তুলসি চা খাওয়ার উপকারিতা কিংবা কিভাবে তুলসি চা বানাবেন তা সম্পর্কে অধিকাংশেই জানে না। না জানাই স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রত্যেকেই চা পান করতে পছন্দ করি এবং হালকা নাস্তা কিংবা ঘুরাপেরার মাঝ বরাবর সময়ে চা খাওয়া যেন আমাদের মধ্যে ঐতিহ্যের ন্যায় কাজ করে। তবে কেমন হয়, যদি এই ইন্টারটেইনমেন্টে চা খাওয়াটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হয়ে ওঠে উপকারি! এবং রক্ষা করবে আমাদের অনেক ধরনের ক্রিটিকেল রোগ-বালাই থেকে।
ঠিক একইভাবে বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে তুলসি চা খাওয়ার মধ্যে যদি আপনি ঠিকঠাকভাবে অর্থাৎ পারফেক্টভঅবে তুলসি চা বানাতে পারেন। এখন আমাদের মাঝে অনেকে অনেক ধরনের টি (চা) পছন্দ করে। যেমন উদাহরণসরূপ বলা যায় যে, অনেকে পছন্দ করে গ্রীণ টি, আবার অনেকে হয়তো বা ব্ল্যাক টি। এভাবে বাংলাদেশে রয়েছে কয়েক প্রকারের টি বা চা, যা মোটামোটি সবারই পছন্দের। এভাবে শুধু বর্ণনাই দিয়ে যেতে পারবো। তবে যেহেতু আজকে আমাদের আর্টিকেলের মূল টপিক হলো তুলসি চায়ের উপকারিতা নিয়ে, তাই চলুন, বিলম্ব না করে তুলসি চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডিটেইলস জানা যাক।
তুলসি চায়ের পুষ্টিগুণ – Nutrition of Tulsi Tea
যদিও পূর্বে অর্থাৎ প্রাচীনকাল হতে তুলসি চা অথবা তুলসি পাতা রোগ সারাতে মানুষ খেয়ে আসছে। তবে তখন প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা তেমন না থাকায় তুলসি গাছ তথা চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে প্রায় কেউ অবগত ছিল না। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তুলসি চায়ে রয়েছে নানা রকম জানা অজানা শারীরিক উপকারিতা। এতে পুষ্টি উপাদান হিসেবে রয়েছে Catechinsis নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড, বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যালস সহ ইত্যাদি জাতীয় পুষ্টি উপাদান।
এছাড়াও তুলসি চায়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ও বি পাশাপাশি ভিটামিন ডি, শরীরের সু-স্বাস্থ্য গঠনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অন্তত এসব পুষ্টিগুণ অবজার্ব করতে তুলসি চা খাওয়া আজ থেকে শুরু করে দিতে পারেন।
তুলসি চা খাওয়ার বহুমুখী উপকারিতা – Versatile benefits of drinking Tulsi tea
তুলসি গাছ হলো প্রাকৃতিক একটি মহা ভেজষ ঔষধ। লোকজন প্রাচীনকাল হতেই নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে তুলসি পাতা ব্যবহার করে আসছে পাশাপাশি তুলসি চা খাওয়াও ছিল অনেকের নিকট ফেবারিট একটি বিষয়। যেহেতু তুলসি চায়ের উপকারিতা নিয়ে আজকের পোস্টটি তাহলে চলুন সংক্ষেপে জানা যাক আজকের আমরা কি কি বিষয়গুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করবো-
- তুলসি চা দৈহিক ওজন কমায়
- ট্রেস বা ট্যানশন হ্রাস করে
- জ্বর কমায়
- পেটের পিড়া দূর করে
- কোলেস্টেরল কমায়
- শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর করে
- বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করে
- কিডনিতে পাথর জমতে বাধা সৃষ্টি করে
- ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে
- বয়সের চাপ দূর করে
তুলসি চায়ের উপকারিতা পর্বে আজকে আমরা উপরোক্ত উপকারিতাগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। এখানে সাধারণত ১০টি পয়েন্টকে তুলে ধরা হয়েছে। বাস্তবিক অর্থে কিন্তু তুলসি পাতা বা চায়ের রয়েছে এরকম হাজারো উপকারিত। যাইহোক, আলোচনা দূর্ঘায়িত না করে তাহলে চলুন জানা যাক তুলসি চায়ের উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। তুলসি চায়ের উপকারিতাগুলো হলো-
তুলসি চা দৈহিক ওজন কমায়
দৈহিক ওজন কামতে তুলসি চা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। কেননা তুলসি চায়ে রয়েছে Catechinsis নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, যা সরাসরি আমাদের দেহের ওজন হ্রাস করে। আমাদের দেহে যখন লিপিড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবোলিজম সিস্টেম তুলনামূলকভাবে একটু দূর্বল থাকে, তখন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যখন আমরা তুলসি চা পান করি, তখন এটি আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম সিস্টেমকে উন্নত করার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক লিপিডকে পোড়ায়। মূলত Catechinsis নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস হলো লিপিড তথা চর্বি গলাতে পারদর্শী। যে বিধায় ফলাফলসরূপ অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়। এছাড়া অনেক ওজন বৃদ্ধি করা উপায় খোঁজে বিপরীতক্রমে অনেকে ডায়াট কন্ট্রোল ও ব্যায়াম করে থাকে ওজন কমাতে। এসবের পাশাপাশি আপনি ওজন কমাতে তুলসি চা খেতে পারেন।
ট্রেস বা ট্যানশন হ্রাস করে
সাধারণত করটিসল হরমোনের কারণে আমাদের দেহে মাত্রাতিরিক্ত ট্রিস বা ট্যানশন তৈরি হয়। কিন্তু আমরা যদি করটিসল হরমোন রোধ করতে পারি অর্থাৎ এর কন্ট্রোল রাখতে পারি, তখনেই আমাদের ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। আমরা যখনি নিয়মিত তুলসি চা খাই, তখন তুলসি চা আমাদের দেহের স্নায়ুকে স্বাভাবিক অবস্থায় রেখে রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে। যখণ করটিসল হরমোন তৈরি হয়ে ক্রমান্বয়ে ট্রেস তৈরি করা শুরু করে,তখন তুলসি চায়ের পুষ্টি উপাদান হরমোন দ্ধারা উত্তেজিত হওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও শরীরের কে শান্ত ও চাপমুক্ত রাখে। তাই যারা যারা অতিরিক্ত ট্যানশন বা ট্রিস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তিত, তাঁরা তুলসি চা খেতে পারেন।
জ্বর কমায়
শুধু জ্বর নয়, তুলসি চা জ্বর কমানোর পাশাপাশি গলা ব্যথা কমাতেও দক্ষ। তুলসি চা জ্বর কমাতে বেশ কার্যকর। তবে শুধু তুলসি চা খেলে দ্রুত কাজ করে না। যদি পারা যায়, এর সাথে অর্থাৎ তুলসি চায়ের সাথে সামান্য আদা ও দারুচিনি মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তবে আমরা মনে করি, জ্বর কামাতেই তুলসি চা বেশ কার্যকর তবে পাশপাশি এটি গলা ব্যথাসহ আরো অনুসাঙ্গিক অন্য সকল রোগের জন্য উপকারি। যারা দীর্ঘদিন যাবত গলা ব্যথা সহ শুকনো কাঁশিতে ভুগছেন, তাঁরা এই ক্ষেত্রে কিছুটা আস্থা রাখতে পারেন তুলসি চা-য়ে উপর।
পেটের পিড়া দূর করে
নানা ধরনের পেটের পিঁড়া যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে গন্ডগোল সহ ইত্যাদি প্রকার পেটের পিঁড়া থেকে রেহাই পেতে তুলিসি চা বেশ কার্যকর। তবে বিশেষ করে হজমের সমস্যার জন্য তুলসি চা বেশ উপকারক একটি ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রাকৃতিক ঔষধ। তাই যারা যারা দীর্ঘদিন ধরে পেটের পিড়ায় ভুগছেন,তাঁরা কয়েকদিন তুলসি চা খেয়ে দেখতে পারেন।
কোলেস্টেরল কমায়
দেহের কোলেস্টেরল কমাতে ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড নামক দেহের পুষ্টি উপাদান ব্যাপক ভূমিকা রাখে। দেহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বহু রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষত হৃদরোগ এবং রক্ত সংবহণ সম্পর্কিত অসুস্থতা। সে সসব রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকতে প্রতিদিন অন্তত এক-কাপ তুলসি চা খাওয়ার অভ্যাস গড়েতে হবে। কিন্তু তুলসি চায়ে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড অতিরিক্ত খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে।
শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর করে
যাদের নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে, তারা তুলসি চা দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারে। আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছে যারা সাইনোসাইটিস সহ অতিরিক্ত সর্দি-কাঁশি সহ নানা রকম শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্য তুলসি চা বেশ উপকারি একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন চা। তাই যারা যারা শ্বাস-প্রশ্বাস সহ সর্দি-কাশি ও সাইনোসাইটিস রোগে ভুগছেন,তাঁরা প্রতিদিন এক কাপ করে তুলসি চা খেয়ে দেখতে পারেন। ( হার্টের ব্লক দূর করার সহজ ও ঘরোয়া উপায় )
বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করে
সাধারণত ফ্রি রেডিকেলস এর কারণে আমাদের ত্বক বা দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা দেখা দেয়। যদি আমরা ত্বকের যত্ন নিতে চাই এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্বকে তথা দেহে তৈরি করতে হবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস হলো এমন এক উপাদান যা ফ্রি রেডিকেলস সমস্যা তৈরিতে বাঁধা দেয়। এখন যারা রাতারাতি ফর্সা হওয়ার পদ্ধতি চায় তাদের জন্য কিন্তু এটি নয়। এটি হলো আপনাকে বার্ধক্য জনিত সমস্যা থেকে শুধু উত্তরণ করবে। তাই কেউ যদি নিয়মিত তুলসি চা পান করে, তাহলে আশা করা যায়, তাঁর মধ্যে অনাকাঙ্খিত বয়সের চাপ দেখা দিবে না।
কিডনিতে পাথর জমতে বাধা সৃষ্টি করে
আমাদের শরীর থেকে সকল ধরনের বর্জ্য পদার্থ গ্রর্মগ্রস্থি থেকে ঘামের মাধ্যমে এবং ইউরিক এসিডের মাধ্যমে কিডনি ও প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু ইউরিক এসিড আমাদের শরীরে থাকা কিডনিতে পাথর তৈরি করার মূল উপাদান। এর মাধ্যমেই মূলত কিডনিতে পাথর হয়। কিন্তু আমরা যদি নিয়মিত করে তুলসি চা খাই, তাহলে তুলসি চায়ে থাকা উপাদানগুলো শরীর তথা সার্বিকভাবে কিডনি থেকে বের করে দেয়। যে কারণে কিডনিতে আর পরোক্ষণে পাথর হয় না। তাই কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে এবং কিডনি ভালো রাখার উপায় হিসেবে নিয়মিত তুলসি চা খেতে হবে। ( ঘাঁড়ে ব্যথা হলে যা করবেন )
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে
তুলসি চা সাধারণত ওরাল ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য বেশ স্মুথভাবে কাজ করে। আমাদের দেহে অক্সিডেশন প্রসেসের কারণে দেহের অনেক কোষ ক্ষতিগ্রস্থ ও একেবারে সম্পূর্ণ ভাবে ডেমেজ হয়ে যায়। আর এই অক্সিডেশন প্রকিয়াটি হলো ক্যান্সার তৈরির প্রাথমিক একটি কারণ। যদি আমরা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চাই,তাহলে উক্ত অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঠিক এক কাপ চা যদি আপনি নিয়মিত পান করেন, তাহলে এসব ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে আপনিও নিরাপদে থাকবেন।
মূলত এগুলোই ছিল তুলসি চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত তথ্য। তবে আলোচনার সাপেক্ষে এখানে মাত্র কয়েকটি উপকারিতা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এরকম আরো অনেকগুলো আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তুলসি চায়ের মধ্যে। যা আমরা দৈনিক এক কাপ তুলসি চা খাওয়ার মাধ্যমে পেতে পারি।
কিভাবে তুলসি চা বানাবেন ?
স্বাভাবিক ভাবে আমরা সকরে সাধারণ চা খেয়ে অভ্যস্থ। কিন্তু হঠাৎ যদি কেউ তুলসি চা খেতে চায়, তখন তাকে নানা রকম বেগ পেতে হয়। যে বিধায় অনেকে ইন্টারনেট সার্চ করে তুলসি চা বানানোর উপায় জানতে। তাই সেই প্রেক্ষিতে আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলসি চায়ের উপকারিতার পাশাপাশি কিভাবে তুলসি চা বানাতে পারবেন তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা স্টেপ বাই স্টেপ দেওয়া হলো। তুলসি চা যেভাবে বানাবেন-
প্রথমে চলুন জেনে নেই তুলসি চা বানাতে পূর্ব থেকে কি কি উপকরণ আমাদেরকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে সে সম্পর্কে জানা যাক। তুলসি চা বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলো-
- পানি- ২ কাপ
- আদা কুচি- আধা চা চামচ
- মধু- ৫ ফোঁটা
- তুলসি পাতা- ১২ টি
- লেবুর রস- ৫ ফোঁটা
- সবুজ এলাচ গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ
মূলত এখানে উল্লেখিত এই উপকরণগুলোই দরকার হয় তুলসি চা তৈরি করতে। তাহলে চলুন, এবার জানা যাক, কিভাবে আমরা উক্ত উপকরণগুলো ব্যবহার করে তুলসি চা বানাতে পারি সে সম্পর্কে। তুলসটি চা বানানোর উপায় হলো-
- প্রথমে একটি পরিষ্কার ছোট বা প্রয়োজন মতো পাত্র নিন।
- সেখানে ৩ কাপ পানি নিন অথবা আপনার চাহিদা অনুযায়ী।
- তারপর পানি যখন কুম কুম গরম হয়ে আসবে তখন কুচি করা তুলসি পাতা, আদা, দারূচিনি এবং এলাচগুড়ো দিয়ে দিন।
- এবার আপনি এটাকে দীর্ঘ ১০-১৫ মিনিট ফুটতে দিন।
- উক্ত সময় পর তুলসি চা -কে ছেঁকে নিন।
- এবার যদি সম্ভব হয়, তাহলে মধু ও লেবু রস দিয়ে নাড়িয়ে পরিবেশন করুন।
- ব্যাস, হয়ে গেল আপনার তুলসি চা।
মূলত উপরোক্ত উপায়ে যেকেউ খুব সহজেই তুলসি চা বানাতে পারবেন। জাস্ট উপরোক্ত নিয়ম বা ধাপগুলো অনুসরণ করুন। আশা করি, আপনিও তুলসি চা কোনো রকম হিমশিম খাওয়া ছাড়াই তৈরি করতে পারবেন।
তুলসি চা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা জেনেছি যে, তুলসি চায়ের বহুমুখী উপকারিতা সম্পর্কে এবং সেই সাথে আরো দেখেছি যে, আপনি যদি উপরোক্ত উপকারিতাগুলো দেখে আপনি নিজেও তুলসি চা বানিয়ে খেতে চান, তাহলে কিভাবে খুব সহজেই এক কাপ তুলসি চা বানাতে পারবেন।
উপরে তুলসি চায়ের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে অবগত হয়ে আশা করি আপনারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হয়েছেন। তবে যারা এখনো এর উপকারিতা ও কিভাবে বানাবেন বা তৈরি করবেন, সে সম্পর্কে জানেন নি অথবা বোঝতে পারেন নি, তাহলে তাদের প্রতি অনুরোধ রহিল, পুনরায় পুরো পোস্টটি দয়া করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি তুলসি চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি আরো জানতে পারবনে যে, কিভাবে আপনি সহজেই এক কাপ তুলসি চা বানাতে পারবেন।