ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ( How to earn money from Facebook? ) তা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সকল কিছুর অবসান ঘটিয়ে আজকের আর্টিকেলে সমস্ত ডিটিইলসগুলো নিয়ে ইনডেপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো স্টেপ বাই স্টেপ অ্যাপ্লাইয়ের মাধ্যমে আপনিও ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারেন। যদি ব্রডভাবে চিন্তা করি, তাহলে অনলাই ইনকাম করার উপায়গুলো মধ্যে ফেসবুক অন্যতম এবং এর পরেই স্থান করে রেখেছে ইউটিউব থেকে ইনকাম। ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে এবং কিভাবে আয় করা যায় সে সিক্রেট টিপসগুলো জানতে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

যদিও ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেই বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের নিকট পরিচিত। কিন্তু বিশাল এই ব্যবহারকারীর সংখ্যাকে ব্যবহার করেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিনোদনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ব্যবসা এবং আয়ের একটি মাধ্যম। ব্যাকলিংকের সার্ভে অনুযায়ী ২০২১ সালে বিশ্বে সর্বমোট মাসিক অ্যাক্টিভ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ২.৮৯৫ বিলিয়ন। দৈনিক অ্যাক্টিভ ইউজারের সংখ্যা হলো ১.৯০৮ বিলিয়ন+ । ২০২০ সালের অ্যাক্টিভ ফেসবুক ব্যবহারকারী থেকে ২০২১ সালে তা ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে, বিশ্বে মোট ২৩৩ টি দেশের উপর ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এর মধ্যে মাসিক/দৈনিক অ্যাক্টিভ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান ১০ম! প্রথমে রয়েছে ইন্ডিয়া। সংখ্যায় হিসেব করলে বাংলাদেশে মাসিক মোট অ্যাক্টিভ ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ৪৬ মিলিয়ন। এতো ব্যবহারকারীর মধ্যে ফে‡বুক টাকা আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টেজের মাধ্যমে। আর তারই প্রেক্ষিতে আজকের আর্টিকেলে এমন কিছু সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেও অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তবে এই পৃথিবীতে অর্থ উপার্জনের জন্য শর্ত কিন্তু দুটি  রয়েছে। সেগুলো হলো-

  • প্রথমত, ধৈর্য সহকারে কাজ শিখা এবং প্রেক্টিস করা।
  • দ্বিতীয়টি হলো মনোযোগ সহকারে কাজ করা।

এই দুটি গুণ সর্বক্ষেত্রেই সবার জন্য প্রযোজ্য। ঠিক তেমনি ফেসবুকে আয় করা জন্যও উল্লেখিত দুটি গুণ আপনার মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে। তাহলেই আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। চলুন তাহলে আলোচনা বেশি দীর্ঘায়িত না করে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে উপায়গুলোর সম্পর্কে জানা যাক।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকারী ১০ টি অ্যাপস

ফেসবুকে টাকা আয় করার উপায় – Way of Earn money from Facebook

ফেজবুকে টাকা আয় করার উপায়

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তার উপায় নিয়ে অনেক আর্টিকেল রয়েছে। আপনি যদি ইন্টারনেটে ফেসবুকে টাকা আয় করার উপায় জানতে চেয়ে সার্চ দেন, তাহলে অসংখ্য সার্চ রেজাল্ট আপনার সামনে সার্চ ইঞ্জিন শো করবে। তার অধিকাংশগুলোই হলো ফেক। তাই আজকে এমন ৫টি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলোর যেকোনো একটি আপনার জন্য ফেসবুকে টাকা আয় করার উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে। ফেসবুকে টাকা আয় – Earn money from Facebook করার উপায়গুলো হলো-

  • ফেসবুক পেজে অ্যাডের মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়া।
  • অ্যাফিলিয়েট করে টাকা আয় করার উপায়।
  • মার্কেটিং ম্যানাজার হিসেবে টাকা আয় করার উপায়।
  • ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে টাকা আয়।
  • ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সার্ভিস প্রোভাইড করে টাকা আয়।

মূলত আজকে উপরোক্ত এই ৫টি উপায় সম্পর্কেই বিস্তরভাবে আলোচনা করা হবে। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করা, ফেসবুক একাউন্ট খুলে আয় সহ নানা দিক সম্পর্কে ডিটেইল আলোচনা করা হয়েছে। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন। আলোচনা দীর্ঘায়িত না করে চলুন জানা যাক ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়, সে সম্পর্কে। ফেসবুকে টাকা আয় করার উপায় হলো-

ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায় – Earn money from Facebook by Ads

ফেজবুক অ্যাডের মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয় বিষয়টা দিন দিন ফেমাস হচ্ছে। আর জনপ্রিয় হওয়ারও কযেকটি যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়? হ্যাঁ, তার উত্তর দিবো এখনই।

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের দরকার একটি ফেসবুক একাউন্ট এবং সেই একাউন্টের পরিচালনায় একটি ফেসবুক পেজ। কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়, তা অবশ্যই আপনাদের অধিকাংশই জানা রয়েছে। হতে পারে সেই পেজটি একটি ব্লগ পেজ, পাবলিক ফিগার, ইন্টারটেইন্টমেন্ট টাইপ সহ আরো অনেকগুলো পেজ টাইপ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি। এখন কথা হলো কিভাবে আপনার ফেসবুক পেজে অ্যাড প্রদর্শন করবেন? এর জন্য অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজে কন্টেন্ট থাকতে হবে। সেই কন্টেন্টগুলো হতে হবে ভিডিও আকৃতির। লেংথ হতে হবে অ্যাভারেজ ৩ মিনিটের উপর। নিয়মিত ভিডিও ‍দিয়ে গেলে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের কন্ডিশান ফুল-ফিলাপ করলে ( ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে, আবেদন করার পূর্বে অন্তত ৫টি অ্যাক্টিভ ভিডিও থাকতে হবে এবং ১০০০০ ফলোয়ারস/অনুসারী থাকতে হবে) আপনি ফেসবুক মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এরপর ফেজবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ফেসবুক ফেজটিকে কয়েক ঘন্টা/দিন রিভিউ করবে এবং কোনো রকম হ্যারেস/এডাল্ট/বায়োলেন্স/কপি কন্টেন্ট না ফেলে অবশ্যই মনিটাইজেশন অন করে দিবে। অর্থাৎ আপনাকে অ্যাপ্রোভাল দিয়ে দিবে। তখন আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে যাবেন। আবশ্যই কন্টেন্টগুলো কপিরাইট ফ্রী হতে হবে। এখানে সিক্রেট টিপস হলো এমন একটি নিশ আপনাকে বাঁচাই করতে হবে, যেগুলোতে মানুষগণ সার্চ করে অনেক কিন্তু সেই তুলনায় ফেসবুকে কন্টেন্ট রয়েছে খুব অল্প পরিমাণ। তাহলে আপনার ভিউ সংখ্যা এবং ফলোয়ারস সংখ্যা ক্রমে বেড়ে যাবে এবং কন্ডিশন ফুল-ফিল করবে। এইক্ষেত্রে আপনি সকল তথ্য ঠিক দিয়ে থাকলে সঠিক নিয়মে ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করে নিতে পারেন। যখন আপনার পেজটি মনিটাইজেশন পেয়ে যাবে এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে যাবেন, তখন দর্শকরা ভিডিও দেখার সময় ভিডিওতে ফেসবুক অ্যাড Facebook Ads show প্রদর্শন করবে। এতে অ্যাড ভিও যেমন হবে তেমনি অ্র্যাডে ক্লিকও পড়বে। আর ফলাফল হিসেবে আপনি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করবেন। মূলত এটিই হলো ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়।

Read More  অনলাইনে ইনকাম করুণ লাখ টাকা | মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

অ্যাফিলিয়েট করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায় – Earn money from Facebook by Affiliate

অ্যাফিলিয়েট করে ফেজুবক থেকে টাকা আয় করার উপায়

ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ উভয় দিয়েই অ্যাফিলিয়েটের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। এই ক্ষেত্রে শুরুতে আপনাকে খুব সতর্ক ভাবে কাজ শুরু করতে হবে। যেহেতু অ্যাফিলিয়েট করবেন do Affiliate, তাই প্রথমে অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান থাকতে হবে। এরপর আপনাকে একটি মাইক্রো নিশ নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্রড নিশ নিয়েও কাজ করতে পারেন। তবে যদি নতুন হয়ে থাকেন এই ফিল্ডে,তবে আপনাকে রিকোয়েস্ট করা হবে মাইক্রো নিশ নিয়ে কাজ করার। কারণ মাইক্রো নিশে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি সফল হওয়া যায়। তারপর ক্রমান্বয়ে মাইক্রো নিশ থেকে ব্রড নিশে মোড় নিতে পারবেন। অর্থাৎ মাইক্রো নিশ কভার করার পর।

আপনাকে প্রথমে নিশ অনুযায়ী একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। তারপর সে নিশের বিভিন্ন টাইপের প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও অথবা পোস্ট করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ভিডিও হলো চুম্বকের ন্যায়। ধারাবাহিকভাবে এভাবে ভিডিও দিয়ে গেলে আপনার পেজে একটি চমৎকার এই নিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অডিয়ান্স যোগ হবে। ঠিক একইভাবে ফেসবুক গ্রুপ খুলে সে মোতাবেক টার্গেটিড অডিয়ান্সগুলোকে আপনার ফেসবুক গ্রুপে ইনবাইট করে গ্রুপের মেম্বার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবে ফেসবুক পেজ ও ফেজবুক গ্রুপে যথেষ্ট পরিমাণ মেম্বার/ফলোয়ার্স অ্যাড হওয়ার পর আপনাকে কোনো একটি ই-কমার্স সাইটে একাউন্ট খুলে সেই সাইটের প্রোডাক্টগুলোকে আপনার ফেজবুক পেজ বা গ্রুপ দ্ধারা প্রোমোট করা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখিত সেই প্রোডাক্টগুলোত আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকবে। যখন টার্গেটেড অডিয়ান্স বা কাস্টমার আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিও দেখে আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ঐসাইটে চলে যায় এবং যেকোনো একটি বা একাধিক প্রোডাক্ট ক্রয় করবে, তখন আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারসেনটেজ অর্থ আয় করতে পারবেন। কোম্পানি বা ই কমার্স সাইট আপনাকে তাদের কমিশন দিয়ে দিবে। এই উপায়টাই হলো মূলত ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করে টাকা আয় করার একটি সহজ উপায়।

মার্কেটিং ম্যানাজার হিসেবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় – Earn money from Facebook by Marketing Manager

মার্কেটিং ম্যানাজার হিসেবে ফেজুবক থেকে টাকা আয়

মার্কেটিং ম্যানাজার Facebook Marketing Manager বলতে এখানে ফেজবুক মার্কিটিং ম্যানাজার হিসেবে কাজ করে টাকা আয় করাকে বোঝায়। বর্তমানে অনেক কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ড ভেল্যু বাড়ানোর জন্য ফেসবুককে টার্গেট করেছে। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ডের প্রচার করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে তারা অভিজ্ঞ কাউকে তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ড ভেল্যু বাড়ানোর জন্য ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। আর অধিকাংশ কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সংখ্যাঘরিষ্ঠই জানেনা যে ফেসবুক পেজ কিভাবে চালাতে হয়।

এই মূহর্তে আপনার কাজ কি? আপনার কাজ হচ্ছে সর্ব প্রথম ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে ফুল একটি ধারণা নেওয়া। হতে পারে সেটি কোস্ট করে অথবা ইউটিউবের টিউটিরিয়াল দেখে। বর্তমানে সব কিছুই ইন্টারনেটে রয়েছে। শুধু আমাদের কে নির্দির্ষ্ট টার্ম দিয়ে সেগুলোকে বের করতে হবে। ফেসবুক মার্কেটিং শিখার পর নিজে কয়েকটা পেজ ক্রিয়েট করে কয়েকদিন প্রেক্টিস করা। এরপর যখন ফেসবুক মার্কিটিং সম্পর্কে ভলো একটি ধারণা তৈরি হবে আপনার মধ্যে, তখন আপনি কোনো একটি কোম্পানিতে ফেসবুক মার্কেটিং এর ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ হতে পারবেন।

Read More  মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত অতিব গুরুত্বপূর্ণ ৫টি অ্যাপস

আপনি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন, যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক সহ আরো ই্ন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করবেন। তখন আপনি অন্য দেশের যেকোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবেন। বিনিময়ে তারা আপনাকে মাসিক অথবা ঘন্টা অনুযায়ী অর্থ দিবে। বেশিরভাগই এইক্ষেত্রে মাসিকভাবে বিল পে করে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এই সেক্টরে অর্থাৎ ফেসবুক ম্যানেজমেন্টের জন্য অভিজ্ঞ লোকের অভাব ফিল করছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, এখনো এই সেক্টরে অভিজ্ঞ লোকের কতটা অভাব রয়েছে। তাই ফেসবুকে যদি আপনি ইনকাম করতে চান, তাহলে আজ থেকেই ফেসবুক মার্কেটিং শিখে কোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ হতে পারেন। বর্তমানে এর মূল্য অনেক। এবং দিনে দিনে অভিজ্ঞ ফেসবুক ম্যানেজারের চাহিদা বিপুল হারে বাড়ছে। কেননা প্রতিটা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি এখন অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। তাই ফেসবুক মার্কেটিং শিখুন এবং ফেসবুক থেকে আয় করুন।

পণ্য সেল করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় – Earn money from Facebook by Selling Products

পণ্য সেল করে ফেজবুক থেকে টাকা আয়

ফেসবুক ব্যবহার করছেন কিন্তু নানা রকম পণ্যের অ্যাড এবং পেজ অথবা গ্রুপ আপনার স্ক্রলিং এর সামনে পড়ে নি, এমনিটি কারো সাথেই মনে হয় ঘটে নি। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য বা প্রোডাক্ট আমাদের ফেসবুকিং এর সময় ডিসপ্লেতে শো হয়। কিন্তু এটা কেন হয় বা হচ্ছে এই নিয়ে আপনার কখনো ভেবেছেন? হয়তো অনেকে ভেবেছেন অথবা অনেকে কখনো এই নিয়ে চিন্তাও করেন নি।

যেহেতু ফেসবুকে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক/ ব্যবহারকারী রয়েছে, সেহেতু সেই সুযোগে যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পণ্য-সামগ্রী টার্গেটেড মানুষদের সামনে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সেই পণ্য সেল করা সম্ভাবনা ৯০% হয়ে যায়। কারণ আমরা আমাদের পণ্যগুলো এমন কারো সামনে শো করছি, যে ইতিমধ্যে এই পণ্যগুলো খুঁজছে। উদাহরণের সাহায্যে বোঝা যাক, ধরুণ আপনি একটি পণ্য ফেসবুকে সার্চ দিলেন, এবার কিছুক্ষণ পর সেই পণ্য বা প্রোডাক্ট রিলেটেড বিভিন্ন রকম পণ্য সহ পেজ আপনার ডিসপ্লেতে প্রদর্শণ হচ্ছে, তাহলে সেই পণ্যটি সেই সকল পেজ থেকে ক্রয় করার সম্ভাবণা কতটুকু? অবশ্যই এর সম্ভাবণা অনেক বেড়ে যায়।

ঠিক একইভাবে আপনি যখন একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করবেন এবং পণ্যের ছবি সেই পেজের মাধ্যমে টার্গেটেড মানুষদের নিকট পাঠাবেন, তখন আপনিও পণ্য সেল Sell your products দিয়ে কিছু লাবাংশ পেতে পারেন। এখানে আপনাকে অল্প টাইমে টার্গেটেড মানুষদের নিকট যেতে হলে ফেসবুক পেজে বুস্ট করতে হবে। যদিও এতে কিছুটা অর্থ খরচ হবে কিন্তু টার্গেটিড অডিয়ান্স পাওয়া প্রচুর লাভ হবে। সঠিকভাবে ক্যাম্পেইন করতে পারলে লাবাংশের পরিমাণ অনেকগুণে বেড়ে যায়। মূলত এভাবেই ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। অন্যদিকে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন? সে সম্পর্কে কোনো ধারণা রয়েছে আপনার? যদি ধারণা না থাকে তাহলে পড়ুন। প্রথমে সে পণ্য অনুযায়ী একটি গ্রুপ খুলুন। এরপর বিভিন্ন গ্রুপ-পেজ ঘুরে ঘুরে সে পণ্য সম্পর্কে আগ্রহীদের গ্রুপে আসার অনুরোধ করুন। এভাবে গ্রুপটাকে বড় করুন। সর্বশেষ কাঙ্খিত একটা পরিমাণ মেম্বার হলে সে গ্রুপে আপনার সেই পণ্যে পোস্ট করুন। এতে করে আপনার পণ্যে বিক্রির হার পূর্ব থেকে কয়েকগুণে বেড়ে যাবে। এভাবেও আপনি ফেসবুক গ্রুপ এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। মূলত এটি হলো ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ এর মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়।

Read More  Mobile Tips Bangla | টোটাল ১0টি Secret mobile tips

সার্ভিস প্রোভাইড করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় – Earn money from Facebook by Providing your Services

সার্ভিস প্রোভাইড করে ফেজবুক থেকে টাকা আয়

আপনি যদি উপরোক্ত ৪টি স্কিলে দক্ষ হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি ফেসবুকে পেজ তৈরি করে বুস্ট করে কাঙ্খিত ক্লাইন্ট খুঁজে পেতে পারেন এবং আপনার সার্ভিসটি প্রদান করে টাকা আয় করতে পারেন। বোঝার সুভিধার্থে এখানে উপরোক্ত ৩টি স্কিলকে উদারহরণ হিসেবে ব্যবহার করলাম। তবে এই ক্ষেত্রে হতে পারে যে কোনো একটি কাজের প্রতি দক্ষতা। হোক সেটা ইলেকট্রিসিটির অথবা মেকানিক কোনো কিছু।

ধরুণ আপনি একজন আর্টিকেল রাইটার। এখন আপনি চাচ্ছেন কারো ওয়েবসাইটে আপনি কন্টেন্ট লিখে দিতে অর্থাৎ আপনার সার্ভিসটি প্রোভাইড করতে। কিন্তু আপনি তো কারো নিকট গিয়ে গিয়ে বলতে পারেন না যে আপনি একজন রাইটার। বেশি হলে সর্বোচ্চ আপনার আশে পাশের এলাকাগুলোতে পাবলিসিটি করতে পারেন। কিন্তু বিশ্বের সব জায়গায় পাবলিসিটি করা আপনার বা আমার পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আর এই কাজটিই করে দিবে ফেজবুক পেজ। এটা কিভাবে করবে?

প্রথমে সুন্দর ভাবে আপনি যে কাজটিতে দক্ষ, সে কাজটির উপর বেজ করে একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করবেন। এবার সে পেজে আপনার সার্ভিস রিলেটেড ছবি টাইপ পোস্ট অথবা ভিডিও টাইপ পোস্ট করবেন। কিন্তু এতে কিছু সমস্যা রয়েছে। ফেসবুক চায় না বিনামূল্যে আপনাকে বেস্ট সার্ভিস দিতে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে আপনাকেও কিছু অর্থ খরচ করতে হবে প্রাথমিক অবস্থায়। কিন্তু এতে আপনি আপনার কল্পনার বেশি কাজ পাবেন। কেননা আপনি যখন বুস্ট করার জন্য ক্যাম্পেইন তৈরি করবেন, তখন সেই নির্দিষ্ট টার্গেটেড অডিয়ান্সগুলোকে টার্গেট করছেন, আবার একইভাবে কার কার এই সার্ভিসটি এই মূহর্তে দরকার, সে কাস্টমার/ক্লাইন্টগুলোকে টার্গেট করেছেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে কতগুলো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সত্যিকার অর্থেই যদি আপনি একজন সেই ব্যক্তি হোন, যে কোনো একটি কাজে দক্ষ এবং সেই কাজের প্রতি তাঁর যথেষ্ট কনফিডেন্স রয়েছে, তাহলে বিশ্বাস করুন আপনার কল্পনাতিত কাজ আপনি ফেসবুক পেজের বুস্টের মাধ্যমে পাবেন। ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকামের এটিও একটি বেশ ভালো ও কার্যকারী উপায়। চাইলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি ক্যাম্পেইন যদি ঠিক ভাবে করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই টার্গেটিড কাস্টমার অথবা ক্লাইন্ট পাবেন। এ বিষয়ে কোনো রকম সাহায্য প্রয়োজন হলে আমাদেরকে কমেন্টে আপনার ফোন নাম্বার সহ ফেসবুকের লিংক দিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। অবশ্যই সাহায্য করবো।

ফেসবুকে টাকা আয় সম্পর্কে শেষ কথা

উপরোক্ত বিষয়গুলোই হলো মূলত ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করার সবচেয়ে সেরা এবং জনপ্রিয় উপায়। আপনি যদি সেই ব্যক্তি হোন, যে সত্যিকার অর্থেই ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা জানতে চান, তাহলে আশা করি আজকের আর্টিকেলটি বেশ উপকারক আপনার জন্য। আর আপনি যদি সেই ব্যক্তি হোন যে, সত্যিকার অর্থেই ফেসবুকে টাকা আয় করার উপায় জেনে কাজ করতে চান এবং সঠিক একটা গাইডলাইন চান, তাহলে আশা করি, আজকের পোস্টটি দ্ধারা আপনি বেশ ভালোভাবে উপকৃত হয়েছেন। এখন আর্টকেলে শুরুর দিকে বলা সেই দুটি শর্ত মান্য করে কাজে লেগে যাওয়ার পালা। অর্থাৎ পর্যাপ্ত ধৈর্য-মনোযোগ সহকারে কাজে লাগা এবং রুটিন অনুযায়ী প্র্যাক্টিস করা। মোট কথা কাজে লেগে থাকতে হবে। তাহলেই ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে ভালো বিস্তর একটি ধারণা পেয়েছেন এবং একই সাথে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে বেশ ভালোভাবে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

ফেজবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা সম্পর্কে জানতে

1 thought on “ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়”

Leave a Comment