আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এ সম্পর্কে। অনেকেই জানতে চান এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার। আজকের পোস্টে এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানাবো যে এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার। প্রেসিডেন্ট এমন একটি পদমর্যাদার অধিকারী কর্মকর্তা যিনি তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনগণের সেবা করে থাকেন। এবং সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অন্যতম একটা সম্মানীয় চাকরি হচ্ছে এসিল্যান্ড। এসিল্যান্ড হচ্ছে একজন ভূমি কর্মকর্তা।
এসিল্যান্ড AC Land এর পূর্ণরূপ – Assistant Commissioner (Land) (সহকারী ভূমি অফিসার)। একজন এসিল্যান্ড (AC Land) মোবাইল কোড এ বিভিন্ন অপরাধিকে শাস্তি প্রদান করার ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয়া তার পক্ষে যুক্তি সঙ্গত নয়। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা এসিলেন্ট এর নাম ভাঙ্গায় খায় না এবং এবং বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে থাকে। সুতরাং এখন আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার ?
এসিল্যান্ড হওয়ার যোগ্যতা
আমাদের মাঝে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এর পাশাপাশি এটাও প্রশ্ন করেন যে এসিল্যান্ড হওয়ার যোগ্যতা কি। এসিলেন্ট হতে হলে আপনাকে যেসব ধাপ অতিক্রম করতে হবে তাহলে আপনাকে স্নাতক পাস করেন বিসিএস দিতে হবে। এবং বিশেষ দেয়ার সময় আপনাকে প্রশাসন ক্যাডার চয়েস বা নির্ধারণ করতে হবে। এরপর এসিল্যান্ড হওয়ার জন্য আপনাকে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হতে সুপারিশ প্রাপ্ত হতে হবে। আর এটাই হলো সিলেন্ট হওয়ার যোগ্যতা। সুতরাং আমাদের এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এর পাশাপাশি এসিল্যান্ড হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
এখন আমরা সংক্ষেপে জেনে নেব এসিলেন্ডের ক্ষমতা সম্পর্কে
এখন আমরা এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এর পাশাপাশি এসিল্যান্ডের ক্ষমতা সম্পর্কে জানব। কেননা অনেকে এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এর পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি যেটা প্রশ্ন করে থাকে সেটা হলো এসিল্যান্ডের ক্ষমতা সম্পর্কে। এসিল্যান্ড, AC Land এর পূর্ণরূপ হচ্ছে assistant commissioner ( Land ) এবং বাংলা অর্থ হচ্ছে সহকারী কমিশনার। তিনি একজন সরকারের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। সেক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকেন। একজন এসিল্যান্ড তার দায়িত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করে থাকেন এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন।
তিনি জনগণের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকেন। এছাড়া তিনি কালেক্টর বা ডিসের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকেন এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থা ও ভূমি উন্নয়নের জন্য কর আদায় করে থাকেন। একজন এসিল্যান্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ডিসি, এ ডিসি এবং জেলা প্রশাসকের অধীনে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ করে থাকেন কাজ করে থাকেন। আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনারা এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এর পাশাপাশি ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার
এসিল্যান্ড সম্পর্কে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। সে সকল প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম একটা প্রশ্ন হল এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার। এখন আপনাদের জানাবো এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার। প্রথমে আমরা জেনে নেব এসিল্যান্ড হতে হলে আপনার কি কি যোগ্যতা অর্জন করে এবং কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসিল্যান্ড হতে হয়, তারপরে আমরা জানবো এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার। এসিলেট হতে হলে আপনাকে প্রথমে বিসিএস দিতে হবে এবং আপনাকে প্রশাসন ক্যাডার চয়েস বা নির্ধারণ করতে হবে। এবং বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হতে আপনাকে সুপারিশ প্রাপ্ত হতে হবে। অতপর সুপারসপ্রাপ্ত হলে আপনাকে এসিল্যান্ড হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। সুতরাং বোঝা গেল এসিলেন্ট হতে হলে বিসিএস ক্যাডার হওয়া লাগে। অন্যথায় হওয়ার কোন উপায় নাই। আশা করি, আপনাদের এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি।
এসি ল্যান্ড কত গ্রেড? – AC Land কত গ্রেড
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে এসিলেন্ট একজন বিসিএস কর্মকর্তা। এসিল্যান্ড পদে যোগ দেয়ার জন্য তাকে বিসিএস ক্যাডার হয়ে যোগ দিতে হবে। তবে আমাদের মাঝেও আরো অনেক ধরনের প্রশ্ন আসে যে, এসি ল্যান্ড কত গ্রেড? – AC Land কত গ্রেড অথবা বেতন কত? এসিল্যান্ড যেহেতু প্রথম শ্রেণির একজন সরকারি কর্মকর্তা। সুতরাং তাদের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা খুবই আকর্ষণীয়।
যারা উপজেলা পর্যায়ে ভূমি অফিসার হিসেবে চাকরিরত আছেন তাদেরকে আমরা এসিল্যান্ড বা ইংলিশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিসেবে চিনে থাকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টি জানিনা একজন এসিল্যান্ডের সুযোগ-সুবিধা এবং বেতন কত হয়ে থাকে। আপনাদের এই সম্পর্কে একটা পরিপূর্ণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে এসিল্যান্ড যেহেতু একজন বিসিএস কর্মকর্তা সুতরাং তার বেতন এবং সুযোগ সুবিধা আকর্ষণীয় হবে।
অতএব যারা নতুন বিসিএস ক্যাডার হয়ে এসিল্যান্ড পদে যোগদান করেন। তারা সরকারি চাকরির বেতন গ্রেড অনুযায়ী নবম গ্রেডের বেতন পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ যারা সদ্য বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে এসিলেন্ট হয়েছেন তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী একজন এসিল্যান্ড ০৯ গ্রেডের বেতন পেয়ে থাকেন।
তারা ০৯ গ্রেড এর বেতন পেয়ে থাকলেও বিভিন্ন ইনক্রিমেন্ট এর মাধ্যমে তাদের বেতন সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
- মূল বেতন ২৩,১০০ /- টাকা
- বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৩, ৮৬০ /- টাকা
- ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাড়ি ভাড়া জন্য ৬০% এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জন্য ও সাভার এলাকায় জন্য ৫০% এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৪৫%
- মেডিকেল ভাতা রয়েছে ১৫০০/- টাকা
- এছাড়াও শিক্ষকতা রয়েছে ১০০/– টাকা
- ভাতার সহ সর্বমোট বেতন ৩৮,৪৬০/– টাকা
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে সে সকল সুযোগ-সুবিধা সকল ধরনের সরকারি চাকরিতে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে পেনশন, বিভিন্ন বনাস ইত্যাদি ধরনের অসুবিধা রয়েছে।
পরিশেষে
আশা করি, উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে আপনারা এসিল্যান্ড কি বিসিএস ক্যাডার,এসিল্যান্ড হওয়ার যোগ্যতা, এসিল্যান্ডের ক্ষমতা এবং এসিল্যান্ডের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ একটা ধারণা পেয়েছেন। তবে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে যে এসিল্যান্ড থেকে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি অফিসের পিয়ন পর্যন্ত সকলে বেতন পান আমাদের দেয়া টেক্স থেকে। সুতরাং তাদের দায়িত্ব হলো জনগণের সেবা প্রদান করা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করা ঘুষ খাওয়া নয়। সুতরাং যে ঘুষ খাবে আমাদের উচিত তার প্রতিবাদ করা। কে প্রতিবাদ করবে এটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে আপনি নিজেই প্রতিবাদ শুরু করুন। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে মানুষ আপনার সাথে যোগ দেবে।
অনেক তসিলদার আছেন যারা উপজেলা ইউনও বা এসিল্যান্ড এর কথা বলে এবং মানুষকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখিয়ে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে। সুতরাং তোশিলদারের সাথে খাজনা দেয়ার জন্য টাকা লেনদেন করা হবে, অন্য কোন কিছুর জন্য না। অতএব সম্পত্তি আপনার সাংবিধানিক একটা অধিকার। তাই এ সংক্রান্ত যত সেবা বা তথ্য জানা প্রয়োজন সেগুলো উপজেলা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি অফিস দিবে এটাও আপনার একটা রাষ্ট্রীয় অধিকার। আর এ ব্যাপারে তাদের কোন অবহেলা এবং আলসেমি দেখলে সাথে সাথে আপনারা প্রতিবাদ করুন। এই বিষয়গুলো বলার কারণ হচ্ছে যাতে আপনারা সকলে সচেতন হন এবং নিজ অধিকার সম্পর্কে জানুন। এ ছাড়া অন্য কোন কারণ নয়। আশা করি, আপনারা এসিল্যান্ড সম্পর্কে সকল তথ্য পরিপূর্ণভাবে এবং বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।