ড্রাগন ফল, এটি কোনো সিনেমা কিংবা চলচিত্রের সাজানো গল্প অথবা চরিত্রের নাম নয়। ড্রাগন ফলের উপকারিতা পেতে হলে ফল খেতে হবে ভুলবশত সিনেমা দেখলে হবে না। সুস্বাদু এবং বিদেশি ফল হওয়ায় বর্তমানে মানুষেদের কাছে আগ্রহের এবং আকর্ষিত ফলের তালিকায় ড্রাগন ফল অন্যতম। স্বাদে এবং উপকারিতায় উক্ত ফলটি অন্যান্য ফল থেকে অনেক এগিয়ে। যদিও ফলটি ভিনদেশি ছিল এতোদিন তবে এখন বাংলাদেশেও প্রচুর চাষ হয় ড্রাগন ফলের। ২০১৮ সালের জুলাই মাসের শেষ দিকে বাজারে প্রথম ড্রাগন ফল এসেছে। বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে প্রচুর ড্রাগন চাষ হচ্ছে ড্রগন বাগানে।
ড্রাগন ফলে রয়েছে মানব দেহের জন্য নানা রকম উপকারিতা। ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে অনেক রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ড্রাগন ফলের ইংরেজি নাম হলো Dragon Fruits. এছাড়াও স্ট্রবেরি পিয়ার, রেড পিটায়া, কনডেরেলা প্ল্যান্ট ইত্যাদি নামে ড্রাগন ফল পরিচিত। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ আরো কয়েকটি দেশে বিশেষ করে ড্রাগন ফল নামেই এটি পরিচিত।
ড্রাগন ফলটি হলো ক্যাকটাস গোত্রের একটি জাত এবং এর গাছটি দেখতে হুবহু প্রায় ক্যাকটাসের ন্যায় লতার মতোই দেখায়। অনেকটা মাংসাল এবং খাঁজকাটাযুক্ত গাছ।
ড্রাগন ফলের উপকারিতাগুলো জানার আগে সবার প্রথম জানতে হবে এর পুষ্টিগুণগুলো কী কী। কেননা পুষ্টিগুণ না জানার ফলে উপকারিতাগুলোর কারণ বুঝতে পারবো না। তাই চলুন জানা যাক পুষ্টিগুণগুলা।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
খেতে যেমন সুস্বাদু ও টেস্টে তেমনি ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে অসংখ্য। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ কমলা ও গাজরের চেয়েও অনেক বেশি। দেহের সুস্থ্যতার জন্য ড্রাগনে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি যা ডায়েটের সময় বেশ উপকারক একটি ফল।
পুষ্টিগুণ হিসেবে ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার সহ ইত্যাদি উপাদান। এছাড়াও পুষ্টিগুণের মধ্যে খনিজ পদার্থ হিসেবে রয়েছে আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ও পটাসিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ। ড্রাগন ফলে আছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা -৯। যা হার্টের জন্য বেশ উপকারক।
ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সামগ্রিকভাবে বললে ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারি পুষ্টিগুন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবেও একে গণ্য করা হয়। শরীর রক্ষার্থে এবং সুস্থ্য থাকতে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ বেশ কার্যকারী। তাই সামর্থ্য থাকলে অথবা নিজে চাষ করে শরীর সুস্থ্য রাখতে এবং দেহের পুষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্রাগন খেতে হবে।
ড্রাগন ফলের বহুমুখী উপকারিতা
শারীরিকভাবে ড্রাগন ফলের রয়েছে অনেক উপকারিতা এবং স্বাস্থ্য রক্ষার্থে এটি শিশু এবং বয়স্ক উভয়ের জন্য বেশ উপকারি একটি ফল। চলুন জানা যাক ড্রাগন ফলের উপকারিতাগুলো-
ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ড্রাগন ফলে রয়েছে ফেনোলিক নামক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এগুলো শরীরে ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এই ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ পদার্থ এবং কিছু বিশেষ উপাদান যা আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলো বের করে দেয়। এতে করে মানব শরীরের ক্যান্সার নামক রোগ জন্মাতে পারে না এবং উল্লেখিত এসিড ক্যান্সার কোষগুলোকে নিঃশ্বেষ করে দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
সুমিষ্ট ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার জাতীয় পদার্থ। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রত্যেকটি ড্রাগন ফলে প্রায় ৮-১২ গ্রাম করে ফাইবার থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল সাধারণত খুবই শক্ত ধরেনের থাকে। কিন্তু ড্রাগন ফলে অতিরিক্ত পানি থাকায় এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ অংশকে হাইড্রেট রাখে । এছাড়াও ড্রাগনে থাকা ফাইবার পাকস্থলির বর্জ্য পদার্থগুলোকে অপসারণ করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। যেসকল মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছে, তাদের জন্য ড্রাগন ফল খুবই ভালো একটি সলিউশন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারি ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সাধারণত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড উপাদান যা আমাদের দেহে শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের জন্যও বেশ উপকারক।
হার্ট সুস্থ্য রাখতে ড্রাগন ফল
হার্টের যত্নে এবং সুস্থ্য ধরে রাখতে ড্রাগন ফল বেশ কার্যকারী। ড্রাগন ফলে থাকা বিভিন্ন রকম উপকারি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ । ওমেগা-৩ এবং ৯ আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারক। তাই হার্টে সুস্থ্য রাখতে ও ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে ড্রাগন ফল দ্ধারা উপকৃত হওয়া সম্ভব। ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের অসুস্থ্যতার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া এটি আমাদের মানসিক চাপ কমাতেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
রক্তে অক্সিডেন্ট ধরে রাখে
করোণকালীন সময়ে আমাদের ফুসফুস রক্ষার্থে রক্তে অক্সিডেন্ট ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ অক্সিজেন ধরে রাখার কাজটি করে থাকে আয়রণ নামক খনিজ পদার্থ। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ। ধারণা করা হয় প্রতি শত গ্রাম ড্রাগন ফলে প্রায় ২গ্রাম আয়রণ থাকে। রক্তে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং সেই আয়রণ রক্তে মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকা গঠন করে। আর লোহিত রক্ত কণিকা আমাদের রক্তে অক্সিজেন ধরে রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে পরোক্ষভাবে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে ড্রাগন ফল খুবই কার্যকারী একটি ফল।
চুলের যত্নে ড্রাগন ফল
নানা কারণে আমাদের মাথার চুল পড়ে যায়। অনেকগুলো কারণের মধ্যে কয়েকটি কারণ হলো হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে চুলের যত্ন নিতে বিভিন্ন রকম ক্যামিকেল ব্যবহার এবং আয়রণ জনিত সমস্যার কারণেও ঘটে থাকে। ড্রাগন ফলে থাকা আয়রণ চুল পড়া বন্ধ করতে পারে বলে আধুনিক পুষ্টিবিদদের মতামত রয়েছে। তাই চুল পড়া রোধ করতে স্বল্প পরিমাণে হলেও ড্রাগন ফল খেতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সুগার থাকা বেশ বিপদজনক। রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকলে ডায়াবেটিস নামক ভয়ঙ্কর রোগটি হয়। রক্তে পরিমান মতো সুগার রাখা দেহের জন্য ভালো। এজন্য রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ড্রাগন ফলে আছে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন সি ও ই। উক্ত উপাদানগুলো আমাদের শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধুমাত্র সুগার নিয়ন্ত্রণ নয় পাশাপাশি ইনসুলিন তৈরি করতেও সহায়তা করে থাকে। ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ডায়াবেটিসের ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ড্রাগন ফল খেতে হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
অনেকে আছে যারা প্রচন্ড পরিমাণ পেটের পীড়ায় ভুগছে। পেটের পীড়া তথা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ড্রাগন ফল খুবই উপকারি। ড্রাগনে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই ফলফ্রসু। এছাড়াও এতে থাকে যথেষ্ট পরিমাণ পানি। যা হজমে এবং পেটের পীড়া তাড়াতে বেশ কার্যকারী।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
ব্রণ দূর করাতে অনেকে অনেক রকম উপায় বা পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে থাকে। কিন্তু ড্রাগন ফলে থাকা বিভিন্ন রকম ভিটামিন ত্বকের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোদে পোড় দাগ এবং কালচে ভাব দূর করতে ড্রাগন ফল খুবই কার্যকারী একটি ফল। তাই ছেলে ও মেয়েরা তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ড্রাগন ফল খেতে পারে।
ওজম হ্রাস করতে ড্রাগন ফল
অতিরিক্ত সুস্থলতা বা ওজম কামানোর অনেক উপায় রয়েছে। তবে কার্যকারী উপায় অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে শরীরের ওজন হ্রাস করা সম্ভব। প্রোটিন আমাদের দেহে অতিরিক্ত ওজন বাড়তে দেয় না। আর ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রোটিন উপাদান। যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে বড় একটি বাধা। তাই সুস্থ্য থাকার ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস করতে ড্রাগন ফল ভক্ষণ করতে হবে।
শ্বাস-কষ্ট সারাতে ড্রাগন ফল
শ্বাস-নিশ্বাস কার্যক্রম সঠিকভাবে করার জন্য হাঁপানি সহ সর্দি কাঁশি ইত্যাদি বিরাট বাধা। সর্দি কাশি দূর করতে আমরা এমনিতে নানা রকম ঔষধ সেবন করে থাকি। এছাড়াও জম্মগতভাবে যাদের হাঁপানি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে উক্ত অসুখগুলো শ্বাস প্রশ্বাসকে প্রভাবিত করে থাকে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো করতে ড্রাগন ফলে থাকা খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিনগুলো বেশ কার্যকারী। তাই শ্বাস-কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে।
ব্যথা দূর করে
আমাদের শরীরের জয়েন্টগুলোর ব্যথা সহ অন্যান্য অঙ্গগুলোর ব্যথা যেন একটি নিয়মিত ব্যধি হয়ে পড়েছে। এসব ব্যথা দূর করতে পারে ড্রাগন ফল। অনেকে গাড় ব্যথা দূর করার উপায় হিসেবে কিংবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার উপসর্গ হিসেবে বিভিন্ন রকম ক্যামিকেল সহ নানা রকম ভেজষ ঔষধ খেয়ে থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এসবে যথার্থ উপকার পাওয়া যায় না বরং কিডনির ক্ষতি হয়। তাই কিডনি সুস্থ্য রাখাতে এবং শরীরের ব্যথা দূর করতে ড্রাগন ফল খাওয়া চেষ্টা করতে হবে।
উপরোক্ত এই উপকারিতাগুলো ছিল ড্রগন ফলের। এছাড়াও রয়েছে আরো প্রচুর উপকারিতা যা একজন ব্যক্তি ড্রগন ফল খাওয়ার মাধমে উক্ত সুবিধা ছাড়াও আরো অনেক সুবিধা পেতে পারে।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
আমাদের মানব শরীরের জন্য লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। এমনিতে ড্রাগন মোটামোটি কয়েক রঙ্গের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে বেশি দেখা যায লাল ড্রাগন এবং সাদা/গ্রে কালারের। কিন্তু লাল ড্রাগনের কিছু অতিরিক্ত উপকারিতা রয়েছে। উদাহরণসরূপ লাল ড্রাগন খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারিতাসহ ওজন হ্রাস করা, হৃৎপিন্ড ভালো রাখা, হজমে সহায়তা করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি হলো লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হয়। এই সময় মায়েদের খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাদ্য রাখতে হয় বেশি করে। যেমন ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ। ফাইবার গর্ভবর্তী মায়ের হজমে সহায়তা করে থাকে। আর কার্বোহাইড্রেট সহ আরো যে সকল খনিজ পদার্থ রয়েছে, সেগুলো বাচ্চার গ্রোথ বৃদ্ধি করতে হবে সুস্থ্য-সবল রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। তাই গর্ভবর্তী মায়েদের এই সময়ে ড্রাগন ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ড্রাগন ফল চাষ
ড্রাগন ফল ছাদে এবং জমিতে উভয় জায়গাতেই চাষ করতে পারবেন। প্রায় বাংলাদেশের সকল মাটিই ড্রাগন চাষের উপযোগী। কিন্তু জৈবসারযুক্ত বেলে দোআঁশ মাটি ড্রাগন চাষের সবচেয়ে উত্তম মাটি। সাধারণত ড্রাগন চাষের জন্য কাটিং লাগাতে হয় এবং তা নিয়মিত পরিচর্চার মাধ্যমে বড় করতে হয়। ছাদে লাগাতে চাইলে বড় ড্রাম কিংবা টবে লাগাতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে । ড্রাগন চাষীদের সুবিধার প্রেক্ষিতে নিম্নে ড্রাগন ফল চাষ করার ক্ষেত্রে সার প্রয়োগের একটি চিত্র তুলে ধরা হলো-
ড্রাগন ফল চাষের ক্ষেত্রে সেচ এর ব্যবস্থা উত্তমভাবে রাখতে হবে। ড্রাগনফল অত্যধিক জনবর্ধতা সহ্য করতে পারে না। গাছের গোড়ায় বেশি পানি থাকলে পচন ধরে যায়। শুষ্ক মৌশুমে মাসে ২ বার সেচ দিতে হবে।
গাছের গোড়ায় পচা ধরলে রোগ বালাই নাশক স্প্রে করতে হবে। কান্ড ও গোড়া পচন ধরলে ছত্রাক নাশক স্প্রে করতে হবে। পোকা মাকড়ের আক্রমণ হলে খুব কম পরিমাণ এবং পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক দিতে হবে। তবে বেশি দিলে ফলন হ্রাস পাবে। তাই দক্ষ কারো থেকে পরামর্শ নিতে হবে। এভাবেই ড্রাগন চাষ করতে হবে।