বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব। অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। আপনি যদি এনআইডি কার্ড আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং সংশোধনের উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কীভাবে অনলাইনে এনআইডি কার্ড (nid card online) আবেদন এবং সংশোধন করতে হয় এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
প্রিয় বন্ধুরা অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই অনেক ভাবে গুগল অথবা ইউটিউব এ সার্চ করে থাকেন। আজকে আমাদের আলোচনার মধ্যে রয়েছে এনআইডি কার্ডের (nid card online) কি কি ভুল সংশোধন করা যায়,যেকোনো তথ্য বা ছবি পরিবর্তন করার নিয়ম, তথ্য সংশোধন ফি প্রদানের নিয়ম, অন্যান্য আরো তথ্য সংশোধন করার উপায় ইত্যাদি বিষয়।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ড(nid card online) অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যেকোনো কাজে থেকে শুরু করে কোথাও ভর্তি, বিদেশে যাওয়া, জমি ক্রয় বিক্রয়, মামলা মোকাদ্দামা, ব্যাংক লেনদেন ইত্যাদি আরো নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে আমাদের এই এনআইডি প্রয়োজন হয়। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা প্রদানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ নিশ্চিত করে আসছে।
আমাদের এই দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এনআইডি কার্ডে (nid card online) বিভিন্ন ধরনের ভুল থাকে। কারো ঠিকানায় ভুল, পিতামাতার নামের ভুল, জন্মতারিখে ভুল, নামের বানানের ভুল, নামের কোন অংশ সঠিক না আসা ইত্যাদি আরো অনেক ভুল হয়ে থাকে। যদি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন (nid card online) এবং এনআইডি আবেদনের সহজ পদ্ধতি জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই ভুল গুলো সংশোধন করা যায়।
এনআইডি কার্ডের যেসব ভুল সংশোধন করা যায়
বাংলাদেশে সরকারি ভাবে স্থায়ী নাগরিকদের ২০০৮ সাল থেকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড (nid card online) বা ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এনআইডি কার্ড (nid card online) প্রদানের শুরু থেকেই বিভিন্ন ভুল থাকার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে (nid card online) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের উপায় থাকলেও তা কীভাবে করবেন অনেকেই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়।
- অনলাইনে যে যে ভুলগুলো সংশোধন করা যায়
- এখন আমরা আলোচনা করব অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর অনলাইনে যে যে ভুলগুলো সংশোধন করা যায়।
- ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়
- জন্মতারিখ পরিবর্তন করা যায়
- স্বাক্ষর পরিবর্তন করা যায়
- পেশ পরিবর্তন করা যায়
- পিতা-মাতা মারা গেলে মৃত উল্লেখ করার প্রক্রিয়া
- বিয়ের পর স্বামীর নাম যুক্ত করা যায়
- পিতা-মাতা বা স্বামীর নামের আগে ভুলে মৃত লেখা পরিবর্তন করা যায়
- বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামীর নাম বাদ দেওয়া যায়
- নতুন করে বিয়ে করলে পরবর্তী স্বামীর নাম যুক্ত করা যায়
অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
অনলাইনে (nid card online) ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য এই ওয়েব সাইটে (Services.nidw.gov.bd) প্রবেস করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে এনআইডির নম্বর দিতে হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডে (nid card online) যেসব তথ্য দেওয়া আছে তার যেকোনো একটি পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমবার আবেদনের জন্য ২০০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩০০ টাকা এবং পরবর্তীতে যতবার আবেদন করবেন প্রত্যেকবার ৪০০ টাকা করে ফি দিতে হবে। তবে সকল ফিয়ের সাথে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়।
তথ্য সংশোধন
এখন আমরা আলোচনা করব অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর তথ্য সংশোধন সম্পর্কে। ভোটার আইডি কার্ড (nid card online) বা এনআইডি কার্ডে ছাপা আছে এমন তথ্য যেমন নিজের নাম, পিতামাতার নাম, স্বামী-স্ত্রীর নাম, ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রথমবার ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা এবং তৃতীয়বার ৫৭৫ টাকা প্রদান করতে হয়
- তথ্য সংশোধনে ফি প্রদানের মাধ্যম
- এখন আমরা আলোচনা করব অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর যে যে মাধ্যমে (nid card online) তথ্য সংশোধনের ফি প্রদান করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হল-
- বিকাশ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক
- রকেট মোবাইল ব্যাংকিং
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড
এনআইডি(NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি
বর্তমান বাংলাদেশের নতুন ভোটার নিবন্ধন (nid card online) করা খুবই সহজ। আপনি যদি বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক হন এবং উপযুক্ত বয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজে নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করে ভোটার হতে পারবেন। কি কি উপায়ে নতুন ভোটারের আবেদন করা যায় এবং নতুন ভোটার হতে কে কে লাগে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই সব বিষয়ে আপনাদেরকে ধারণা দেয়াড় চেষ্টা করব।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সাধারণত দুই ভাবে আবেদন করা যায়
প্রথমতঃ আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটার (nid card online) হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে কেবল অফিস থেকেই নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ সংগ্রহ করতে হবে। নতুন ভোটার আবেদন ফরম ২ সঠিকভাবে পূরণ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে অফিসে জমা দিলেন নতুন ভোটার হওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নতুন ভোটারের (nid card online) জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা পোহাতে হয়। যেমন- অফিসে গিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে হয় তারপর বাড়ি ফিরে আসতে হয়। কারণ ফোরামের একটি অংশে এলাকার মেম্বারের আইডি নাম্বার এবং স্বাক্ষর করানোর প্রয়োজন হয়। ফ্রন্ট এর সঠিকভাবে পূরণ করা হলে তারপর কাগজপত্র সহ আবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হয়।
দ্বিতীয়তঃ অনলাইনে নতুন ভোটার (nid card online) হওয়ার জন্য আবেদন করা যায়।ঘরে বসে নিজেই নিজের নতুন ভোটারের আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অফিসে জমা দিলে খুব সহজে নতুন ভোটার হওয়া যায়। অনলাইনে ভোটার (nid card online) নিবন্ধনের আবেদন করলে বারবার অফিসে যাওয়া আসার সময় ও কষ্ট ও উভয় বেঁচে যায়।যেহেতু অনলাইনে নতুন ভোটারের (nid card online) জন্য আবেদন করে ভোটার হওয়ার সুবিধা জনক সেতু নিম্নে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন কীভাবে দাখিল করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এনআইডি আবেদন করার যোগ্যতা
এনআইডি (nid card online) করার জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন মানতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আপনাকে নতুন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে না। আসুন জেনে নেই কি সেই নিয়ম কানুন।
- সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০৭ সাল হতে হবে জন্ম হতে হবে।
- আবেদন কারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং সকল প্রকার তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হব
- পূর্বে ভোটার হয়ে থাকলে দ্বিতীয়বার নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে না
- আবেদন এবং জমা দেওয়া কাগজপত্র গুলো সম্পূর্ণ সঠিক হতে হবে। কোন ভাবেই ২ নম্বর কাগজপত্র জমা দেয়া চলবে না
- নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা যাবে না
উপরোক্ত নিয়মকানুন মেনে নতুন ভোটারের (nid card online) জন্য আবেদন করলে খুব সহজেই আপনি নতুন ভোটার হতে পারবেন
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে
এখন আমরা আলোচনা করব অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর নতুন ভোটার আইডি কার্ড (nid card online)আবেদন করতে যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদসহ পিতামাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি। নতুন আইডি কার্ড করতে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নতুন ভোটার হতে যে সব কাগজপত্র লাগে তার তালিকা নিচে দেওয়া হল।
- PSE , JSC, SSC, HSC অথবা সমমানের সার্টিফিকেট
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা- মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- স্বামী/ স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (বিবাহিত হলে)
- পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স( বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট না থাকলে)
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- নাগরিকত্ব সনদ( চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট)
কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা জমা দেয়াড় প্রয়োজন হয়। বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট কিংবা পাসপোর্ট এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স এগুলোর কোনটি না থাকলে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র জমা দেয়া প্রয়োজন হতে পারে। এই কাগজপত্র গুলো না হলে আপনি নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
শেষকথা
আপনাদের জন্য কিছু কথা। আশা করি অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এই সম্পর্কে উপরে আলোচিত বিষয় হতে আপনারা পূর্ণাঙ্গ একটি ধারণা পেয়েছেন।
অবশেষে আমার কিছু কথা। আজকে আপনাদের সাথে অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে অনলাইনে এনআইডি (NID) আবেদনের সহজ পদ্ধতি এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।