আসসালামু আলাইকুম, পাসপোর্ট একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, যেটা আমাদের আন্তর্জাতিক পরিচয় পত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু এই পাসপোর্ট করার পরে, সেটি ডেলিভারি হয়েছে কিনা বা বর্তমানে কোন অবস্থায় আছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে অনেকে জানেন না পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম, ফলে তারা স্ট্যাটাস বুঝে উঠতে পারেন না। আজকের ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের জানাবো, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। এটি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন ঘরে বসে।
পাসপোর্ট তৈরি করার পরে সেটি এখন কোন অবস্থায় রয়েছে। সেটা জানার জন্য পাসপোর্ট নাম্বার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আপনি যদি আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে কয়েকটি সহজ নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে পারেন। নিচে সকল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
১. অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু তথ্য দিতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং দ্রুত পাসপোর্ট অফিসের খবর জানতে পারবেন।
- প্রথমে, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যান: www.passport.gov.bd
- “Application Status” অথবা “পাসপোর্ট স্ট্যাটাস” অপশনটি খুঁজুন।
- এটি সাধারণত ওয়েবসাইটের হোমপেজে অথবা “Track Application” সেকশনে পাওয়া যায়।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুসরণ করে আপনি আপনার Application ID অথবা পাসপোর্ট নাম্বার টি দিয়ে এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে সঠিকভাবে লিখেতে হবে।
- সবশেষে, “Check” অথবা “অনুসন্ধান করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
- যদি আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুসরণ করে পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।
যদি কোন কারণে তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার আবেদনে কোন সমস্যা আছে অথবা তথ্য আপডেটে দেরি হচ্ছে।
২. এসএমএস-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই, তাদের জন্য পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুসরণ করে এসএমএস একটি সহজ বিকল্প।
- আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন: TR <space> Application ID
- মেসেজটি ১৬৪৪৯ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন।
ফিরতি এসএমএস-এ আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুযায়ী আপনার পাসপোর্টের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
এভাবে খুব সহজেই আপনি জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট এখন কোন পর্যায়ে আছে।
৩. ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
পাসপোর্ট অফিসের ডেলিভারি স্লিপে একটি রেফারেন্স নম্বর দেওয়া থাকে। এই নম্বর ব্যবহার করেও আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুসরণ করে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানতে পারেন।
- অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করার সময় ডেলিভারি স্লিপের রেফারেন্স নম্বরটি ব্যবহার করুন।
- SMS-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানতে হলে, Application ID-এর পরিবর্তে আপনাকে রেফারেন্স নম্বর ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।
ডেলিভারি স্লিপের নম্বর ব্যবহার করে স্ট্যাটাস জানা অনেক সহজ এবং এটি দ্রুত তথ্য পেতে সহায়ক।
৪. সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ
যদি অনলাইন বা এসএমএস-এর মাধ্যমে স্ট্যাটাস জানতে সমস্যা হয়, তাহলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুযায়ী তথ্য নিয়ে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
- আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার Application ID এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
- অফিসের কর্মকর্তারা আপনাকে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম অনুসরণ করে বিস্তারিত জানাবেন।
সরাসরি যোগাযোগ করলে আপনি আপনার সমস্যাগুলো সরাসরি তুলে ধরতে পারবেন এবং দ্রুত সমাধান পেতে পারেন।
পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
পাসপোর্ট করার জন্য কিছু জরুরি তথ্য এবং কাগজপত্র লাগে। এগুলো আগে থেকে গুছিয়ে রাখলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যাবে। চলুন, দেখে নেই কী কী লাগবে:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সাধারণত ২ কপি লাগে, তবে পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী)।
- পূরণ করা আবেদন ফরম।
- ফি পরিশোধের রসিদ।
- প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র (যেমন: নাগরিকত্ব সনদ, পেশার প্রমাণপত্র ইত্যাদি)।
এই কাগজপত্রগুলো আপনার কাছে থাকলে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
বিএমইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে করণীয়
বিএমইটি (BMET) রেজিস্ট্রেশন মূলত বিদেশগামী কর্মীদের জন্য। আপনার যদি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে এবং আপনি বিদেশে যেতে চান, তাহলে কিছু জিনিস জানতে হবে।
- বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে অথবা সরাসরি বিএমইটি অফিসে আবেদন করতে হবে।
- আবেদনের সময় আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করার পরে আপনাকে একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হবে।
যদি আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে, তাহলে দ্রুত এটি করে নিন, কারণ এটি বিদেশ যাওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা, তা চেক করার জন্য আপনার হাতে কিছু জিনিস থাকতে হবে। এগুলো ছাড়া আপনি স্ট্যাটাস জানতে পারবেন না।
- Application ID কিংবা পাসপোর্ট এর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনাকে দেওয়া ট্র্যাকিং নম্বরটি দিন।
- জন্ম তারিখ।
- ডেলিভারি স্লিপ (যদি থাকে)।
এই তথ্যগুলো হাতের কাছে থাকলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কিনা।
পাসপোর্ট একটি দরকারি জিনিস। এটা হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে কি করবেন, তা জানা থাকা ভালো।
- হারানো বা চুরি যাওয়া পাসপোর্ট ফিরে পেতে দ্রুত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। জিডির কপিটি নিরাপদে রাখুন।
- নতুন পাসপোর্টের করার জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে অনলাইন জিডি কপি জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র এবং ছবি, সংগ্রহ করুন।
- হারানো পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য এবং জিডির কপি সহকারে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত আপনার হারানো পাসপোর্টের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য
ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এগুলো জানা থাকলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য ভালো। নিচে একটি টেবিলে এই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:
বৈশিষ্ট্য | ই-পাসপোর্ট | সাধারণ পাসপোর্ট |
---|---|---|
চিপ | এতে একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকে, যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও বায়োমেট্রিক ডেটা (যেমন আঙুলের ছাপ) সংরক্ষিত থাকে। | এতে কোনো চিপ থাকে না। |
নিরাপত্তা | এটি জাল করা কঠিন, কারণ চিপের ডেটা সুরক্ষিত থাকে। | এটি জাল করা তুলনামূলকভাবে সহজ। |
দ্রুত ইমিগ্রেশন | ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন গেট ব্যবহার করা যায়, যা সময় বাঁচায়। | সাধারণ পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন হয়, যা সময়সাপেক্ষ। |
ডেটা সুরক্ষা | চিপে থাকা ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে, তাই এটি সুরক্ষিত। | ডেটা সুরক্ষার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। |
আন্তর্জাতিক মান | এই অস্থায়ী পাসপোর্টটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) নির্ধারিত মান অনুসরণ করে তৈরি করা হয়, যাতে এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য গ্রহণযোগ্যতা পায়। | এটিও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে, তবে ই-পাসপোর্টের মতো অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। |
ব্যবহার | বিভিন্ন দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা দিন দিন বাড়ছে। | এটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হলেও, কিছু দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা বেশি। |
আবেদন প্রক্রিয়া | ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়। | সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া একই রকম, তবে এটি পুরনো পদ্ধতি। |
খরচ | ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে সাধারণ পাসপোর্টের চেয়ে কিছুটা বেশি খরচ হয়। | সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করতে তুলনামূলকভাবে কম খরচ হয়। |
মেয়াদ | ই-পাসপোর্টের মেয়াদ সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হয়, যা ব্যবহারকারীর বয়স এবং আবেদনের ধরনের উপর নির্ভর করে। | সাধারণ পাসপোর্টের মেয়াদও একই রকম, তবে এটি নির্ভর করে আবেদনের সময় আপনি কত বছরের জন্য আবেদন করছেন। |
সুবিধা | ই-পাসপোর্টধারীরা বিভিন্ন দেশে ভিসা ছাড়া বা সহজে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও, এটি দ্রুত এবং ঝামেলাবিহীন ভ্রমণের সুবিধা দেয়। | সাধারণ পাসপোর্টধারীদের ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে জটিলতাও দেখা দিতে পারে। |
এই টেবিলটি আপনাকে ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যেকার পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে এবং আপনার জন্য সঠিক পাসপোর্ট নির্বাচন করতে সহায়ক হবে।
পাসপোর্টের প্রকারভেদ
পাসপোর্ট বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। নিচে কয়েকটি প্রধান প্রকার উল্লেখ করা হলো:
- সাধারণ পাসপোর্ট (Regular Passport): এটি সাধারণত ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। নীল রঙের কভারযুক্ত এই পাসপোর্টটি ব্যক্তিগত কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
- অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport): রাষ্ট্রীয় কাজের বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজন হয় অনেক সময়। এই ধরণের কাজের জন্য এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport) পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সবুজ রঙের কভারযুক্ত এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য।
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট (Diplomatic Passport): এটি শুধুমাত্র কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ইস্যু করা হয়। লাল রঙের কভারযুক্ত এই পাসপোর্টধারীরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
- বিশেষ পাসপোর্ট (Special Passport): এটি বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন জরুরি অবস্থায় বা বিশেষ প্রয়োজনে ইস্যু করা হয়।
- অস্থায়ী পাসপোর্ট (Temporary Passport): অস্থায়ী পাসপোর্ট সাধারণত সীমিত সময়ের জন্য ইস্যু করা হয় এবং এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি। ধরুন, কোনো ব্যক্তি বিদেশে গিয়ে তার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অথচ দেশে ফেরার জন্য দ্রুত একটি ভ্রমণ নথির প্রয়োজন। তখনই এই অস্থায়ী পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।
এই পাসপোর্টগুলোর মধ্যে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি যেকোনো একটির জন্য আবেদন করতে পারেন।
জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত পাসপোর্ট পেতে চাইলে কিছু বিশেষ উপায় অবলম্বন করতে পারেন। নিচে কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলো:
- তাৎক্ষণিক পাসপোর্ট সেবা: অনেক দেশেই জরুরি অবস্থার জন্য তাৎক্ষণিক পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত ফি দিতে হতে পারে, তবে খুব দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
- ফাস্ট-ট্র্যাক সার্ভিস: কিছু পাসপোর্ট অফিস ফাস্ট-ট্র্যাক সার্ভিস দিয়ে থাকে, যেখানে সাধারণ প্রক্রিয়ার চেয়ে দ্রুত পাসপোর্ট তৈরি করা হয়।
- সুপারিশ: যদি আপনার পরিচিত কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকেন, তবে তার সুপারিশের মাধ্যমে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- জরুরি অবস্থার প্রমাণ: যদি আপনার জরুরি অবস্থার কোনো প্রমাণ থাকে, যেমন মেডিকেল সার্টিফিকেট বা অন্য কোনো জরুরি কাগজপত্র, তবে তা জমা দিলে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।
- অনলাইন আবেদন: দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা সবচেয়ে ভালো উপায়। এতে আপনার সময় বাঁচে এবং দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হয়।
এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত পাসপোর্ট পেতে পারেন।
পাসপোর্ট করার সময় যেসব ভুল এড়িয়ে যাওয়া উচিত
পাসপোর্ট করার সময় কিছু ভুল এড়িয়ে যাওয়া উচিত, যা আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল উল্লেখ করা হলো:
- ভুল তথ্য প্রদান: আবেদন ফর্মে ভুল তথ্য দেওয়া একটি সাধারণ ভুল। আপনার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য তথ্য যেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের সাথে মেলে।
- অস্পষ্ট ছবি: পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে ছবিটি যেন স্পষ্ট হয় এবং পাসপোর্ট অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তোলা হয়। ঝাপসা বা অস্পষ্ট ছবি আপনার আবেদন বাতিল করতে পারে।
- ফর্ম পূরণে ভুল: আবেদন ফর্ম পূরণ করার সময় கவனமாக থাকতে হবে। কোনো ঘর যেন খালি না থাকে এবং সকল তথ্য যেন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়।
- পুরোনো ডকুমেন্টস ব্যবহার: আবেদন করার সময় हमेशा নতুন এবং সঠিক ডকুমেন্টস ব্যবহার করুন। মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ভুল ডকুমেন্টস ব্যবহার করলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
- ফি পরিশোধে ভুল: পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার সময় সঠিক পরিমাণ ফি পরিশোধ করুন এবং রসিদটি নিরাপদে রাখুন। ফি পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে রসিদটি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
- অসম্পূর্ণ আবেদন: আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে নিশ্চিত হন যে আপনি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং তথ্য সংযুক্ত করেছেন। অসম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারে।
এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে আপনি সহজেই আপনার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং দ্রুত পাসপোর্ট পেতে পারেন।
শেষ কথা
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম জানা থাকলে আপনি ঘরে বসেই আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। এই ব্লগ পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি সবচেয়ে সহজ উপায়ে বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। যদি আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ!