সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স ( Emergency Balance ) এর কোড সম্মলিত আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো বাংলাদেশে প্রচলিত সবগুলো মোবাইল অফারেটর থেকে ইমারেজেন্সি ব্যালেন্স পাওয়ার সঠিক কোড নাম্বারগুলো। ( সকল সিমের সকল ধরনের কোড দেখে নিন )
সাধারণত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সিম কোম্পানি তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক এর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আর সবগুলোর যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবহারকারী রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু মোবাইল সিম অপারেটরদের ইউজার বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ অনেক। আবার কিছু কিছুর ব্যবহার কারী অনেক কম। এর মধ্যে টেলিটক অন্যতম। যদিও টেলিটক হলো বাংলাদেশী সরকারের মালিকানাধীন একটি কোম্পানী। তবে এর লো-কোয়ালিটি সার্ভিসের কারণে এর ইউজার সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। যাইহোক, অন্য আলোচনায় না গিয়ে চলুন সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোডগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া যাক।
সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স জানার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সবগুলো মোবাইল নেটওয়ার্ক এর কোড নাম্বারগুলো ধারাবাহিকভাবে নিম্নে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সিম কোম্পানি বর্তমানে অ্যাক্টিব রয়েছে, সেহেতু আশা করি সব ধরনের সিম ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবে উক্ত আর্টিকেলটি দ্ধারা। মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে চলুন জানা যাক, বাংলাদেশে সার্ভিস প্রোভাইডকারী সকল সিম কোম্পনীগুলোর নাম। বাংলাদেশের সকল সিমগুলোর নাম হলো-
- এয়ারটেল
- রবি
- গ্রামীণফোন
- বাংলালিংক
- টেলিটক
মূলত এই পাঁচটি সিম কোম্পানী বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষদের মোবাইল সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আর আজকের আর্টিকেল আমরা জানবো উল্লেখিত সিমগুলোর ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড নাম্বারগুলো সম্পর্কে। সুতরাং আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জানা যাক সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড নাম্বারগুলো। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে উপরোক্ত সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার পদ্ধতি বা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।
এয়ারটেল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
অন্য সকল সিমের ন্যায় এয়ারটেল কর্তৃপক্ষও তাঁর গ্রাহকদের জন্য রেখেছে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের এর সুবিধা। তবে স্বাভাবিকভাবে এয়ারটেলের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা জনক। কোনো একজন এয়ারটেল গ্রাহক যদি এয়ারটেল অফিস থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চায়, তাহলে তাকে *141# কোডটি ডায়াল করতে হবে। উক্ত কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ সেই গ্রহাকের সিমের নাম্বারে ইমারজেন্সি টাকা সেন্ড করে দিবে।
রবি সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
অন্য সকল সিমের ন্যায় রবি সিমের কর্তৃপক্ষও তাদের বিপুল গ্রাহকদের জন্য ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর সুবিধা চালু করেছে। যেকোনো রবি গ্রাহক উক্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স বিপদের সময় নিতে পারে। যদি কোনো রবি গ্রাহক তার সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চায়, তাহলে তাকে *123*007# কোডটি ডায়াল করতে হবে। এখানে উল্লেখিত কোডটি ডায়ালের সাথে সাথেই রবি ব্যবহারকারী ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেয়ে যাবে। এভাবেই একজন রবি গ্রাহক অফিস থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারে।
গ্রামীণফোনের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষও তাদের গ্রাহকদের উক্ত সুবিধাটি উপভোগের সুযোগ দিচ্ছে। অর্থাৎ একজন গ্রামীণফোন ইউজার খুব সহজেই গ্রামীণফোনের অফিস থেকে বিপদের মূহর্তে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স লোন নিতে পারে। আর এটি যদি কোনো গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী নিতে চায়, তাহলে তাকে *1010*1# কোডটি ডায়াল করতে হবে। উক্ত কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেয়ে যাবে।
বাংলালিংক সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
আপনি যদি একজন বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার প্রায় সময় বাংলালিংক অফিস থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আপনি খুব সহজেই বাংলালিংক থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেতে পারেন। বাংলালিংক থেকে ইমারজেন্সি টাকা পেতে আপনাকে *874# কোডটি ডায়াল করুন। কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই আপনি পেয়ে যাবেন ইমারজেন্সি ব্যালেন্স।
টেলিটক সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স
বরাবর অন্য সকল সিমের ন্যায় আপনি যদি টেলিটক সিম কার্ড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি টেলিটক অফিস থেকেও ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেতে পারেন। টেলিটকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেতে আপনাকে *1122# কোডটি ডায়াল করুন। উল্লেখিত কোডটি ডায়াল করার সাথে সাথেই আপনি টেলিটক অফিস থেকে একটি মেসেজের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পেয়ে যাবেন।
উপরোক্ত নিয়মে আপনি বা আমি যেকোনো সিমের অফিস থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারি। মূলত যারা যারা প্রায় সময় ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, আশা করি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি বেশ উপকারক হবে।
সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে শেষ কথা
আজকের পোস্টের মূল বিষয় বস্তু ছিল সকল সিম নিয়ে আর সেখানে স্পেসিপিকভাবে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স সম্পর্কে। আর উল্লেখিত আর্টিকেলে বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান ৫টি সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আশা করি উল্লেখিত আর্টিকেলটি দ্ধারা সকল সিমের ব্যাবহারকারীরা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে। যদি কোনো সিম ব্যবহারকারী অফিস থেকে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে চায়,তাহলে তাঁর ব্যবহৃত সিম অনুযায়ী উপরোক্ত যেকোনো একটি নিয়েম অ্যাপ্লাই করে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারে। সামগ্রিকভাবে বললে, আশা করি আজকের পোস্টটি দ্ধারা সকল সিমের গ্রাহকরা উপকৃত হতে পারবেন।