নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার | নগদ মুনাফা বা ইন্টারেস্ট হার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার

দৈনন্দিন জীবনে বাংলাদেশীদের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারই ধারাবাহিকতায় নগদ মোবাইল ব্যাংকিংও এর ব্যতিক্রম নয়। নগদ অফার, মুনাফা বা নগদ মোবইল ব্যাংকিং সঞ্চয়  হার অথবা নগদ ব্যাংকিং অফার ইত্যাদির নগদ সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ক্রমে ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠছে নগদ ব্যাংকিং সিস্টেম। সেই প্রেক্ষিতেই নগদ এখন তার গ্রাহকদের দিচ্ছে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় বা মুনাফার সুবিধা। অর্থাৎ কোনো নগদ গ্রাহক  যদি তার নগদ একাউন্টে নিদির্ষ্ট পরিমাণ টাকা রাখে এবং সেটা নিদির্ষ্ট একটা সময় অতিবাহিত করে, তাহলে সে গ্রাহক তার সঞ্চয়কৃত টাকা দ্ধারা নগদ কর্তৃপক্ষ হতে নিদির্ষ্ট পরিমাণ সঞ্চয় বা মুনাফা পাবে। ২০২১ সালের ২৬শে মার্চের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমানে নগদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ এবং দিন দিন এটা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এতো হিউজ  নগদ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ ভালো একটা সংখ্যা আছে যারা নগদ সঞ্চয় হার বা নগদ মুনাফার বিষয়ে কোনো ডিটেইলস জানে না এবং-কি এই নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার কী মাসিক নাকি বাৎসরিক এটাও তারা জানে না! আর বিষয়টি অর্থাং নগদ ব্যাংকিং সঞ্চয় হারের ক্যাটাগরি, কত পারসেন্টিজ, মাসিক নাকি বাৎসরিক ইত্যাদি নিয়ে ফুল ডিটেইলস-এ আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আশা করি নগদের সঞ্চয়ের হারের বিষয়টি নিয়ে কারো আর কোনো রকম সমস্যা থাকবে না।

নোট: উক্ত নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় বা মুনাফা পেতে হলে অবশ্যই অবশ্যই নগদ একাউন্টে খোলার সময় নগদ মুনাফার অপশানটি অন বা চালু করে রাখতে হবে।

নগদ একাউন্টে গ্রাহক তার জমাকৃত টাকার উপর নির্ভর করে মুনাফা পাবে। নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম দেখে নিন এবং সঞ্চয়কৃত টাকা দেখে নিন।

নগদ কর্তৃপক্ষ ৩ ক্যাটাগরির মাধ্যমে নগদ গ্রাহকদের মুনাফা দিয়ে থাকে।

রকেট অফারগুলো দেখে নিন

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর সঞ্চয় হার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর সঞ্চয় হার

নগদ কর্তৃপক্ষ দিন দিন তাদের গ্রাহকদের সুবিধার জন্য একই সাথে উপকার করার জন্যই নগদে সঞ্চয় হার বাড়াচ্ছে। দিনে দিনে এটির পরিমাণ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক গ্রাহক আছে যারা নগদ সঞ্চয় হার সম্পর্কে কোনো রকম ধারণাই রাখে না আবার একই ভাবে অনেক গ্রাহক আছে যারা নগদের মুনাফা বা সঞ্চয় হার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখলেও কত টাকায় কত সঞ্চয় হার তা ঠিক বা সঠিকভাবে জানে না। তাদের সুবিধার্থেই আজকের এই পোস্টটি। চলুন তাহলে জানা যাক নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর সঞ্চয় হারগুলো

  • কোনো নগদ গ্রাহক যদি ০ টাকা থেকে ১০০০.৯৯ টাকা পর্যন্ত তার নগদ একাউন্টে জমা রাখে তাহলে  সে তার মোট টাকার ০% মুনাফা পাবে। ( অর্থাৎ ০-১০০০.৯৯ টাকা = ০% মুনাফা )
  • আবার কোনো নগদ গ্রাহক যদি ১০০০.১ টাকা থেকে ৫০০০.৯৯ টাকা পর্যন্ত তার নগদ একাউন্টে জমা রাখে তাহলে সে তার মোট টাকার ৫% মুনাফা পাবে। ( অর্থাৎ ১০০০.১-৫০০০.৯৯ টাকা = % মুনাফা )
  • কোনো নগদ গ্রাহক যদি ৫০০১ টাকা থেকে ৩০০০০০ টাকা পর্যন্ত তার নগদ একাউন্টে জমা রাখে তাহলে সে তার মোট টাকার ৭.৫% মুনাফা পাবে। ( অর্থাৎ ৫০০১-৩০০০০০ টাকা = ৭.৫% মুনাফা )
Read More  বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম

 উপরের উল্লেখ করা ৩টি ক্যাটাগরির মুনাফাগুলো বাৎসরিক হিসাব কিন্তু নগদ কর্তৃপক্ষ গ্রাহককে প্রতি মাসেই তাদের নগদ মুনাফা বা সঞ্চয় দিয়ে দিবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এটা কীভাবে মাসিকভাবে দিবে?

চলুন জানা যাক কীভাবে আমরা নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার হিসাব করবো তার একটি ধারণা নেওয়া যাক। উদাহরণ দেওয়ার সুবিধার্থ ধরুন একজন নগদ গ্রাহকের একাউন্টে আছে ১০০০০ টাকা। উপরের রুল অনুযায়ী সে গ্রাহক বাৎসরিক মোট টাকার ৭.৫% পাওয়ার কথা এবং সে ৭.৫% মানাফাই পাবে। এবার চলুন একটু হিসাব করা যাক,

যদি আমরা তার মুনাফার পরিমাণ ৭.৫% ধরি অর্থাৎ ১০০ টাকায় সে পাবে ৭.৫ টাকা। তাহলে বছরে সে ১০০০০ টাকায় সে মুনাফা পাবে ৭৫০ টাকা।

এখন হিসাবটা একেবারেই পরিষ্কার। নগদ গ্রাহক যদি ১২ মাসে ১০০০০ টাকার জন্য পায় ৭৫০ টাকা তাহলে সে প্রতি মাস বা ১ মাসে পাবে ( ৭৫০/১২)=৬২.৫ টাকা।

অর্থাৎ কোনো নগদ গ্রাহক যদি তার নগদ একাউন্টে ১০০০০ টাকা রাখে তাহলে সে মাসে ৬২.৫ টাকা করে মুনাফা পাবে। আর এটাই হলো নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার বা মুনাফা।

নগদ মুনাফা হার

এখন স্বাভাবিকভাবে একজন নগদ গ্রাহক খুব সহজেই তার একাউন্টে থাকা জমাকৃত টাকার পরিমাণের উপর নির্ভর করে  মাস শেষে তার নগদ মোবাইল ব্যাংকিং মুনাফার বা সঞ্চয়ের হার বের করতে পারবে।

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট কমিশন বা ইন্টারেস্ট

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট কমিশন এই জিনিসটাও দিন দিন নগদ কর্তৃপক্ষ ভালো ভাবেই গ্রহণ করছে । যদিও ব্যাংকিং এজেন্ট কমিশন আগেরকার ব্যাংকগুলোতে প্রচলিত ছিল কিন্তু এবার নগদ মোবাইল ব্যাংকিং তারা তাদের ব্যবস্থায়ও এজেন্ট কমিশন নিয়ে এসেছে।

এটাই ছিল মুলত আজকের আর্টিকেলের মূল বস্তু। মূলত এটাকে বিভিন্ন নামেই অবিহিত করে থাকে গ্রাহকরা। কেউ বলে থাকে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং মুনাফা। আবার কেউ বলে থাকে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ইন্টারেস্ট। তবে নগদে ব্যাংকিং মুনাফা বা ব্যাংকিং ইন্টারেস্ট বা সঞ্চয় একই অর্থ বহন করে। সুবিধা অনুযায়ী নগদ গ্রাহকরা এক বিভিন্ন নামে অবিহিত করে থাকে। এখন যদি কোনো নগদ মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক মুনাফা বা ইন্টারেস্ট শোনে থমকে যান তাহলে আপনার বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা উপরের সম্পূর্ণ লেখাটি এইসব শব্দের একই অর্থ বহন করে।

Read More  নতুন বিকাশ একাউন্ট অফার ২০২১ | নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলুন

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমান সঞ্চয় হার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমান সঞ্চয় হার

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং তাদের সঞ্চয় হার এ বর্তমানে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত সবগুলো সঞ্চয় হারের মধ্যে গ্রাহকদের জন্য কিছু সুবিধা যোগ করেচে। এখানে আর্টিকেল আপডেটের পূর্বেই এখানের তথ্যগুলো তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছিল। ঠিক একই ভাবে তারা যখন অফিশিয়ালি ঘোষণা দেয় যে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর বর্তমান সঞ্চয় হার পূর্বের চেয়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে তখনই আজকের ন্যায় আমাদের আর্টিকেলটির কিছুটা সংস্করণ করা হয়েছে। সুতরাং বর্তমানে নগদ গ্রাহকদের জন্য কী রকম সঞ্চয় হার রেখেছে তা জানতে উপরের ডাটাগুলো ভালোভাবে পড়ুন। আশা করি বর্তমানে নগদের চলমান আপডেট সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবেন। পাশাপাশি গ্রাহকদের টাকা রাখার উপর কী পরিমাণ সঞ্চয় হার অফার করছে তাও জানতে পারবেন।

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সঞ্চয় হার সম্পর্কে আরো জানতে

Leave a Comment