এবং এই দুই মাসের পরও থাকে। তবে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে আমরা এই দুই মাসকেই শীতকাল বলে থাকি। সাধারণত শীতের তীব্রতা এই দুইমাস বেশি থাকে বিধায় ঋতু হিসেবে এই দুই মাসকে সিলেক্ট করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শীতের আগমন শুরু হয়ে যায় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে এবং পৌষের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তীব্র হয়ে উঠলেও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকেই যায়। আর সাধারণত এই সময় বাংলাদেশে ফসল কাটা হয় যা চারিদিকে এক উৎসব মুখর আবহাওয়া সৃষ্টি করে থাকে। শীতকালের প্রায় সব কিছুই আনন্দময় হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু সমস্যাও ফেস করতে হয়।
শীতের সকালের বর্ণনা
প্রকৃতপক্ষে একজনের পক্ষে এবং একটি সংক্ষিপ্ত রচনায় শীতের সকালের বর্ণনা করে শেষ করা কখনোই যাবে না। তারপরও সামগ্রিকভাবে সংক্ষিপ্তে শীতের সকালের বর্ণনা সম্পর্কে জানা যাক। সাধারণত শীতের সকালের কল্পনা ও ঘন কুয়াশা আর জড়ো সড়ো করা তীব্র আবহাওয়া ছাড়া অসম্ভব । ঘন কুয়াশা চাদরের ফাক দিয়ে উকি মেরে ঘোষণা করে সে তাঁর হিম-শীতল আগমনী বার্তা। প্রকৃতির মধ্যে প্রায় সর্বত্র দেখা যায় এ ধরনের শুষ্কতার জমজমাট রেশ ও চিহ্ণ। শীতকালে প্রকৃতি তাঁর রূপ-রস-বর্ণ সব কিছু ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সন্ন্যাসব্রত পালনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পশুপাখি সহ জীবজন্তুর জীবন হয়ে ওঠে পাণ্ডুর ও বিবর্ণ। এরই মাঝে নীরবে পদচারণা করে শুভ্রসুন্দর আর নির্মল পবিত্রতা। শীতের রাত অত্যন্ত দীর্ঘ, যেন শেষ হয়েও শেষ হয় না। তাই কাকুগলো ডাকার ভার হতেই অপেক্ষা করে একটু মিষ্টি মধুর ও আরামদায়ক সূর্যালাকের পরশের জন্য। কিন্তু শীতের কুয়াশার ঘন প্রাচীর ভেদ করে ওকে ভীষণ বেগ পেতে হয় একটু একটু আলো ছড়ানোর জন্য। শীতে যে শুধু পশুপাখিই ভোগে তা কিন্তু নয়, পাশাপাশি গরীব দুস্ত পরিবারগুলো বেশক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রবীন-বৃদ্ধ সবাই মিলে সকালে আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে ঘোল করে বসে তাপ নেওয়া সহ নানা ধরনের খেলা-ধূলা ইত্যাদি শীতের সকালকে আরো আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করে তোলে। এছাড়াও রয়েছে মিষ্টি খেজুরের রস সহ নানা রকম পিঠা বানানো। এই সমস্ত কাজগুলোই হয়ে থাকে শীতের সকালে। নাস্তা হিসেবে সবাই শিতের ভিন্ন ধর্মী নানা রকম পিঠা খেয়ে থাকে। গাছ-পালা, ফসলগুলো শিশিরের দ্ধারা ভিঁজা থাকে। সকালে হাটাহাটি করলে পা-গুলো প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে উঠে। সামগ্রিকভাবে বললে শীতের সকাল সকলের ক্ষেত্রে স্মৃতি তৈরির জন্য মহামূল্যবান একটি সময়।
গ্রাম্য শীতের সকাল
গ্রামের শীতের সকাল হয় বেশ মজাদার ও সুন্দর। বাহ্যিকভাবে এর সুন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায় ঠিক একইভাবে এর অন্তিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনাকে একবার গ্রামেই যেতে হবে। শীতের সকালে গ্রামের রাস্তায় বের হতে হবে। তখন আপনাদের অধিকাংশের মনে হবে শীতের সকালের সকল সৌন্দর্য যেন গ্রামেই রয়েছে। গ্রামে শীতের প্রতিটি সকাল হয় অনন্য। প্রকৃতি যেন তাঁর সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দেয় পরিবেশের চারিপাশের আবহাওয়ায়। প্রতিদিনের প্রভাত হয় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন ও ঠান্ডাময়, মাঠের অপরপ্রান্তে তাকালে বিস্তীর্ণ সাদা রাশি আর সাদা রাশি। এ ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু এই জমাট বাঁধা ঠান্ডা উপেক্ষা করেও কৃষকশ্রেণীর লোকজন তাদের মাঠের দিকে এগিয়ে যায় কাজ করার জন্য। তাদের প্রায় সবাই খালি পায়ে হেঁটে যায়। কোথায় কোথায় গ্রামের মানুষেরা প্রচন্ড ঠান্ডার কবল থেকে রক্ষা পেতে সবাই মিলে আগুন পোহায়। তবে গ্রামে শীত কালে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো পিঠা সহ অন্য সকল শীতের খাবার। শীতের সকালে তৈরি হয় নানা ধরনের খাবার, বিশেষ করে সেই খাবারগুলো হয় খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় অনেক সুমিষ্ট পিঠা পুলি। গ্রামের সব ধরনের মানুষ সূর্য ওঠার সাথে সাথেই রোদের আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে উষ্ণতার আমেজ নেয়। একই সঙ্গে শিশুদেরকে দেখা যায় মুড়ি সহ নানা ধরনের খাবার খেতে। সামগ্রিক ভাবে দেখা যায় যে, গ্রামের প্রতিটি শীতের সকাল হয় অত্যান্ত মজাদার ও আকর্ষণীয়। তাই আপনারও একবার উচিত, গ্রামে শীতের সকাল কাটানো।
শহরাঞ্চলে শীতের সকাল
আপনি যদি গ্রামে থাকেন বা শহরে অথবা যেখানেই থাকেন না কেন এবং প্রশ্ন করেন যে, শীতের সকালের জন্য কোন জায়গা বা অঞ্চলটি বেশ আকর্ষণীয় এবং মজাদার? এর উত্তর হবে গ্রামাঞ্চল। কিন্তু কেন? তাহলে আপনাকে জানতে হবে শীতের সকালে শহরের অবস্থা। তাহলে চলুন জানি শহরে একটি শীতের সকালের অবস্থা। প্রথমে যে বিষয়টি আসে তা হলো শহরের মধ্যে শীতের তীব্রতা বেশি পাওয়া যায় না। গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের চিত্র হয় ভিন্ন। গ্রামের মতো মানুষ শহরাঞ্চলে সূর্যের আলোয় উষ্ণতার আমেজ নেয়ার সুযোগ পায় না। অনেককেই ঘরের মধ্যে হিটার বা অন্য যন্ত্র চালিয়েই শীত নিবারণের চেষ্টা করে। শীতের সকালে শহরাঞ্চলে বিভিন্ন তাজা শাকসবজি দিয়ে বাজার সাজানো হয় এবং শহুরে মানুষেরা ছুটে চলে বাজারের উদ্দেশ্যে। এছাড়াও শহরের মানুষগণ সকালে সকালে ঘুম থেকেও উঠে না। যি বিধায় তাদের অধিকাংশ মানুষ শহরে থেকে শীতের মজা বা আনন্দ নিতে পারে না।
উপসংহার: শীত যেমনভাবে এক মধুর ও সৌন্দর্য নিয়ে আসে ঠিক একই ভাবে আবার চলে যায়। তবে আমরা যদি কম্পেয়ার করতে সমর্থ হই যে, কোন সিজন বা ঋতু সবচেয়ে মাধুর্যপূর্ণ, তাহলে আমরা দেখতে পাই যে, শীতকাল হলো সবচেয়ে সুন্দর ও মজাদার একটি ঋতু। যদিও আমাদের মধ্যে অধিকাংশই এর সম্পর্কে প্রায় অজ্ঞ। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে শেষে কয়েকটি বাক্য যুক্ত করতেই হয়। আর সেগুলো হলো- শীতকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই গ্রামে একবার পা রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের শীতের সকল ধরনের পিঠা হতে খাবার খেতে হবে। লাস্ট সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠতে হবে। তাহলেই আপনি শীতের সকাল সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা সহ বেশ ভালো একটি অভিজ্ঞতা হবে।
উপরের উল্লেখিত রচনাটি ছিল মূলত একটি শীতের সকাল বা Winter morning সম্পর্কে। আশা করি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, তাহলে একটি শীতের সকাল সম্পর্কে মোটামোটি একটি সম্মুখ ধারণা পেয়েছেন এবং পাশাপাশি শীতের সকালে গ্রাম ও শহরের মানুষদের মাঝে একটি পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
Winter morning paragraph – শীতের সকাল নিয়ে শেষ কথা
A winter morning সম্পর্কে আশা করি আপনারা পাঠকগণ বেশ ভালো ও আনন্দময় একটি ধারণা পেয়েছেন। এখানে বিশেষ করে প্রাথমিক শ্রেণী তথা ক্লাস থ্রি, ফোর, ফাইভ সহ জেএসসি পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য শীতের সকাল রচনা টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও এটি হলো একটি বাস্তবমুখী রচনা। যদি কেউ শীতের সকাল সম্পর্কে সংক্ষিপ্তে ধারণা পেতে চায়, তাহলে তাঁর জন্য আজকের আর্টিকেলটি বেশ কার্যকারী হবে। এছাড়াও যেহেতু ছাত্রছাত্রীদেরকে কেন্দ্র করেই উক্ত আর্টিকেলটি, সেহেতু আশা করি তাদের পরীক্ষা ছাড়াও বাস্তব জীবনে উক্ত রচনাটি দ্ধারা তাঁরা বেশ উপকৃত হবে এবং সর্ব স্তরের লোকজন শীতের সকাল সম্পর্কে আরো জানতে পারবে।
যদিও শীতের সকালটা গরীবদের জন্য হয় বেশ কষ্টদায়ক ও প্যারাময়, তবু যুগ যুগ ধরে তারা এসব পরিস্থিকে মানিয়ে নিয়েছে। শীতের সময় তাঁরা কাবু হয়ে পড়লেও শীতের সকালে রয়েছে এক বিশেষ আমেজ ও আনন্দ । এজন্যেই আমাদের প্রায় সবার নিকটই শীতের সকালটুকু হয় অত্যান্ত পছন্দনীয় ও মজাদার। তাই যদি আপনার শীতের সকাল সম্পর্কে বোঝতে কোনো রকম সমস্যা হয়, তাহলে দয়া করে A winter morning paragraph in Bengali বা শীতের রচনাটি আরেকবার পড়ুন। আশা করি বেশ ভালো ভাবে উপকৃত হতে পারবেন।